৬টা, ১০টা,২টা,আবার ৬টা, ১০টা,২টা চলতাছে এইভাবেই।প্রতি ৪ঘন্টা পর পর সিফ্ট পরিবর্তন হয়।একদল কাজ থেকে বের হয় একদল কাজে ঢুকে,তাদের সাথে সাথে আমাদের ও রুটিন হয়ে যায় সব কিছুর। ১০টার বাশী দিলে ই বুঝি, স্কুলে যাবার সময় হয়েছে।এই ভাবে ই নিয়ন্ত্রিত হয় আমাদের জীবন বাশীর সুরে।নিয়ন্ত্রন করে হাজার হাজার মানুষের জীবন।সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার বিল পায়,তাই দিয়ে কেনে চালডাল তেল নুন।ঐদিন হাতে একটা মাছ বা একপোয়া মাংস বা এক হালি ডিম নিয়ে প্রথমে ই যায় মুদি দোকানির কাছে,গত সপ্টাহের বাকী শুধ দিয়ে এই সপ্তাহের চালডাল তেল বাকীতে কিনার জন্য।তার পর এক খিলি পান বা সিগারেট মুখে গুজে ১২-১২ ফুটের এক কক্ষের আবাসে ফিরে ।তিন চার বছর আগেও আমি দেখেছি স্থয়ী কর্মিদের বেতন সপ্তাহে ৩০০-৪০০ টাকা। এই দিয়ে তারা বাসা ভাড়া দেয়,৪-৫ জনের সংসার চালায়,দেশের বাড়িতে মায়ের জন্য কিছু টাকা তাও দিতে হয়।এখন ও বুঝিনা কি করে সংসার চলে তাদের।প্রায় ই না খেয়ে কাজে যাওয়া,অভাব অনটনে ঘরে ঝগরা ঝাটি, কয়েকজায়গায় সেলাই করা শাড়ী লুঙি।তাও জীবন চলে,পেটে দুটো দানা পড়ে।তাদের শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না।মিল এর স্কুলের এতো ধারন ক্ষমতা নাই যে এতো এতও ছেলে মেয়ে পড়াবে।আমি এমন অনেক মেধাবী ছেলে মেয়েকে দেখেছি, স্কুলের ইউণিফর্ম বানানোর পয়সা নাই বলে স্কুলে যাচ্ছে না।
মাঝে মাঝে ই ছাটাইয়ের হিরিক পরে।তখন সবাই থাকে ততস্ট হয়ে। কার নাম পড়ে।ছাটাই মানে চরম দুর্ভোগ।আশে পাশের দোকানীরা ও ভীত হয়ে পড়ে, তাদের বাকীর টাকা পাবে তো?!!তখন হলো এক বেলা আদ বেলা খাওয়া, রিখশা চালানো, অনভস্থতায় অসুস্থ হয়ে পড়া।কেউ কেউ সব ছেড়ে নিঃস্ব হয়ে দেশের বাড়ি চলে যায়।সেখানে ও কিছু হয়না।জমি জমা থাকলে তো চাষ বাস করতো।টাদের শিশুরা চিকিৎসা পায় না,শিক্ষা পায় না।এই সব ই আমার নিজের দেখা সৃতি।
সব আবার চোখে ভেসে উঠছে পত্রিকার পাতা উল্টে। নরসিংদীতে আমার বাসার পাশে দেশের ৩য় বৃহত্তম পাটকল ইউ,এম,সি (ইউনাইটেড,মেঘনা,চাদপুর)।এই মিলকে অবল্বন করে তৈরী হয়েছে এক বিশাল ব্যাবসায়ী গ্রুপ।এর চার পাশে বিশাল বাজার,যার মূর খদ্দের শ্রমিক রা,এর মাঝে আছে যারা মিলের ভিতর জুটের ব্যাবসা করে।এই মিল কখনও বন্ধ হলে ১০০০০ শ্রমিকের পাশা পাশি রুটি রুজি বন্ধ হবে আর ও কম করে হলেও ২০০০ স্থনীয় লোকের।এই ১২০০০ হাজার লোকের দায় ভার সরকার নিবে না।তাদের কি হবে, আমাদের কত আত্মিয় বন্ধু জড়িত এর সাথে তাদের কি হবে?
