Archive - 1970
December 22nd
সাতচাড়া
লিখেছেন নুরুজ্জামান মানিক (তারিখ: রবি, ২২/১২/২০২৪ - ১২:২৬পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
ফেলে আসা শৈশব:
প্রিয় খেলা ছিল সাতচাড়া। আরও খেলতাম দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট,বৌছি, কানামাছি,কুতকুত ইত্যাদি। আর হ্যাঁ বৃষ্টি এলেই ফুটবল নিয়ে ডাইরেক্ট চলে যেতাম মাঠে ফুটবল খেলতে। কোথায় হারিয়ে গেল আমার সেইসব সোনালী শৈশবের দিনগুলি।
August 28th
নয় বছর আগে বাবাকে যেভাবে হারাই
লিখেছেন নুরুজ্জামান মানিক (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৮/২০২৪ - ৯:১০অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
August 22nd
দ্বৈরথ
লিখেছেন নুরুজ্জামান মানিক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৮/২০২৪ - ১২:৩০পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
ওদের সাথে পরিচয় হয়েছিল শৈশবেই। কিন্তু ঠিক কত বছর বয়সে, এখন আর তা মনে নেই। ওরা যমজ বোন। অবশ্য যমজ হলেও দেখতে কিন্তু এক রকম নয়। একজন অপরূপা জাদুকরী, অন্যজন কুৎসিত কৃষ্ণবর্ণের। ওরা দুজনেই আমার প্রেমে পড়েছিল এবং আমাকে চেয়েছে। কিন্তু আর দশজনের মত আমিও সুন্দরীর দিকেই ঝুঁকেছিলাম। ওই রমণী যাকে আমার হৃদয় কামনা করে, সে এক অনুপম সৃষ্টি, যাকে দেবতারা পায়রার যুগলবন্দী প্রেমে রূপ দিয়েছেন। তাকে নিয়েই কবিতা লিখি
August 9th
একদিন সবকিছু গল্প হয়ে যায় ১
লিখেছেন নুরুজ্জামান মানিক (তারিখ: শুক্র, ০৯/০৮/২০২৪ - ৪:৩৯অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
মধু মাসে আব্বার সাথে শেরপুর যেতাম। দাদার বাড়িতে বিভিন্ন জাতের আমগাছ ছিল। দাদি আম পেড়ে দিতেন, মজা করে খেতাম। এখন আর বাড়িতে আম গাছ নেই, দাদা-দাদিও নেই। দাদার বাড়ি থেকে গরু গাড়িতে চড়ে নানার বাড়িতে যেতাম। নানা প্রতিদিন সকালে একটা কাঠাল পেড়ে দিতেন নাস্তা হিসেবে। এখন নানার বাড়িতে আর ক্সঠাল গাছ নেই, নানাও নেই। সে সময় আমরা ঢাকায় খিলগাঁও থাকতাম। আব্বা বাজার থেকে খাচি ভর্তি আম কিনে এনে বলতেন নে আমার মানিক আ
August 1st
নির্ঘুম রাত
লিখেছেন নুরুজ্জামান মানিক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৮/২০২৪ - ৫:৩৪অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
ঘুমের ঔষধ খেয়েও
নির্ঘুম কাটছে রাত ।
ক্লান্তিতে,
ভীতিতে,
এঞ্জাইটিতে,
বাবার মৃত্যুতে,
মায়ের অসুখে,
অভিমানে
ও নানাবিধ কষ্টে,
আমার অনেক ঘুম জমা আছে ।
এসব ঘুমের বিনিময়ে
আমি বানাবো কবিতা ।
কবিতা পুড়ালে সেই অগ্নিতে স্নান করে মায়কোভস্কি হবো।
মৃত্যুই হবে আমার শেষ অভিমান ।
July 28th
আহমদ ছফার শ্রাবণে মৃত্যু নিয়ে বিচিত্র ভাবনা
লিখেছেন নুরুজ্জামান মানিক (তারিখ: শনি, ২৭/০৭/২০২৪ - ৮:৩২অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
- গবেষণা
- রাজনীতি
- ব্লগরব্লগর
- চিন্তাভাবনা
- সমাজ
- গ্রন্থালোচনা
- স্মরণ
- সাহিত্য
- নির্বাণ
- ফরহাদ মজহার
- ফানা
- সলিমুল্লাহ খান
- হুমায়ুন কবির
- সববয়সী
আহমদ ছফা এই ধূলির ধরা থেকে বিদায় নেন শ্রাবণের ১৩ তারিখে বঙ্গতয় ১৪০৮ সালে । তখনই মনে এই প্রশ্ন উঁকি দেয় মরিবার জন্য ছফা ভাই কেন শ্রাবণকেই বেছে নিলেন? শ্রাবণ মানেই তো মেঘের ক্রন্দন যাকে আমরা মিষ্টি করে বৃষ্টি বলি । সেই বৃষ্টির দিনে আনন্দ করে ভেজা যায় কিংবা বাদুর ঝোলার মত বাসে চড়ে অফিস ঘরে কামলাগিরীও করা যায় কিন্তু মরা কি ঠিক ?
