ছবিব্লগঃ খৈ ভাজতে খৈয়াছড়া

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি
লিখেছেন অনুপম ত্রিবেদি (তারিখ: বুধ, ২৪/০৯/২০১৪ - ৯:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হঠাৎ করেই প্ল্যান হয়ে গেলো আমাদের ট্যুরের। বেশ ক'দিন যাবতই কোথাও যাবো বলে ভাবছিলাম সবাই, কিন্তু সময় আর সুযোগ একসাথে হচ্ছিলো না। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, বুধবার, চেরি ড্রপস-এ বসে লেমনেড আর চিকেন শর্মা খেতে খেতে তাই প্ল্যান ফাইনাল হয়েই গেলো - একটা ঝটিকা সফর হবে চট্টগ্রামের মিরেরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝর্ণায়। এই ব্যাপক জরুরী মিটিং-এ উপস্থিত আমি, রাব্বি, আরিফ আর জাকারিয়া। জাকারিয়ার কিছু সমস্যা থাকাতে তার আর যাওয়া হচ্ছে না, সবসময়ের ট্যুর সঙ্গী রনিও যেতে পারছে না, প্রীণনের অফিসে ঝামেলা, কুমারের মোবাইল অফ। সুতরাং সর্ব সম্মতিক্রমে আমি, রাব্বি আর আরিফ এই ট্যুরের যাত্রী হয়ে গেলাম। জাকারিয়ার মুঠোফোনের এক কলেই আমাদের সিট বুকিং হয়ে গেলো ইউনিক বাস সার্ভিসে, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, বৃহস্পতিবার, রাত ১১টার কোচে। সেদিনের মতো নাচতে নাচতে বাসায় ফেরত। বৃহস্পতিবার সকাল বেলা থেকেই সেরাম লম্ফ ঝম্ফ শুরু হলো আমার, ক্যামেরা ঘষা-মাজা, ব্যাটারি চার্জ দেয়া, ল্যান্স পরিস্কার করা, ব্যাগ গুছানো, টর্চ চার্জ দেয়া ইত্যাদি অতী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে করতেই রাত ৮টা বাজিয়ে ফেললাম এবং শেষ সময়ের তাড়াহুড়ায় যথারীতি টর্চ নিয়ে যাবার কথা বেমালুম ভুলে গেলাম (যদিও তাতে কোনো সমস্যা হয়নি)।

কমলাপুর কাউন্টার থেকে বাসে উঠে গান শোনার তোড়-জোড় করতেই শুরু হলো জ্যাম, সে এক বিশাল জ্যাম, শেষ হলো গিয়ে এক্কেবারে কাঁচপুর ব্রিজে। তারপর বুঝতে পারলাম যে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েটা এখন ফর্মুলা ওয়ান রেসিং ট্যাক হিসেবে ব্যাবহৃত হয় আর আমাদের ড্রাইভার একটি মাইক্যাল শ্যুমাখারের ভাই-বেরাদার! যাও কিছুটা ঝিমানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু টেনশনে সারা রাত ঐ রেসিং দেখতে দেখতেই কেটে গেলো আমার। এক্কেবারে পাক্কা ভোরে গিয়ে হাজির হলাম মিরেরসরাই বাজার। সেখান থেকে চা খেয়ে আর সাথে কিছু শুকনো খাবারের কেনাকাটা করে সিএনজি চেপে রওনা দিলাম খৈয়া ছড়া ঝর্ণার পথে। ঝর্ণায় যাবার পায়ে হাটা পথের শুরুতেই একটা রেলক্রসিং পড়ে, ওখানেই নেমে গেলাম আমরা। সেখানে পৌছে পরিচয় হয়ে গেলো সোহেল নামের এক গাইডের সাথে, ওকে নিয়েই রওনা দিয়ে দিলাম কিছুটা গ্রামের পথ ধরে আর বাকীটা ঝিরি পথে খৈয়াছড়া ঝর্ণায়। এই ঝর্ণাটির মোট নয়টি ধাপ। এক্কেবারে ওপরের ধাপে উঠলে সেখান থেকে বঙ্গোপসাগরকে দেখা যায় - এমনই জানালো আমাদের গাইড সোহেল। আরো বললো যে, যদি পাহাড় বাইতে পারি তাহলে আমাদের ঐ একদম নয় নম্বর ধাপে নিয়ে যাবে সে। আমরা তাকে অভয় দিলাম - আমরা পাহাড় বাওয়া লোক, এগুলি নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। যেতে যেতে গ্রামের পথে একটাই হোটেল পড়লো, সেখান থেকে রুটি ডিম খেয়ে আবারও যাত্রা করলাম।

