ছবি প্রতিযোগিতাঃ চোরের দশদিন আর সাধুর একদিন

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি
লিখেছেন অনুপম ত্রিবেদি (তারিখ: রবি, ১০/০৪/২০১১ - ১:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সামাজিক যোগেযোগের সাইট ফেবুকের মাধ্যমে একটি ফটোগ্রাফি কন্টেস্টের আয়োজন করেছে FContest নামক একটি প্রতিষ্ঠান যা ২০১০-এ ফটো কন্টেস্টের জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান প্রতিযোগিতার বিষয় হলো - "Where I live" ।

এতে আপনি আপনার ফেসবুক একাউন্ট থেকে লগ-ইন করে ঐ বিষয়ভিত্তিক একটা ছবি আপলোড করবেন এবং তারপর ছবিটি অ্যাপ্রুভ হলে সেটা প্রতিযোগিতার পেজ-এ দেখা যাবে এবং ভোট দেয়া যাবে। কিন্তু খুবই আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছবি সাবমিশনের সময় কপিরাইটের কোনো নোটিসই থাকে না। অর্থাৎ আপনাকে এমন কোনো 'চেকবক্স' অপশন দেয়া হয় না যেটাতে আপনাকে চেক করে ডিক্লেয়ার করতে হবে যে ছবিটা আপনার তোলা।

১. ছবি সাবমিশনের পেজ (কোথাও কপিরাইট নিয়ে কিছুই উল্লেখ নেই)

Contest Blog - 01

তো মজার বিষয় হলো, এই সমাজে আমাদের আশেপাশে কিছু পঙ্গু লোক বসবাস করে, যারা সবসময় অপরের ঘাড়ে চড়ে বেড়াতে ভালোবাসে। ঠিক ঐ রকম একটা অকর্মণ্য, পঙ্গু চোর এই কন্টেস্টে আমার খুবই পরিচিত এক ছোটো ভাই এবং আশরাফ (নির্জন স্বাক্ষর)-এর কাজিন সাগর এর একটা ছবি চুরি করে নিজের নামে ঐ কন্টেস্টে সাবমিট করেছে । এবং জোর প্রচারণা চালিয়ে মোট ৭৭৮ টি ভোট (স্ক্রিন শট নেয়ার সময় ৭৭২টা ছিলো) জোগাড় করে বর্তমানে ২য় স্থানে আছে। মজার বিষয় হলো চোর ছেলেটি বুয়েটের ২০০৭ ব্যাচ-এর ছাত্র, ছবির নিচে খেয়াল করলেই তার নামটি জ্বলজ্বল করে ভেসে ওঠে -'আবু জান্নাত'। প্রথমে ফেসবুকে সার্চ দিয়ে এই ছেলের ছবিসহ প্রোফাইল পেয়েছিলাম কিন্তু পাত্তা দেইনি। কিন্তু সব ঘেঁটে যখন শিওর হওয়া গেলো যে এই ভদ্রলোকের সন্তানটিই সেই পঙ্গু চোর, ততক্ষণে সে তার ছবি সরিয়ে অন্য একটা আইকন দিয়ে রেখেছে। তার এই অপকর্মের বিরুদ্ধে সাগর ফেসবুকে সব লিঙ্কসহ নোট লেখায় সাগরকে আবার ব্লক করে দিয়েছে (পঙ্গু চোরের মাথা খুব ভালোই চলে !!) ঐ বেটা আবু জান্নাত।

২) সাগরের ফ্লিকার পেজ-এ ঐ ছবির স্ক্রিন শট -

Contest Blog - 02

৩) FContest-এ আবু জান্নাতের সাবমিট করা ছবির পেজ-

Contest Blog - 03

জনাব চোর আবু জান্নাতের নিজস্ব গ্রুপ আমরা ফাজিল কিন্তু আমাদের দিলটা এক্কেবারে সাদা ফকফকা -এ সে তার ছবি নিয়ে ব্যাপক প্রচারনণা চালাচ্ছে। আমি, সাগর, আশরাফ, রোয়েনা, ইশতিয়াক, ইমন এরা সবাই যখন ঐ গ্রুপ ওয়ালে এটা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করলাম, তখন একে একে সবগুলো পোস্ট ডিলিট মেরে আমাকে, সাগরকে আর ইমনকে ব্যান করে দিয়েছে (হাস্তে হাস্তে শ্যাষ!!!)।

