এখন ও কাথার নিচে মাথা গুজে দেয়া, পাজর বহুমাত্রিক ছন্দে উঠা নামা করছে।বেশ কিছু সময় কেটে গেল।তাও কম্পান্ক কমছে বলে হলো না। কিছুটা ধাত্স্ত হবার পর মনে করার চেস্টা করল, ঠিক কি ঘটেছে।ঘুমে ছিলো, তা নিস্চিত তো!এখন কার চারি পাশ ঠিক তখনকার মতো ছিল না।ছুটে চলছে।
আবার ও মনে করার চেস্টা করলো, হম বাবা ই তো, হাতে কিছু ফুল।ফুল গুলো হাত থেকে ঝুলে আছে নিচের দিকে, সাদার মাঝে আরো একটা ভিন্ন রং, খুব হালকা রং এর ফুল।বেশ হাসি খুশি।দেখে ই থেমে গেলো।আগের সেই আন্তরিক ভন্গিতেই বলছিলো, কই যাস?
খুব অবাক হয়ে একটা অপরাধবোধ নিয়ে বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।বাবা কে সে খুন করে এসেছে, যদিও তার ইচ্ছাকৃত নয়। কেমন করে খুন হলো ঠিক মনে নেই, শুধু জানে খুন হয়েছে,সেই খুনের বোঝা নিয়েই সে ঘুরছে,আর বাড়ি মুখী হয়নি।
সেই পথচলায় ইনা কত ভয়, এখন ও ডিপ ডিপ করছে,কত মানুষের সাথে দেখা হলো,এই অপরাধবোধ নিয়েই শুয়েছিল অজানা কারো পাশে,তার আবার ধর্মীয় রীতির কারনেই একটা নির্দিস্ট ভন্গি তে শুতে হয়, এই চেহারা ও পরিচিত।এই এক ই চেহারার মানুষের সাথে সে অন্য কোথাও সময় কাটিয়েছে, হমম কোন ক্যাফেতে, কবিতা শুনাচ্ছিলো।অনেকটা ই ভুলে গিয়েছিল তার অপরাধের কথা।আবার এই মানুষটাই তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছিলো, না ঠিক এই মানুষটা না, সম্পূর্ন ভিন্ন একজন মানুষ, ভিন্ন সময়, ভিন্ন স্থান কিন্তু সব চেহারা একই রকম লাগছিল। ঠিক এমনি একটা মানুষের হাত ধরে ই সেই পালিয়েছিল।সেই প্রথম বলেছিলো , আমার হাতে বাবার খুনের কথা।সে কোথায়?
কিছুই মিলছে না ।এমনি সময় ঘুম ভেন্গে যায়।এখন ও বুক ডিপ ডিপ করছে।
বেশ পানি পিপাসা পেয়েছে, বিছানার পাশে পানি নিয়ে ঘুমানো হয় না।পানি খেতে নীচে যেতে হবে। এখন ও ভয় যাচ্ছে না। এই কাপুনী নিয়ে ই ভাবছে ভয় কিসে পেল!!
মন্তব্য
স্বপ্নের ভয়গুলো বাস্তবে কেমন হাস্যকর মনে হয়, তাইনা? আমি খুব কম সময়ই স্বপ্নের ভয়গুলোকে বাস্তবে অনুভব করতে পেরেছি। স্বপ্ন-মোহাবিশ্ট থাকার সময়েই শুধু এর প্রভাব কাজ করে।
...............................
খাল কেটে বসে আছি কুমিরের অপেক্ষায়...
- ভেরী সিম্পল, পাশের জনের দজ্জাল মুখ দেইখাই ডর টা পাইছে!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পাশে কেউ থাকলে তো হতো!!!
নতুন মন্তব্য করুন