খুল নার দিকে তাকালে ই দেখি কি হয় অবস্থা।তারা কোঠায় যাবে কি করবে, সেই হাজার ৩০ সেক টাকা নিয়ে কি এমন করা যায় এই দেশে।একচিলতে মাটি ও কেনা যায় না। আর ও কস্ট লাগে যখন গত সরকারের মন্ত্রিদের মতো এখনকার উপদেস্টারা ও বলে আল্লার রহমত আছে , কিছু হবে না। হ্যা সব রহমত তো ওদের জন্য দিয়া শেষ কইরা ফেলছে,তোদের দেয়ার মতো খোদায় কিছু রাখে নাই,এি জন্য ই তোরা খোদার উপর খুদ্দারি করস।খোদার রহম না থাইকা যদি আপনাদের একটু রহম থাকতো, একটু বিবেক বুদ্ধি থাকতো তাই লে এই খোদার রহম টুকু ও আপানাদের দিয়ে দিত ঐ শ্রমিক রা।এখন ওনাদের যদি কর্ম হীন করা হয় , করা হয় রোজগার হীন, চারদিকে হই হই পইড়া যাইবো, যদিও ওনাদের রোজগার হীনতায় ওনার মেয়েকে রাস্তায় দেহ ব্যাবসা করতে হবে না, ওনাকে ও করতে হবে না,বাসায় এসে পাওনাদার গলা টিপে ধরবে না, তবু খোদার অশেষ রহমত ধন্য আমাদের উপদেস্টার রোজগার হীনতা আমাদের জাতীর বিবেকের কাছে বড় প্ড়শ্ন বোধক চিহ্ন হয়ে ই থাকবে, আর সবাই জাপায়ে পরবে এর উত্তর সন্ধানে।একটু রহমতের আশায়।
যেখানে পাশের দেশ ভারত পাকিস্থান পাট ব্যাবসা করে আয় করছে, সেখানে আমারা এই ব্যাবসা উঠায়ে দিচ্ছি।যে টাকা গোল্ডেন হ্যান্ড সেহের মাধ্যমে দিবে(!) ওই টাকা এর প্রযুক্তি গত উন্ণয়ন ও ভিন্ণ বস্ত উৎপাদনের ব্যাবস্থায় ব্যয় করুক। এি ভাবে আধুনিক প্রযুক্তিকে ভয় পেয়ে যদি সব বন্ধ করে দিতে থাকি তাহলে তো আমাদের আর কোনো কারখানা থাকবে না, কোন উৎপাদন থাকবে না। তখন সবাই উপদেস্টা হয়ে ঘুরে বেড়াবে আর খুদ্ডারী করবে।
মন্তব্য
শ্রমিকদের কিছুই ক্ষতি হবে না এসবে । আমাদের উপদেষ্টা সাহেবান গীতি আরা জানাচ্ছেন "আল্লাহর রহমত" আছে বিধায় তারা কেউ মরবেন না ।
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
চিন্তা নাই কোন! আল্লার মাল, আল্লায় দেখবো।
কি মাঝি? ডরাইলা?
তবুও গড়ে উঠে আগোরা নন্দন শপিং সেন্টার। আমাদের অভিজাত মানুষরা সেখান থেকে ৬০০ গ্রাম ইলিশ মাছ হাজার টাকায় কিনে। তারপর লেক্সাস ফিয়াটে ঘরে ফিরে।
গরীবের ভরসা 'আল্লাহর রহমত'।
_________________________
'আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোন দিন নয়'
একটা পুঁজিবাদী দেশে এই গুলি হইবোই...যদি মনে করেন এই বৈষম্য এক্সিস্টিং ব্যবস্থা রাইখা পাল্টাইবেন তাইলে বোকার স্বর্গে বাস করেন...নন্দন আগোরা কিম্বা হাজার টাকার ইলিশ মাছ বন্ধ করনের আগে বা তার বিরুদ্ধে কথা কওনের আগে আসলে সিস্টেমের বিরুদ্ধে কথা কওনটা জরুরী।