তথাকথিত সেই FContest-এ লিঙ্কসহ মেইল করার পরও তারা কোনো রিপ্লাই করেনি এমনকি বারবার রিমাইন্ডার দেয়ার পড়ও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো এ্যাকশন নিতে দেখা যায়নি। আমি তাদের ফেসবুকের পেজ -এ গিয়ে এটা নিয়ে ওয়াল পোস্ট দিয়েছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ্যডমিনের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর আসেনি। এর মানেটা কী? ছবি প্রতিযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া একটা প্রতিষ্ঠান কিভাবে এই 'কপিরাইট'-এর মতো একটা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এতটা উদাসীন হতে পারে?? জিনিসটা খুবই হাস্যকর এবং পেশাদারি মনোভাবের অনুপস্থিতির উদাহরণ নয় কি???

৪) আমার পোস্টের পর FContest-এর ফেসবুক পেজ (কিন্তু এ্যডমিনের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর নেই!)

Contest Blog - 04

এই ঘটনায় একটি খুবই জোরালো সত্য উঠে আসলো সেটা হচ্ছে, মানসিকভাবে পঙ্গু, অকর্মনণ্য একজন মানুষ, সে যেই প্রতিষ্ঠানেই লেখপড়া করুক না কেন, যে পারিবারিক শিক্ষা ও পরিবেশে বড় হোক না কেনো, যদি নিজে থেকে 'অপকর্ম' সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না অর্জন করে থাকে তবে তার সুস্থ হবার চান্স খুবই সামান্য। আরো একটা বিষয় হলো এভাবে যদি ফটো কন্টেস্ট আয়োজক কোনো প্রতিষ্ঠান একটি ক্রিয়েটিভ ম্যাটেরিয়ালের 'কপিরাইট' নিয়ে উদাসীন থাকেন, তবে ঐ চুরির ঘটনা শুধু চোরের কাঁধেই নয় উক্ত প্রতিষ্ঠানের কাঁধেও বর্তায়! আর এখানে ঘটনাটা শেয়ার করার মানে হলো, আপনাদের কাছ থেকে সাহায্যমূলক কিছু দিক নির্দেশনা চাই। ঠিক কীভাবে ও কী পদ্ধতি অবলম্বন করে ঐ চোরকে একটা ভালো শিক্ষা দেয়া যায় & ঐ প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের নীতিমালাগুলো আরো একটু খেয়াল করে তৈরি করার উদ্দেশ্যে কীভাবে যোগাযোগ করা যায়।
চাইলে যে কেউ ঐ প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে মেইল করতে পারেন

- এই ঠিকানায়।

(যেহেতু যে কেউ কন্টেস্টের লিঙ্কে গিয়ে ঐ ছবিটিন নিচে চোরাই ফটোগ্রাফারের নামটি দেখতে পারবেন এবং যেহেতু ওটা পুরোপুরি উন্মুক্ত, সে কারণে নামটি এখানে উল্লেখ করা হলো। কিন্তু পাবলিক ফোরামে উক্ত ব্যক্তির প্রাইভেসি সংরক্ষণের জন্য ফেসবুক প্রোফাইল লিংক ব্যাবহার করা হয়নি।)


মন্তব্য

ফাহিম হাসান এর ছবি

এই ছেলে বড় হয়ে নামকরা সম্পাদক হবে।

বুয়েটের বিভিন্ন গ্রুপে বিষয়টা পোস্ট করে দেখতে পারেন। ওর বন্ধুরা চোরকে আবিষ্কার করলে এম্নিতেই থেমে যাওয়র কথা। ঐ প্রতিযোগিতার আয়োজকদের বলে কোন লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিটা কিন্তু খুবই সুন্দর। সেই ছেলের সাথে সরাসরি কেউ কথা বলে দেখেছেন? -রু

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

কমপ্লেইন দিলাম-

অট: বুয়েটের মত নামী প্রতিষ্ঠানের পোলাপানগুলোর এই হাল কেনো? কেউ চুরি করে, কেউ নারী কেলেংকারীর সাথে জড়িত, কেউ পলিটিক্স করতে করতে অন্য ছাত্রদের ১৩টা বাজাই দিতেছে.............

