তখন গুগল ছিলোনা, ছিলোনা উইকি। এখনকার মতো কিছু কি ওয়ার্ড লিখে কোথাও কোনো সার্চ দেয়ার ব্যাবস্থা ছিলোনা। ছিলোনা বিনামূল্যে সহজেই কিছু ডাউনলোড করার ব্যাবস্থা। কিন্তু একটা জিনিশ ছিলো আর তা হলো মনের মধ্যে সঙ্গীতের প্রতি ভয়াবহ ভালোবাসা আর আকর্ষন। হ্যাঁ, আমি সেই ৯০ দশকের দিকের কথা বলছি, যখন আমাদের ওয়েস্টার্ণ মিউজকের সমস্ত ক্ষুধা মেটানোর দায়িত্ব একা কাঁধে নিয়েছিলেন রেইনবো’র কবীর ভাই। টিফিনের টাকা, বাজার থেকে এদিক-সেদিক করে পাওয়া টাকা জমিয়ে যখন একটা ৬০ মিনিট অথবা ৯০ মিনিটের ব্ল্যাঙ্ক ক্যাসেট কেনার সামর্থ হতো তখনই এক কাজিনকে নিয়ে ছুটে যেতাম এ্যালিফেন্ট রোড। এই লোকটিই হাতে ধরে চিনিয়েছিলেন একটি ব্যান্ডকে, চিনিয়েছিলেন একজন ভয়াবহ ব্রিলিয়ান্ট গিটারিস্টকে – ডেভিড গিলমোর (David Gilmour)।
সেদিনের কথা ঠিক বলে বোঝানো যাবেনা, যেদিন জীবনে প্রথমবারের মতো Comfortably Numb শুনে ‘থ’ হয়েছিলাম গিটারের কারুকাজে। একজন মানুষের পক্ষে এতোটা অনুভূতি মিশিয়ে গিটার বাজানো কিভাবে সম্ভব? কিভাবে সম্ভব এতটা আবেগ নিয়ে একটা গানকে গাওয়া? শুরু হলো আমার আরো গহীনে খোঁজা। ধীরে ধীরে শুনলাম আরো অনেক অনেক অনেক গান, শুনলাম সেই সব জাদুকরী গিটারের আপরূপ মূর্ছণা। আর যেদিন প্রথম শুনলাম Shine on you crazy diamond, সেদিন থেকে এই কূহকেই আটকে গেলাম। হয়তো Gilmour পৃথিবীর সেরা গিটারিস্ট নন, কিন্তু তাঁর গিটারে এমন কিছু মায়া আছে যা বর্ণনারও অতীত।
আমরা যারা সেই নব্বইয়ের সময়ে ওয়েস্টার্ণ মিউজিকে আসক্ত ছিলাম এবং এখনও আছি, তাদের সবার গল্পগুলো হয়তো এই একই রকমের। আমি নিজের ভেতরের অনেক কথাই ঠিকমতো বলতে পারিনা, তাই গুছিয়ে কিছু লিখা হয়না। এখানে আমরা যারা এই Gilmour ভক্ত আছি, তারা কি মন্তব্যর ঘরে নিজেদের সেইসব স্মৃতীচারণ করতে পারি না – প্রথম Gilmour শোনা, গিটারের প্রেমে পড়া, নিজের একটা স্বপ্নের গিটার কেনা ... এই গল্পগুলো?
আজ David Gilmour এর জন্মদিন। চলুন তবে নিজেদের সেই গল্পগুলো আজ করেই ফেলি ...
[পাপীষ্ঠ নজরুলিস্লামের চাপে পড়ে এই লেখার জন্ম। আমার করার কিছু ছিলোনা, না গো ... ... ]
মন্তব্য
একটা সময় ছিলো, যখন গান ছাড়া কিছু বুঝতাম না
সুর ছাড়া কিছু বুঝতাম না
এক বন্ধু ছিলো, চরম গাঁজাখোর, সেই প্রথম নিয়ে গেলো রেইনবোতে।
তখন ক্যাসেট প্রজন্ম
সিডি, অ্যালবামের জন্ম হয়নি, ক্যাসেট বুঝি
কবীর ভাই যে কী জিনিস, আজকের ইউটিউব প্রজন্ম হয়তো জানতেও পারবে না, একজন মানুষকে।।। [ধুর, ডট ডট হয় না ক্যান?]
হাতে ধরে চিনিয়েছিলেন, শুনিয়েছিলেন, বুঝিয়েঝিলেন মিউজিক।।।
আমাদের তখন সুযোগ ছিলো না ইউটিউবে সার্চ দিয়েই গিলমোর খোঁজার।।। আমরা অপেক্ষা করেছি
আমরা যারা নব্বইয়ের শুরুতে গান বাজনার চর্চায় ঝুকেঁছিলাম, তাদের কাছে গিলমোর গুরু
গুরুকে জানাই সেলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কবির ভাইকে আমাদের প্রজন্ম ভুলতে পারবেনা - মানুষটা কোথায় আছে জানেন কেউ?
শুভ জন্মদিন গিলমোর ! পিঙ্ক ফ্লয়েড রক্স!!