অপালার পোস্টের শেষ অংশ পছন্দ হইছে...তয় গরীবরে মহান করনের ব্যাপারটা আমার মাঝে মাঝে ক্লিশে লাগে। মহত্ম আরোপ কইরা আসলে কোন পজিটিভ পরিবর্তন সম্ভব না...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
আমরা অনেক সময় নিজেগো সামাজিক অবস্থানে থাইকা গরীবগো মাহাত্ম কিম্বা ত্যাগ কিম্বা মেধা নিয়া কথা কই...এই প্রক্রিয়াতে ভুল থাকনের সম্ভাবনা থাকে প্রচুর, শ্রেণীর সংস্কৃতি আসলে এইসব এলিমেন্টরে অন্য সংস্কৃতির মতোই বানাইয়া ফেলে...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
আমি যে কথা বলতে চাইছিলাম তা হাসিব ভাই বলে দিয়েছে। এইটা কি কইলো এই আল্ট্রাস্মার্ট মহিলা! প্রধান উপদেষ্টা বলছে সে এই বিষয়ে কিছুই জানেনা! হায় সেলুকাস, এই দেশ কে চালায়?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সিস্টেম নিয়ে কথা বলবে কে, যেই সিস্টেমে যায় সে নিজে ই "সিস্টেম" হয়ে যায়। সমস্যা টা ঐ খানে ই।আমি জানি না পাটকল গুলো লাভজনক অবস্থায় চললে সিস্টেম এর কি ক্ষতি হবে। এর জন্য হয়তো তাদের একটু মাথা ঘামাতে এই যা,তাদের গাটের পয়সা তো দিতে হবে না।
আমি শ্রমিকের এই অবস্থা কে কোনভাবে ই মহান মহত করে তুলতে চাই নি। তারা যে আল্লার রহম পুস্ট সেটাই বুঝাতে চেয়েছে। এমন কি আমাদের উপদেস্টাদের তুলনায় অনেক বেশী রহম খোদা তা আলা তাদের করেন তাই দেখাতে চেয়েছি।আর একটা বিষয় দেখাতে চেয়েছি,এই অবস্থায় চাকরী গেলে মানুষ গুলোর কি হতে পারে এর একটা ধরনা দেবার জন্য। তাদের অবল্বনের জায়গা এটা।আর তাদের চাকরী যাবে ই বা কেন? যেখানে সুজোগ আছে এই শিল্প গুলোকে বাচানোর সেখানে এি শিল্প গুলো বন্ধ ই বা হবে কেন। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যদি ভারত, চীনের সাথে পাল্লা দিয়ে ও ব্যাবসা চালায়ে যেতে পারে, পাট শিল্প কেন বন্ধ হবে? এর এক মাত্র কারন কি এই গুলো সরকারী সংস্থা?? আর সরকার তার সময় মেধা বুদ্ধি কৌশল ব্যবহার করে কামায়ে ফেলতে চান শুধু এই কারনে!!!
সবসময়ই একজন গোপালভাঁড় দর্শনের সৌভাগ্য আমরা পেয়েছি।
ভাঁড় ১ - নাসিম, মাটির নীচ থেকে সন্ত্রাসী দরে আনা হবে।
ভাঁড় ২ - আলতাফ, আল্লার মাল আল্লায় নিছে।
ভাঁড় (নাকি ভাঁড়িনী) ৩ - গীতি আরা, আল্লাহর রহমত আছে. কেউ মরবে না।
ছোট্ট একটা জিজ্ঞাসা - আপনি কি স্বরহীন আপু?
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
মনে হয়!!