অপছন্দনীয় এর ছবি

বুয়েটের মত নামী প্রতিষ্ঠানের পোলাপানগুলোর এই হাল কেনো?

তার কারণ প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির ব্যক্তিগত আচরণ নির্ধারণ করে না। প্রতিষ্ঠান নামী হলেই সেখান থেকে ফেরেশতা বেরোবে, আর নাম না থাকলেই সেখানে মানুষের লেজ গজাবে ব্যাপারটা এমন নয়। আমাদের সাধারণ সামাজিক রীতি অমুক পরিবারের সন্তান, অমুক প্রতিষ্ঠানের সদস্য ইত্যাদি প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে বিচার করা, ব্যক্তিগত দোষগুণ হয় বাদ দিয়ে নয় সেকেন্ডারী হিসেবে দেখে।

চোর চোরই, সে বুয়েট থেকে এসেছে নাকি হার্ভার্ড থেকে সেটা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।

সবুজ পাহাড়ের রাজা. এর ছবি

সবটুকুর সাথে একমত হতে পারলাম না দাদা।
অসৎ চিত্তের ছাত্ররা খারাপ কাজ করতে চাইবে কিন্তু প্রতিষ্ঠান তার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারলে সেটা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।
প্রতিষ্ঠান কঠোর হলে এক ছাত্রনেতা কিভাবে একটি ছাত্রীকে জোর করে এক ঘন্টা হলে আটকে রাখতে পারে?
অসৎ ছাত্রের অসৎ কাজ সেই ছাত্রের ব্যক্তিগত আচরণ পরিধির আওতায় পড়ে কিন্তু সেই অসৎ ছাত্রের অসৎ কাজের সুযোগ করে দেবার দায়ভার বুয়েট কর্তৃপক্ষের উপর বর্তায়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

অসৎ ছাত্রের অসৎ কাজ সেই ছাত্রের ব্যক্তিগত আচরণ পরিধির আওতায় পড়ে কিন্তু সেই অসৎ ছাত্রের অসৎ কাজের সুযোগ করে দেবার দায়ভার বুয়েট কর্তৃপক্ষের উপর বর্তায়।

এই কথাটা পছন্দ হলো না, আমি যদি অনুপম ত্রিবেদীর তোলা কোন ছবি নিজের নামে চালাই- এখানে বুয়েট কর্তাপক্ষের করবার কী আছে ?? ...

রাজনৈতিক পোষ্য পালনের দায়ে হয়তো আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের সমালোচনা করতে পারেন, এই ক্ষেত্রে পারেন না। ব্যক্তির নৈতিক চরিত্র তার নিজের উপরে নির্ভর করে, সে কোথায় পড়লো- তার উপর করে না।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

এই ঘটনায় একটি খুবই জোরালো সত্য উঠে আসলো সেটা হচ্ছে, মানসিকভাবে পঙ্গু, অকর্মনণ্য একজন মানুষ, সে যেই প্রতিষ্ঠানেই লেখপড়া করুক না কেন, যে পারিবারিক শিক্ষা ও পরিবেশে বড় হোক না কেনো, যদি নিজে থেকে 'অপকর্ম' সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না অর্জন করে থাকে তবে তার সুস্থ হবার চান্স খুবই সামান্য।

- আমি ব্যাপারটা এভাবেই দখেছি এবং চোরা জান্নাত মিয়া কিন্তু তার একটা মেইলে এই ব্যাপারটাই তুলে ধরেছে যে, তার 'মানসিকতা' জিনিসটা খুবই নীচু প্রকৃতির। তার মেইলটা এরকম -

" এই কন্টেস্টের কোথাও বলা ছিলোনা যে নিজের তোলা ছবি দিতে হবে ... আমার অনেক বন্ধুই অনেক সুন্দর ছবি দিয়ে এই কন্টেস্টে পার্টিসিপেট করেছে ... এয় কারণে আমিও গুগল থেকে এই ছবিটা পেয়েছি ... এবং দিয়েছি ..."