১) এভাবেই স্বাগত জানায় পাহাড় আর প্রকৃতি -

২) শুরু হলো ঝিরি পথ -

৩) সোহেল (গাইড) আর সহযাত্রী আরিফ ও রাব্বি -

বেশ সুন্দর একটা ঝিরি ধরে আমরা ঝর্ণার দিকে এগিয়ে গেলাম -

৪)

৫)

৬)

৭)

৮)

ঝিরি ধরে যতই সামনে এগুচ্ছি, ততই শুনতে পাচ্ছি পানি ঝরে পড়ার মোহময় এক আওয়াজ। আমরা আরো দ্রুত পা চালাতে থাকলাম, যেনো আর তর সইছিলোনা কারো! আধা ঘন্টারও কিছু বেশি সময় ধরে হেঁটে এসে পৌছলাম ঠিক ঝর্ণার সামনে। অবাক হয়ে তাকি রইলাম কতক্ষন, এক কথায় অপূর্ব সুন্দর এই ঝর্ণা। সেদিনের সেই ঘুম ঘুম ভোরের আলোয় আমরাই প্রথম অভিযাত্রী দল যারা ঝর্ণায় এসে পৌছেছি। সুতরাং মন ভরে ছবি তোলা শুরু করলাম একের পর এক। তারপর শুরু হলো আমাদের উপরে ওঠার অভিযান। গাছের শেকড়ে ঝুলে ঝুলে আমরা উঠে গেলাম দ্বিতীয় ধাপে, এটি আগেরটির চেয়েও সুন্দর। সেখানেও কেউ ছিলোনা, তাই আবারও ঝাপিয়ে পড়লাম ছবি তোলার কাজে। এরপর বেশ কঠিন যাত্রা শুরু হলো, রাব্বি থেকে গেলো সেখানেই, শুধু আমি, আরিফ আর আমাদের গাইড সোহেল গাছের শেকড় ধরে ঝুলে ঝুলে খাড়া পিচ্ছিল পাথর বেয়ে উঠতে লাগলাম উপরে। একের পর এক ধাপে ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ হতে থাকলাম। একেবারে উপরে গিয়ে উঠে দেখলাম সোজা দিগন্ত বরাবর আকাশের সাথে ব্যাপক ঢলাঢলিতে ব্যাস্ত বঙ্গোপসাগর। আল্ট্রা-ওয়াইড ল্যান্স নিয়ে যাওয়াতে আমার আর ঐ ছবিটা তোলা হলো না, পুরোটা সময়ের মধ্যে এই একবারই একটা টেলি ল্যান্সের অভাব বোধ করলাম। এইসব দেখাদেখি শেষে সেই পিচ্ছিল পাথড়-কাদার পথ বেয়ে হেঁচড়ে-পেঁচড়ে নেমে এলাম দ্বিতীয় ধাপে। নামার সময় মনেই হলোনা যে এটা কোনো কঠিন পথ! এসে ব্যাক-প্যাকটা নামিয়েই ঝাপিয়ে পড়লাম পানিতে। আহা, কি আনন্দ আকাশে-বাতাসে!