এই সব কোটেশন সূতা দিয়ে রুমালে তুলে বাধাই করে রাখা উচিৎ। আপদ কাললিন সময়ে খালি ঐ গুলোর উপর চোখ বুলাবে।
ঠিকাছে। থ্যাংখুশ।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
"আমি জানি না পাটকল গুলো লাভজনক অবস্থায় চললে সিস্টেম এর কি ক্ষতি হবে।"
সরকারের ভুমিকা কিন্তু হচ্ছে অবহেলায় পঁচে যাওয়া অঙ সারানোর চেষ্টা বা বিকল্প চিন্তা না করে অঙচ্ছেদ করা। সমস্যাটির গভীরে কেউ ভাবে না।
মূল ব্যাপারটি কিন্তু অন্যখানে। এখানে দুটি সমস্যা রয়েছে একটি হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অক্ষমতা।
অধিকাংশ পাটকলই ছিল সরকারী বা কর্পোরেশন। সরকারী প্রতিষ্টানগুলোর যা সমস্যা- লোকসান সরকার বহন করে বলে উদ্দেশ্যপুরনে ব্যর্থ হলে কর্মচারীদের জবাবদিহীতা কম -বেতন ঠিকই পাবে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি একসময় ব্যর্থ হয়ে যায়।
ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে দক্ষতার অভাব। অনেক আগে থেকেই। একারনে বিদেশী কনসালটেন্টের দৌড়াত্ব বেশী। জানিনা তাদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই কিনা সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ ও অভিজ্ঞতাপুর্ন ব্যবস্থাপক নিয়োগ দেয়া হয় না। তাই মার্কেটিং ঠিক মত হয়না, প্রডাকশনে দুর্নীতি হয়, ফান্ড ম্যনেজমেন্ট ঠিকমত হয় না এবং ফলে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
এনজিও বা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্য চিত্র। প্রফট ম্যাকস্মাইজেশন উদ্দেশ্য আর দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্যই গ্রামের কুশলীদের পন্য দশগুন দামে বিক্রি করে ব্র্যান্ড হয় আড়ং। বেক্সিমকো হাড় বেঁচার কন্ট্রাক্ট পায় জাপান থেকে। প্রাইভেট অনেক ব্যান্ক দাড়িয়ে যায় অথচ রুপালি ব্যান্কে অনেক সমস্যা।
পুর্ন বাজার অর্থনীতিতে গতানুগতিক সরকারী (অর্থাৎ লাভ নয় শ্রমিক সার্ভিস অরিয়েন্টেড) প্রতিষ্ঠানগুলোর খাপ খাওয়ানোর সমস্যা হয়। তাই দেখা যায় উন্নত বিশ্বে (জার্মানীর উদাহরন দিচ্ছি) সরকারের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠান খুবই কম। সব কিছুই লিজ দেয়া বা আউটসোর্সিং করা। এবং এগুলো সবগুলিই বাধ্যতামুলকভাবে লাভজনক কারন কোন ভর্তুকী নেই। সরকার নিজস্ব বাড়ি দিচ্ছে পেনশন ভোগীদের জন্যে - ম্যানেজ কিন্তু করছে আরেকটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান - তাদের লাভের অন্ক সার্ভিস পার্ফর্মেন্সের সাথে জড়িত।
আমাদের দেশে তাই বেসরকারীকরন হতে পারে একমাত্র উপায়। অবারিত করতে হবে অন্ত্রপ্রেনিউরদের সুযোগ। জার্মানির মত (৩৫ ইউরোতে একদিনে একটি কোম্পানি খোলার) সুবিধা হয়ত পারবেনা কিন্তু ব্যুরোক্রসি অনেক কমাতে হবে। ব্যান্কিং
ঋণ সংক্রান্ত দৃর্নীতি কিন্তু সরকারি ব্যন্কেই বেশী হয়্ এসব থামাতে হবে। আর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারীকরনের নামে ন্যুনতম দামে পারটেক্সের হাসেমদের কাছে বিক্রিও রোধ করতে হবে।
ব্যাপক প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন হলেই এদেশের সমস্যা দুর হবে। সরকারে ভুমিকা হবে শুধুমাত্র রেগুলেটরী। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আইন প্রনয়ন ও তার বাস্তবায়ন, দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। মানবাধিকারবাদীদের দেখেছি গার্মেন্টস শ্রমিকদের বৈষম্যের দাবীতে সোচ্চার হতে। সেটা ঠিক আছে কিন্তু প্রচার যাতে এমন না হয় যাতে ইন্ডাস্ট্রিটি বৈদেশিক বাজার হারায়। তারা কিন্তু সরকারের ন্যুনতম মজুরী আইন প্রনয়নের উপর জোড় দিচ্ছে না বরং বিদেশ এ নিয়ে শোরগোল মাতাচ্ছে। বাজার হারানোর ফলে ঐ শ্রমিক ছাটাই হলে সরকার আবার হয়ত "আললাহর রহমতের" দোহাই দিবেন। শ্রমিকদের আবার হাউজমেইড হওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না।