বুয়েট তাকে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো শিখাচ্ছে, কিন্তু ছাগলামি বা ফাৎরামিটা তার নিজের দোষ।

(চোরা জান্নাত এটা আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ফটোগ্রাফার মনির ভাইকে একটা মেইলের রিপ্লাই হিসেবে দিয়েছে।)

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

হিমু এর ছবি

কন্টেস্টের পুরস্কারটাও তাহলে গুগলকেই দেয়া হৌক।

রু (অতিথি)  এর ছবি

fcontest-এর টার্মস অফ সার্ভিসের প্রথম প্যারাতেই তো আছে, নিজের কপিরাইটেড ছবি হতে হবে কিংবা যে তুলেছে তার অনুমতি নিতে হবে। নিচে ওদের সাইট থেকে কপি করে দিলাম। -রু

Entrants must be the rightful owners of any/all copyrights associated with submitted image(s), or else must have explicit permission to distribute the image(s). Copyright violations will result in immediate disqualification. By submitting an image entrant retains full ownership of the image, but grants fContest rights to use the photos in the context of online promotions for the contest itself or the website.

অপছন্দনীয় এর ছবি

FContest এর নিজেরই তো ভাবগতিক সুবিধার মনে হচ্ছে না। এই ব্যাটারাও ছবি কালেকশনের জন্যই ওটা খোলেনি তো? কনটেস্টে কি হলে কি হবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না, কোথাও পরিষ্কার করে বলা আছে বলে মনে হলো না।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

চুরা জান্নাত!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মূর্তালা রামাত এর ছবি

এসব চোরেরাই কিন্তু আবার দেশটা চোরে চোরে ভরে যাচ্ছে বলে শ্লোগান দেয়!!!

মূর্তালা রামাত

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এদের মুখোশ খুলে দেয়া দরকার। বাঙ্গালীদের কপিরাইট সচেতনতা কবে বাড়বে কে জানে!

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ অনুপম ত্রিবেদি ভাই,

ভাল বলছেন। আবারো ধন্যবাদ বড় ভাই এর মত পাসে থাকার জন্য।

অবশেষে Fcontest থেকে আমাকে ইমেইল পাঠান হয়েছে। এবং আবু জান্নাত তার হাস্যকর বক্তব্য দিয়াছে এইটার update আছে নিচের link e:

http://www.flickr.com/groups/throughthelens/discuss/72157626318039709/#comment72157626340024665

একটা কথা ন বললে ই না : আমি প্রচণ্ড হতাশ আবু জান্নাত এর বক্তব্য পরে।
জলপুত্র তথাস্থু (সাগর)

অতিথি লেখক এর ছবি

চোরের ওয়াল পোস্টিংয়ে(ফেসবুক পেজের) বাশীয় কমেন্ট কইরা আসছি একটা, মুল ছবির লিংক সহ...দেখি, এইবার আমারেও মনে হয় ব্লক দিব। চিন্তিত

- দিগন্ত বাহার।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ছেলে ভালো, বুয়েটে পড়ে।

...........................
Every Picture Tells a Story

নাশতারান এর ছবি

হ। বুয়েটের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ও জোলারা আবার আলসেও হয়, তাই ছবি না তুলে অন্যের ছবি নিজের নামে চালানো।

...........................
Every Picture Tells a Story

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, আপনে তো আমার বাবার বহুল ব্যাবহৃত শব্দটা (জোলা) মনে করায়া দিলেন। আমার বাবা একবার পাবনার এক চরম বদমাইশ ফাৎরা লোকরে চোখ রাঙ্গায়া বলছিল - 'বেডা, জোলা' ... ঐ লোক দেখলাম খুব দুক্ষু পাইছিলো ... হা হা হা হা ...

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

নাশতারান এর ছবি

"জোলা" মানে কী?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

জোলা>তাঁতি>টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার

...........................
Every Picture Tells a Story

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

এইটার খাঁটি ময়মনসিং-এর উচ্চারণ হইলো - 'জুলা' ... মু হা হা হা ...