খৈয়াছড়া ঝর্ণার সৌন্দর্য -

৯)

১০)

১১)

১২)

১৩)

১৪)

১৫)

১৬)

১৭)

১৮)

১৯)

২০)

এবার ফেরার পালা। যেতে যেতে দেখতে লাগলাম আমাদের চেনা পথটা এক্কেবারে গরুর হাটের মতো অবস্থা। যারা এসেছে সবাই মনের আনন্দে ভেজা জামা কাপড় গায়ে নিয়েই হেটে চলে রাস্তাটার এক্কেবারে ইয়ে মেরে দিয়েছে। কোনোমতে আছড়ে পাছড়ে আমরা ফেরা শুরু করলাম। আর যারাই সামনের দিকে যাচ্ছিলো, তাদেরকে বিভিন্ন বয়ান দিয়ে সেরাম ভয় খাইয়ে দিচ্ছিলাম - ইহা রাস্তা নয়, সাক্ষাৎ পুলসেরাত, সুতরাং খুব সাবধান ভাই ও পার্লার থেকে সাজু গুজু করে আসা আপুরা। দেখতে দেখতে ১১ টায় আমরা ফিরে এলাম সেই রেলগেটে, যেখান থেকে হাঁটা শুরু করেছিলাম। আবারও সেই ভীড়-কোলাহল-জ্যামের নাগরিক জীবনে ফিরে যাবার প্রস্ততি। কিন্তু না, রাব্বির ইবলিশ মার্কা প্ররোচনায় আমি রাজি হয়ে গেলাম একটা দিন বান্দরবান ঘুরে আসতে। প্ল্যান করলাম শুধু নৌকা নিয়ে আমার প্রিয় নদী সাঙ্গুতে ঘুরে বেড়াবো একদিন। এখানেও সমস্যা হয়ে গেলো আরিফের, অফিসের ঝামেলা! অগত্যা আরিফকে মিরেরসরাই বাস স্ট্যান্ডে বিদায় জানিয়ে আমরা এরেকটু এগিয়ে গিয়ে উঠে পড়লাম চট্টগ্রামের বাসে।

২১) সুন্দর এই গ্রামটাকে বিদায় জানাতেই হলো -

... ... চলবে ... ...

যেভাবে যাবেন - ঢাকা থেকে যে কোনো চট্টগ্রাম গামী বাসে চড়ে নামতে হবে মিরেরসরাই বাজার (ভাড়া নন-এসি ৪৫০ - ৪৮০ টাকা)। সেখান থেকে সিএনজি অটোরিক্সা চালককে বলবেন যে খৈয়াছড়া ঝর্ণায় যাবেন, সে আপনাকে রেলগেট নামিয়ে দেবে। একেকটা সিএনজি অটোরিক্সায় সাইজ ভেদে ৪-৫ জন বসা যায় (ভাড়া ১০০ টাকা)। রেলগেটে এসে কয়টা দোকানের একটা ছোট্ট বাজার পাবেন, সেখানে গাইডের খোঁজ দ্যা সার্চ করবেন আর সোহেল নামটা মনে থাকলে তাকেই খুঁজতে পারেন (গাইড ২০০ টাকা)। তারপর দিবেন হাঁটা আর হাঁটা। যতো ভোরে হাঁটা দেবেন ততই মঙ্গল, কারণ দেরি করে গেলেই মনে হবে আপনি রাস্তা ভুল করে কোনো ভাবে কাওরান বাজার মাছের আড়তে ঢুকে গেছেন!


মন্তব্য

তাসনীম এর ছবি

অপূর্ব সুন্দর এক দেশ বাংলাদেশ। আমরা যখন ঘুরে বেড়ানো বয়েসে ছিলাম, এই সব জায়গার নামও জানতাম না। বাংলাদেশ এখনও আমার কাছে প্রায় পুরোটাই না-দেখা রয়ে গেছে।

খুব ভালো লাগলো - লেখা ও ছবি দুই-ই।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

আসলেই, বাংলা নামের দেশটা খুব বেশিই সুন্দর। আমার ঘুরে বেড়ানোর বয়েস কাগজে-কলমে প্রায় শেষের দিকে, ৪০ এলো বলে। কিন্তু পণ করেছি যেভাবেই হোক আরো ১০-১৫ বছর এমন গুন্ডামি করেই যাবো। কী আছে জীবনে???

লেখা-ছবি ভালো লাগায় অনেক ধন্যবাদ।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

মেঘলা মানুষ এর ছবি

কী সুন্দর জায়গা! আর, এটা বাংলাদেশেই!