কানাডা। বিয়ের পর কানাডা চলে গিয়েছিলেন, যতদূর জানি সেখানেই রয়ে গেছেন।
রেইনবো এখন মুরাদ ভাই আর ভাবী মিলে ধরে রেখেছেন। রেইনবো একটা ইতিহাস।
গুরুকে সালাম ।।।
পিঙ্ক ফ্লয়েডকে সালাম ।।।
শুভ জন্মদিন। আমার মেয়ের জন্মদিনের জন্মানোর জন্য আপনাকে টু থাম্বস।
আর গিটার এবং গান, ফাডায়ে ফেলানো অব্যাহত থাকুক।
অটঃ মে মাসে রজার ওয়ার্টসের কনসার্টে যাচ্ছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইয়াংকি স্টেডিয়ামে দেখি জুলাই এর ৬ আর ৭ তারিখ পারফর্ম করবে ওয়াটার্স, কপালে আছে বইলা মনে হইতেছে না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তোমার কী ভাগ্য! আমি ওদের কারও কনসার্টে যাবার পয়সা জোগাড় করতে করতে শিওর এরা সবাই চলে যাবে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কবির তুমি কোথায়?
কবির ভাই অস্ট্রেলিয়াতে চলে গেছেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
২০০৩ সালে কবীর ভাই সিডনীর সেন্ট্রাল স্টেশন সংলগ্ন কোনও এক জায়গায় কাজ করতেন। উনার সেই লম্বা বেনী তখন আর নেই। এরপর আর কোনও খবর জানিনা।
কবীর ভাই এর হ্যান্ড রাইটিং মনে আছে? আমার কাছে এখনো আছে ক্যাসেট এর উপরে লেখা মনে রাখার মত তার সেই গান এর প্রথম লাইনগুলি --- সিডি যুগের ও কিছু আছে - কবীর ভাইকে নিয়ে কেউ লিখবেন কি? আমার তো কমেন্ট লিখতেই দাত ভেঙ্গে যাওয়ার অবস্থা - বাংলা লেখাটা কবে যে অনলাইন এ ভাল করে লিখতে পারব
কবীর ভাইকে একবার বলেছিলাম তাঁর এই নিজস্ব স্টাইলের ফন্টের পেটেন্ট করিয়ে ফেলতে। উত্তরে তিনি হেসে বলেছিলেন, "আরে ন্নাহ্! তাই কি হয়?"
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার গিটার শেখার অনেক সখ ছিলো আর আপনার এই প্রবন্ধটা পড়ে আরো মুগ্ধ হয়ে গেলাম আর ইচ্ছে করছে গিটার শেখার। এই ধরনের ব্যক্তিত থেকে একটা জিনিস নিশ্চই শেখার আছে, সেটা হলো তাদের চেষ্টা। শুধু পড়াশুনা করেই কোনো মানুষ তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে সেটা তারা পরিবর্তন করে দিলো।
কোনো একদিন আমিও গিলমোর কিংবা সিড ব্যারেট কে নিয়ে লিখবো।
গুরুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
পিঙ্ক ফ্লয়েড ইজ লাইক অ্যা ড্রাগ !
আমার পিঙ্কফ্লয়েড শোনা হাই হোপস দিয়ে । Psychedelic music শুনেছিলাম কিছু ছাইপাঁশ নিয়েই । সেইযে বুঁদ হয়ে আছি,আজও ঘোর কাটেনি, কাটাতে চাইওনা। গুরু গিলমোর এর জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা।
থেঙ্কু সুহাসভাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এখনো মনে আছে কবির ভাই আমাকে একদম প্রথম যে গানটা রেকর্ড করে দিয়েছিলেন, সেটা হচ্ছে এ্যাল স্টুয়ার্টের 'অন দ্য বর্ডার'। পিঙ্ক ফ্লয়েডের সাথে পরে পরিচিত হয়েছি।
****************************************
এই তো দিলেন এক প্যাঁচ লাগিয়ে। মন মেজাজ খারাপ হলে এখনো মোবাইলে রাখা অ্যাল স্টুয়ার্টের "অলমোস্ট লুসি" বা "ব্রডওয়ে হোটেল" চালিয়ে দেই। এই লোকটার গান এখনকার কেউ কি আর শোনে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি শুনি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
একেকটা সময় একেকজনকে থাকতে হয়... থাকার জন্যেই...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
facebook
আহা
_____________________
Give Her Freedom!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পিঙ্ক ফ্লয়েড নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই। এই ঘোর কাটবে না কখনও আমার। গিলমোর এর জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা ।
অসাধারন একজন গিটারিস্ট। জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো তার জন্যে। হাই স্ট্রিঙে কর্ডের যাদুকর, প্রতিটা স্ট্রোক যেনো বুকের মাঝে খোঁচা মেরে যায়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ভেঙে যাওয়া পিংক ফ্লয়েডের আলাদা হয়ে যাওয়া দুই গুরু বহুদিন পর আবার একসাথে কমফোর্টেবলি নাম্ব গানটা গাইছে ভাবতেই পারিনি। প্রিয় গান, বেশ কিছুদিন আগে ইউটিউবে লাইভ খুঁজতে গিয়ে এই লিংকটাতে ক্লিক করে হুট করে গিলমোরের আগমনে একটা অপার্থিব আনন্দ পেয়েছিলাম। দেখুন ....
গিলমোর একজনই হয় আর কারো সাথেই কারো তুলনা চলেনা!
আপনাকে ধন্যবাদ
নতুন মন্তব্য করুন