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

নাশতারান এর ছবি

কথাটা আমি তাঁতী অর্থে বলিনি। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ব্যাপারটা একটা ছেলেমানুষি রসিকতা। বুয়েটের পোলাপানদের মধ্যে এ নিয়ে ঠাট্টার চল হয়েছে সম্প্রতি। বুয়েটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় না। কিন্তু আমাদের নাম্বার ওয়ান শাকিব খান সিনেমায় বুয়েট থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পাশ করে।

"জোলারা আলসে হয়" বললে এটাও বলা যায় যে "বুয়েটের পোলাপান ছবিচোর হয়"।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

জোলারা আবার আলসেও হয়

কথাটা এমন ছিলো, কিন্তু 'জোলারা আলসে হয়' কথাটা কিন্তু খুব জেনারালাইযড। আমি আমার লেখার শেষে এসে কিন্তু একটা লাইন টেনে দিয়েছি যে, ব্যাক্তির খারাপ আচরণ বা বাজে ইন্টেশনের সাথে নিজস্ব উপলব্ধি জড়িত, কোথাকার ছাত্র বা কোন পরিবারিক পরিবেশে বড় হওয়া সন্তান - এগুলো বড় বিষয় নয়।

একজন হীন চরিত্রের ছাত্রকে দিয়ে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করাটা আমার মনে হয় বোকামী। আর আমার মনে হয়েছে মুস্তাফিজ ভাইয়ের কথাটা নিতান্তই ফান ছিলো। এটা নিয়ে আমরা আর বেশি দূর না যাই দেঁতো হাসি

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অতিথি লেখক এর ছবি

আরো একটা বিষয় হলো এভাবে যদি ফটো কন্টেস্ট আয়োজক কোনো প্রতিষ্ঠান একটি ক্রিয়েটিভ ম্যাটেরিয়ালের 'কপিরাইট' নিয়ে উদাসীন থাকেন, তবে ঐ চুরির ঘটনা শুধু চোরের কাঁধেই নয় উক্ত প্রতিষ্ঠানের কাঁধেও বর্তায়!

fb পেজটির নামে রিপোর্ট করে আসলাম। আর "আমরা ফাজিল কিন্তু আমাদের দিলটা এক্কেবারে সাদা ফকফকা" পেজটা দেখি অলরেডি ব্যান খাইসে।

-দানব (mesbahuk@gmail.com)

রায়হান আবীর এর ছবি

বুয়েটের পোলাপান কই? জান্নাত সাহেব ছাত্রলীগের না হইলে তাকে গণটিজ করা হোক। ছাত্রলীগ হইলে ঠিকাছে। পুরা দেশটাই তাদের, তারা যা ইচ্ছা তাই করবে।

জি.এম.তানিম এর ছবি

কমেন্ট লাইক অপশনটা মিস করছি হাসি

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

দ্রোহী এর ছবি

ধরে যে মার লাগায়নি তার জন্য শোকরগুজার করেন।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এইটা তো মনে হয় ডিজিটাল চোর।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কাছে বুয়েট স্টুডেন্ট লিস্ট আছে , ইন্টারনেটেও খুজলে যে কেউ পাবেন , ঐ লিস্টে আবু জান্নাত নামে কাউকে পেলাম না । বিষয় টা পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন ।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

বিষয়টা পরিস্কার আছে এখন পর্যন্ত।
তার পুরো নাম মোহাম্মদ আবু হানিফা জান্নাত।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টম্যান্ট, ২০০৭ ব্যাচ।
বর্তমান বুয়েটের এক হলে থাকে (হলের নাম প্রকশ করা হলো না)।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

শামীম এর ছবি

ইন্টারনেটে বুয়েটের ওয়েবসাইটেই অ্যালামনাইদের লিস্ট আছে বলে জানতাম! বর্তমান ছাত্রদের লিস্ট কোথায় একটু খুঁজে দেন না।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

হেহেহে কি আর কমু পারছ না নিজে কিছু আবার করতে জাছ কেন? গুল্লি

ওসিরিস এর ছবি

জান্নাত ভাইকে আল্লাহ জান্নাত নসীব করুন। সকলে বলেন আমেন...