'গুন্ডামি' চলুক চলুক

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

আসলেই, বাংলা নামের দেশটা খুব বেশিই সুন্দর। আমার ঘুরে বেড়ানোর বয়েস কাগজে-কলমে প্রায় শেষের দিকে, ৪০ এলো বলে। কিন্তু পণ করেছি যেভাবেই হোক আরো ১০-১৫ বছর এমন গুন্ডামি করেই যাবো। কী আছে জীবনে???

লেখা-ছবি ভালো লাগায় অনেক ধন্যবাদ।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

সত্যপীর এর ছবি

হেব্বি।

..................................................................
#Banshibir.

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ধন্যবাদ পীর'দা।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কবি বলেছেন নেই কাজ তো খৈ ভাজ
আমার কামাছে... এইসব আজেবাজে জায়গায় যাই না। ভিউকার্ডগুলা ভালো হইছে হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

আমি তো জানতাম যে, কবি সাহেব এখন নীরবতা পালন করেন!!! যাউজ্ঞা, ব্যাপার্না।

হ, এইসব জাগাত না যাওনই ভালো। সুন্দর যুবক ছ্যাল্যা আপনি, বলা তো যায়না কখন কি হয় ! চোখ টিপি

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

অপূর্ব!

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ধন্যবাদ।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

সুবোধ অবোধ এর ছবি

দারুণ!!!!!!

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ধন্যবাদ।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

রাব্বি'র নামটা কোনভাবে 'আরিফ' করে দেয়া যায় না? তাহলে নাম নিয়ে আর কোন ঝামেলা থাকতো না।

হে ফটোআর্টিস্ট, এই ছবিগুলোতে ফটো আর্টের পরিমাণ কী রকম?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

হুম, ব্যাপার্টা ভেবে দেখার মট। ওকে, নেক্সট ভ্রমনেই ওর একটা আকিকা দিয়ে নাম বদলে ফেলবো।

প্রত্যেকটা ছবিই ৯টি এক্সপোজারের HDR আর ডজ-বার্ণের কারিকুরিতে ভরপুর!

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

শান্ত এর ছবি

জঘন্য সব ছবি। এই সব ভিউকার্ড কই থাইক্যা কিনছেন?

চলুক। পরবর্তী সব পচা ছবির অপেক্ষায়।

__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

হ রে ভাই, এই সব জঘন্য ভিউকার্ড চট্টগ্রাম থিকা কিন্না নিয়া আইছি।

হুম, পরবর্তী পর্ব এই তো এলো বলে খাইছে

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর ছবি । জায়গাটা আরো সুন্দর ।
আমি ফটোগ্রাফির ব্যপারে খুব কাবিল কেউ না । তবে ছোট একটা মন্তব্য ।
আপনার সব ছবি হাই ডেফিনিশন রেঞ্জে ( এইচ.ডি.আর ) তোলা । কিছু কিছু ছবিতে আসলে এইচ.ডি.আর এর ফলাফলটা কিছুটা বেশি রকমের হয়ে গেছে ( ১, ৭, ১১, ১৪ ) ।

হাই ডেফিনিশন রেঞ্জ অবশ্যই কিছু অদ্ভুত ( সুন্দর অর্থেই বলছি ) এফেক্ট দেয় । তবে মাঝে সাজে ন্যাচারাল আলোর ছবি চোখ এবং মনের জন্য অনেক বেশি আরামদায়ক ।

ভালো থাকবেন ।

দস্যু ঘচাং ফু
===================================================
মানবতা ব্যপারটা বড়ই পুঁদ্দিচেরি । তাই আমি আজি মানবতারে ধিক্কার জানায়ে দানবতার গান গাই

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ধন্যবাদ জনাব দস্যু ঘচাং ফু। আসলে এখানে একটা ছবিতেও HDR করে লাইটের এফেক্ট আনা হয়নি। আমি আলো নিয়ে খেলতে বেশ পছন্দ করি আর আমি যা দেখি সেভাবেই আমার ছবি গুলোকে উপস্থাপন করি না, আমি যেভাবে দেখতে চাই - ওটাই আমার উপস্থাপনা। এখানে ফটোশপের ডজ-বার্ণ আর নিক ভিভেযা ব্যাবহার করে লাইট নিয়ে খেলেছি, এই যা।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