July 25th
হ্যাঁ আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি
লিখেছেন নুরুজ্জামান মানিক (তারিখ: বুধ, ২৪/০৭/২০২৪ - ৭:১০অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
[কর্নেল তাহেরকে নিয়ে এই লেখাটি ২০০৮ সালে প্রথম সচলায়তনে প্রকাশিত হয় কিন্তু এটি আর সচলে নেই । পরে একুশে বইমেলা ২০০৯এ শুদ্ধস্বর হতে প্রকাশিত আমার 'স্বাধীনতা যুদ্ধের অপর নায়কেরা ' গ্রন্থে মুদ্রিত কিন্তু বইটি আর বাজারে নেই । গত ২১ জুলাই ছিল তাহেরের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী তাই তাহেরের স্মরণে আবার দিলাম]
July 12th
আল মাহমুদের কবিতার চিত্রকল্পে নারী
লিখেছেন নুরুজ্জামান মানিক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৭/২০২৪ - ৭:২৩অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি। কবিতার শব্দ ব্যবহারের স্বতঃবেদ্য স্বাভাবিকতা এবং বিশ্বাসের অনুকূলতা নির্মাণে তিনি নিঃসংশয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় একজন অগ্রগামী কবি। প্রখ্যাত সমালোচক অধ্যাপক শিবনারায়ণ রায় বলেন, সমকালীন যে দুজন বাঙালি কবির দুর্দান্ত মৌলিকতা এবং বহমানতা আমাকে বারবার আকৃষ্ট করেছে তাদের মধ্যে একজন হলেন বাংলাদেশের আল মাহমুদ, অন্যজন পশ্চিমবঙ্গের শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
July 9th
নবালি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: সোম, ০৮/০৭/২০২৪ - ১১:২৫অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
বাথরুমে খচরমচর শব্দে শেষ রাইতে ঘুম ভাঙলে পাত্তা দেয় না নবালি। বৌ বাথরুম করে ভাইবা পাশ ফিরতে গিয়া দেখে বৌ তো ঘুমায়। তারপর আর কিছু ভাবার আগে ঘুম চইলা আসায় ফটাশ ফটাশ শব্দে আবার ঘুম ভাঙলে সে ভাবে ঘরের কোনো পোলা বোধহয় বাথরুমে হাত মারতে আছে। আবার পাশফিরা শোয়ার সময় বাথরুমের দরজার তলা দিয়া কোনো আলো না দেইখা নবালি মনে মনে কয়- লাইটটা জ্বালায়া নিলে পারত…
July 5th
দাঁড়াও।
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: শুক্র, ০৫/০৭/২০২৪ - ১১:২৬পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
এত ছুটলে; হারিয়ে ফেলবে নিজেকে।
বুঝতে পারবে না- তুমি এখন কোথায়;
ভুলে যাবে- কোথা থেকে এসেছিলে;
খুঁজে পাবে না
কোথায় যাচ্ছো;
তাই নিজের কাছে এসে
একটু স্থির হযে বসো।
এবার বলো,
কে তুমি?
তিনি আবার কহিলেন;
“বলো, তুমি কে ?”
এই অসীম নীল আকাশ,
রাতের অন্ধকারের ভেতর জ্বলে থাকা ঐ তারাদল,
তার নীচে এই পৃথিবী, সেখানে— এই যে আমি
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিভ্রমণ করছি
কে সে?