×××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পুর্ন বাজার অর্থনীতিতে সরকারি নিয়ন্ত্রনের অস্তিত্ব নেই । পৃথিবীর কোথাও একারনে বাজার অর্থনীতিটা পারফেক্ট ফর্মে নেই ।
আর আমি এখানে জার্মানীর উদাহরনের সাথে একমত নই । টেলিকমিউনিকেশন, ট্রান্সপোর্ট, অলটারনেটিভ এনারজি (সোলার বা উইন্ড) সবকিছুতেই সরকারের নিয়ন্ত্রন গভীর ও ব্যাপকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত । এছাড়া ভর্তুকীর ব্যাপারটাও ঠিক নয় বোধহয় । জার্মানী ৩৪ বিলিয়ন অয়রো সাবসিডি দেয় প্রতি বছর । যেসব ক্ষেত্রে দেয় সেগুলোর একটা ব্রেকআপ দেই, এভিয়েশন ৯.২ বিলিয়ন, কার ইন্ডাস্ট্রি ৭.৯ বিলিয়ন, অন্যান্য শিল্প ৭.৮ বিলিয়ন , কয়লা খনি ৬.৬ বিলিয়ন, পারমানবিক শক্তি ২.৪ বিলিয়ন, কৃষি ০.১ বিলিয়ন ।
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
দারুন মন্তব্য যা নিজে ই একটা পোস্ট হয়ে উঠার দাবী রাখে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অমত তো অবশ্য ই আছে।
প্রথম ত এবং বিশেষত আমি এটা বিশ্বাস করি না শুধু বেসরকারী করনে কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে।অবশ্য ই বেসরকারী প্রতিস্থান থাকবে তবে সরকারী প্রতিষ্ঠান কে বাদ দিয়ে নয়। যদি আমরা দুটি প্রতিষ্থান ধরি, যার একটা সরকারী আর একটা বেসরকারী, তাদের দুই জনের ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা যদি কমপিটিটিভ হয় তবে,যদি সরকার সরকারী প্রতিষ্ঠন গুলোকে তার নিজের প্রতস্ঠান মনে করে চালান সেই ক্ষেত্রে একটা সরকারী প্রতিষঠান একটা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক ভাল অবস্স্থানে থাকার কথা।তারা মন্ত্রনালয়ের খুব কাছের, তাদের জন্য আমলা তান্ত্রিক জটিলতা কম হাবার কথা।প্রতিটা দুতাবাস ব্যব হিত হতে পারে দেশের পন্যের প্রচার প্রসার কেন্দ্র হিসেবে।
কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানে কি কম যোগ্যতা সম্পন্ন লোক জন নেয়া হয়? তা না, তাও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ হয়না কেন? কারন তাদের হাতে কোন কর্ম পদ্ধতি থাকে না, তারা কোন তথ্য বিশ্লেষন করে ভবিষ্যত হিসাব কষে না বা হিসাব কষলে ও এর কোন গুরুত্ব সরকারের নীতি নির্ধারকদের কাছে থাকে না।এভাবে সঠিক পরিকল্পনা, শুধুই পরিকল্পনার ও বাস্টবায়নের অভাবে একেকটা শিল্প ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে।সরকার কেন কোন পজিটিভ সিদ্ধন্ত নিতে ভয় পান। মাথা ব্যাথায় মাথা ফেলে দেয়া কোন সমাধান নয়।
এই যে সরকার এতো বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিসের ভিত্তিতে নিয়েছে? তারা কি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঙ দের সাথে আলো চনা করে ছে? তারা কি এি বিষয় টা খতিয়ে দেখেছে, কেন এটা লাভজনক প্রতিষ্থান না? কি কি করলে এটা কে লাভজনক করা যায়? সেই করনীয় ক্ষেত্রে আমারদের সীমাবদ্ধতা কতটুকু? এই সীমাবদ্ধতা উত্তরনের মতো আমাদের শক্তি কতটা?তারা আমাকে আপনাকে না বলুক,পাটকলের কর্মচারী , নীতিনির্ধারক দের কি এই বিষয়ে বলেছে?স্বচ্ছ কোন ধরনা দিয়েছে? বা কারো কাছে সমাধানের জন্য বুদ্ধি পরামর্শ চেয়েছে? না তা করে নি। তারা প্রথমেই বলে দিয়েছে, বন্ধ করতে হবে।
এই মন মানসিকতা নিয়ে চললে যে কোন প্রতষ্ঠান ই ধ্বংশ হবে।
http://www.shamokal.com/details.php?nid=68515
আবার ও !!
নতুন মন্তব্য করুন