মেঘলা মানুষ এর ছবি

বলেন কি? আমিও ভুল করে ভেবেছিলাম ছবি বুঝি HDR করে তুলেছেন।

@ দস্যু ঘচাং ফু: জিনিসটা সম্ভবত হাই ডেফিনিশন ডায়নামিক রেঞ্জ।

শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

এইরে। যাতা ভুল করে ফেলেছি । শুধরে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ

দস্যু ঘচাং ফু
===================================================
মানবতা ব্যপারটা বড়ই পুঁদ্দিচেরি । তাই আমি আজি মানবতারে ধিক্কার জানায়ে দানবতার গান গাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও ভেবেছিলাম এইচ.ডি.আর।

আগেই বলেছি, ছবিগুলা ( অধিকাংশই) সুন্দর। ২/১ টায় কেবল আলোর কারসাজিটা একটু চোখে বাধছে, এই যা।

ভালো থাকবেন । ছবিবাজি চলতে থাকুক।
দস্যু ঘচাং ফু
===================================================
মানবতা ব্যপারটা বড়ই পুঁদ্দিচেরি । তাই আমি আজি মানবতারে ধিক্কার জানায়ে দানবতার গান গাই

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

দুঃখিত, আসলে আমি হয়তো বুঝিয়ে বলতে পারিনি ব্যাপারটা। সবগুলো ছবিই ৯টি এক্সপোজার ব্ল্যান্ডেড HDR কিন্তু আলোর যেই খেলাটা সেটা HDR ইফেক্ট দিয়ে করিনি, করেছি ফটোশপের ডজ-বার্ণ আর নিক ভিভেজা দিয়ে। ইচ্ছা করলে HDR দিয়েও আলোর কারিকুরি করা যায়, কিন্তু আমি সাধারণত HDR ইফেক্ট ৪০%-৪৫% এর মধ্যেই রাখি নইলে কেমন একটা গেমিং ওয়ার্ল্ড টাইপ ভাব চলে আসে।

আশা করি বোঝাতে পেরেছি।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অতিথি লেখক এর ছবি

HDR বা ফটোশপ যাই হোক না কেন ছবিগুলো আমার ভালো লেগেছে এবং প্রথমবার কোন লেখায় আমি ছবি দেখে লেখা পড়তে ভুলে গেছি চলুক । আগামী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

ফাহিমা দিলশাদ

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। পরের লেখাটা এই এলো বলে দেঁতো হাসি

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

মোজাম্মেল_কবির এর ছবি

চমৎকার ছবি এবং লেখা ।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ধন্যবাদ।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

নজমুল আলবাব এর ছবি
অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ধন্যবাদ

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমি চট্টগ্রামের লোক হয়েও মাত্র সেদিন খৈয়াছড়া নামটা জানলাম পত্রিকার পাতায়। খবরটাও তেমন সুবিধার না। কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে খৈয়াছড়া দেখতে গিয়ে ক্যামেরা মোবাইলসহ সর্বস্ব হারিয়েছে ছিনতাইকারীর হাতে, উপরি হিসেবে খেয়েছে জনগণ আর পুলিশের মার। খবরটা পড়ে ভাবতেছিলাম, পোলাপানের কাজ নাই খামাকা অখ্যাত অজাগায় ঘুরে বেড়ায়, আর বিপদ ডেকে আনে। কিন্তু আপনার লেখা আর ছবি দেখে ভুল ভাঙলো, বুঝলাম কিসের টানে পোলাপান ওদিকে গেছিল। জায়গাটা যেমন অসম্ভব সুন্দর। তেমনি ছবিগুলোও জটিল রকমের সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর জায়গা আমার শহরের এত কাছে অথচ কোন খোঁজই পাইনি এতকাল। ঘুরাঘুরি চলুক সাথে ফটুবাজিও। চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।