এক খরগোশের খুব সখ হলো ছেলেপুলেদের গাজর খাওয়াবে। নিজের ছেলেবেলা ও গাজর খাওয়ার কথা মনে পড়লে এখনও তার জিভে জল আসে। কি দিনকালই যে ছিল, বনে জঙ্গলে ভরা ছিল সব। বিশাল এলাকা ছিল সবই যেন তাদের নিজেদেরই। সারাদিন ঘোরাফেরা আর খাওয়া দাওয়াই ছিল কাজ। কিন্তু দিনকাল বদলেছে। আজ প্রায় সব বনজঙ্গলই মানুষের খামার, ঘন কাঁটাতারে ঘেরা, ঢোকার উপায় নেই। সারাদিন পালিয়ে থাকাই কাজ। কিন্তু বাছারা আমার রসালো গাজরের স্বাদ কোনদিনই পাবে না তা কি করে হয়।
অদ্ভুত নিয়মকানুন মানুষের, সবকিছুই নাকি কিনে খেতে হয়। পয়সা দিতে পারলে নাকি সবাই সব কিছুই পেতে পারে। নিয়মটা প্রথমে অদ্ভুত ঠেকলেও পয়সা কামাতে পারলে সমানুপাতিক অধিকার পাওয়া যাবে ভেবে নিয়মটাকে একরকম সমর্থনই দিয়ে এসেছে সে।
পশম বিক্রি করে জমানো সামান্য টাকা থেকে দুটো টাকা নিয়ে সে একদিন খুশীমনে দোকানে গেল বাচ্চাদের জন্য গাজর কিনতে। দেখল দোকানে বেজায় ভীড়। মানুষজন বড় বড় ঝুড়ি ভর্তি করে টাটকা সব শাকশব্জী নিয়ে যাচ্ছে। সে দোকানীকে বলল,
:গাজর আছে? দুটাকার গাজর দিন না, বহু দুর থেকে এসেছি।
বড় বড় খদ্দের নিয়ে ব্যাস্ত দোকানী খেয়ালই করল না। একটু গলা চড়িয়ে সে বলল,
:গাজর আছে?
অন্যদিকে চেয়েই দোকানী বলল,
:গাজর নেই।
একটু উকি ঝুকি দিয়ে সে আবার বলল,
:গাজর আছে?
এবার তার দিকে চেয়ে বিরক্ত হয়ে দোকানী বলল,
:বললাম না গাজর নেই।
বিফল মনে সে দোকান থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু হঠাত্ দেখল মানুষ ঝাঁকাভর্তি গাজর নিয়ে দোকান থেকে বের হচ্ছে। আবার সে ফিরে গেল দোকানীর কাছে, বলল,
:গাজর আছে?
ক্ষুব্ধ দোকানী এবার দাঁত খিঁচিয়ে বলল,
:বললাম না গাজর নেই? যা ভাগ, আবার যদি গাজর চাইতে আসিস তাহলে রশি দিয়ে বেঁধে রাখব।
দ্বিগুন হতাশায় সে দোকান থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল। হঠাত্ কি মনে হলো, সে আবার দোকানীর কাছে গেল, এবার বলল,
:রশি আছে?
ব্যাস্ত দোকানী বলল:
:রশি নেই
খরগোশ বলল,
:গাজর আছে?
চোখ তুলে দোকানী বলল:
:ও তুই, আবার এসেছিস? যা ভাগ বলছি, আবার এলে কিন্তু তোকে ছুরি দিয়ে জবাই করে, উনুনে চড়িয়ে একেবারে রোষ্ট করে ফেলব।
ভয় পেয়ে উল্টোপথে হাঁটা দিল সে, কিন্তু কিছুদুর যেয়েই আবার ফিরে এলো দোকানীর কাছে, বলল,
:ছুরি আছে?
মন্তব্য
তারপর?
*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
হাহাহাহা
........................................................
শাহেনশাহ সিমন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভাল হয়েছে।
দারুণ
এই গল্পটা অন্যভাবে শুনছিলাম। আপ্নেরটাও জোস হইছে!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
- এইটা বুজছি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মজা পাইলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুন লাগল
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
নাওয়া খাওয়া বন্ধ কইরা সচলের পশুপক্ষীপোষ্ট পড়তাছি।
আপনার টা পড়তে গিয়া হাসতে হাসতে খিদা লাইগা গেছে.........কিছু খাওয়া দরকার... ......
"গাজর আছে? ভাই? "
দারুণ লাগলো।
মজার! আপনার লেখার ভঙ্গি আসলেই ভালো!
[অন্য প্রসঙ্গঃ আপনার আগের পোস্টে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর একসময় পাবো নিশ্চয়ই?]
ধন্যবাদ।
অবশ্যই।
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
সবাইকে ধন্যবাদ, ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল।
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
নতুন মন্তব্য করুন