অতিথি লেখক এর ছবি

এইসব চোরদের উচিত শিক্ষা দেয়া দরকার অফ যা খোমাখাতায় শেয়ার দিলাম

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

FContest এর আচার আচরণ দেখে আমি তাজ্জব! ওদের বিরুদ্ধেই রিপোর্ট করা দরকার।

রণদীপম বসু এর ছবি

যাক্ একটা ছেলে অন্তত নিশ্চিতভাবে পাওয়া গেলো, যে আগামীদিনে আমাদের দেশের রাজনীতির সফল কাণ্ডারি হতে পারবে ! ত্রিবেদি আসলে গুণীর কদর করতে পারলো না।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এখন বুঝতে পারছি মানুষ কেন ছবির উপর তার নাম লিখে রাখে।

অমিত আহমেদ এর ছবি

আসলে আমরা এখনো কৃতিস্বত্ব নিয়ে সচেতন নই। এই ছেলেটার দেখা যাবে কোনো ধারনাই ছিলো না অন্তর্জাল থেকে ছবি নিয়ে নিজের নামে অন্য কোথাও উঠিয়ে দিলে সেটা সোজা বাংলায় চুরি করা হয়। এ রকম পোস্টই সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে/করবে - ব্যক্তিগত আক্রমনের দরকার নাই।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

এই ছেলেটার দেখা যাবে কোনো ধারনাই ছিলো না অন্তর্জাল থেকে ছবি নিয়ে নিজের নামে অন্য কোথাও উঠিয়ে দিলে সেটা সোজা বাংলায় চুরি করা হয়

এই যুগে এরকম যুক্তি মেনে নিতে পারলাম না, ভাই। 'উদ্দেশ্য'র সাথে 'কর্মপন্থা'র একটা সরল যোগাযোগ আছে। আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় একটা ফটো কম্পিটিশনে অংশ নেয়া তবে কর্মপন্থা কিন্তু নিজস্ব বস্তুতেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে, অন্যের জিনিশ দিয়ে নয়। 'Great Black & White Landscape' ফটো কম্পিটিশনে আমি Ansel Adams-এর ছবি ডাউনলোড করে নিজের নামে সাবমিট করে দিতে পারি না, যদিও Ansel Adams-এর সব Landscape-ই গ্রেট।

'নিজের জিনিশ দিয়েই নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে' - এইটুকু উপলব্ধি করার মতো মাথা বা চিন্তা যার নাই তাকে একজন মানুষ ভাবতেই তো খারাপ লাগে। তবে হ্যাঁ, এখন পর্যন্ত আমরা সবাই তার সাথে যথেষ্ঠ 'ভদ্র' আচরণই করছি। এই বয়সের একটা ধামড়া বেটা আরো বেশি ভ্যাবলামি করলে হয়তো নেক্সটে গজারীর বাড়ি খেতে হবে তাকে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অমিত আহমেদ এর ছবি

কোনো যুক্তি দেইনি, সম্ভাবনার কথা বলেছি। এমন সম্ভাবনা আছে কারণ এই যুগে এমন মানুষ আমি নিজেই দেখেছি। শুধু অন্তর্জালিক উপাদান না আরো অনেক কিছু নিয়েই অনেকের উপলব্ধিটা গজায় না - যেনো গজায় সেজন্যই এমন পোস্ট ও লেখার প্রয়োজন আছে। এরপরেও ছেলের শিক্ষা না হলে গজারির বাড়ি তো তার প্রাপ্যই হয়ে যায়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আসলে আমরা এখনো কৃতিস্বত্ব নিয়ে সচেতন নই।

পত্রিকাগুলোই তার বড় প্রমাণ। তবে এই ছেলের পিছলামো দেখে মনে হচ্ছে সে জেনেশুনেই করেছে। তবে তোমার এ্যাপ্রোচে খুশি হলাম, অমিত; এভাবে আজকাল অনেকেই ভাবে না। সবকিছু বদলে যাচ্ছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।