আমি ইদানীং খুব বুঝেশুনে সুশীল একটা বিষয় নিয়ে কিংবা বলতে পারেন নিতান্তই ভদ্রগোছের, সহজ একটা বিষয় নিয়ে কাজ করতে আরম্ভ করেছি। সেটা হলো খাদ্যসংস্কৃতি। খাবারের সংস্কৃতি আরকি। যাইহোক আর তাইহোক, রবীন্দ্রনাথেরও ক্ষুধা লাগতো। আইনস্টাইনও খেতেন। হিটলারও বিষয়টা অপছন্দ করতেন না। তাই একটু খোঁজখবর করার চেষ্টা। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা নেহাতই সাদামাটা একটা বিষয়!
অনেকেই বলছে কিংবা অনেকেই মনে করে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার বিষয়ে নীরব কিংবা সেটা কে সমর্থন করে। এবং এই ৮০ ভাগ মানুষের বিপক্ষে গেলে আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতি তে নিশ্চিত পরাজিত হবে। ঠিক এ কারনে আওয়ামী লীগ এখন তাদের আদর্শ আর নীতি থেকে দূরে সরে এসেছ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এমন মতের সাথে প্রচন্ডভাবে দ্বিমত পোষন করি। ৮০ ভাগ মানুষ এমন ঘটনায় সমর্থন করলেও এই ৮০ ভাগের সব মানুষ কিন্তু বিএনপি-জা
গত পর্বে লিখেছিলাম ব্যাটারি বা ইজি বাইকের নিবন্ধণ বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। আজকে বলবো কেন, কিভাবে ও কারা এদের নিবন্ধন, উৎপাদন ও আমদানি বন্ধ করেছিলো। একটা কথা আগেই বলে রাখি, ব্যাটারি বাইক কিন্তু এখনো নিষিদ্ধ একটি যান, আইনত!
২০১০ সালে ন্যাশনাল রোড সেফটি কাউন্সিলে ('জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল' হবে কি?) সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে ব্যাটারি বাইকগুলোকে আর নিবন্ধন করা হবে না। ইতোমধ্যে কিন্তু প্রচুর পরিমানে ইজিবাইক রাস্তায় নেমে গেছে এবং নিবন্ধন করে তারা বৈধতাও নিয়ে ফেলেছে। যাকগে, সে সময় (২০১০) এদের আমদানি নিষেধের প্রস্তাবনা দিয়ে একটি চিঠিও দেয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের ২২শে নভেম্বর সকল বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেয়, সব জেলার রাস্তা ও মহাসড়ক(হাইওয়ে)গুলো থেকে ইজি বাইক চলাচল বন্ধ করতে।
[justify]
জানালার নীল পর্দা জানে,
আজগুবিতে পাওয়া আপনার সাথে আমার যে সংসার
সেখানে গাঁয়ের পানাপুকুর
সন্ধ্যায় সহজ পোশাক
সেখানে কিছুটা তরল আকুতি, ভারসাম্যহীনতায় নুনের অনুবাদ
পাহাড়তলির বৃষ্টির মতন জলজ কাতানে নামহীন রাত্রির কোরাস নামলে... বুনো নিঃসঙ্গ যাপনের চুম্বকত্ব অপ্রবল হয় ধীরে আর কখনো কখনো সূর্যের অস্ত এবং ’দয় অনুচ্চারিত ঘুম নামক পলাতক মৃত্যুতে...
সেখানে আমাদের পীত সবুজের ঘর
নিউইয়র্ক টাইমসে পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক সিডনি শনবার্গ লিখেছিলেন: হিন্দুদের মধ্যে কেউ কেউ জীবন বাঁচানোর জন্য ধর্মান্তরিত হতে চেয়েছিল। লাভ হয়নি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গুলিতে ওদের মৃত্যু হয়েছে। শুনতে পেলাম এপ্রিল মাসে ফরিদপুরে দুজনের গলা কাটার পর তাদের শরীর কেরোসিন তেলে ডুবিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। দুইজনই হিন্দু সম্প্রদায়ের।...১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা ফরিদপুরের বদিডাঙ্গিতে ৩০০
(কিছু চরিত্র কাল্পনিক, কিছু বাস্তব। কারো সঙ্গে মিলে গেলে লেখককে দোষারোপ করবার পূর্বে নিজেকে শুধরে নিয়েন।)
অনেক দিনই হলো রিকশার ছবি আঁকা ছেড়ে দিয়েছেন রোবু। রোবু আর্টের রোবু যার পুরো নাম রবিউল ইসলাম। রোবু বানানটাও অবশ্য রোবু নিজে লিখতেন রবু, উচ্চারনের ধরন অনুসরন করেই রোবু লিখছি। রোবুর কথা প্রথম জেনেছিলাম জোয়ানা কার্কপ্যাট্রিকের লেখা থেকেই। অথচ আমার শহরেই ছিল রোবুর ছবি আঁকার দোকান রোবু আর্ট। এক সময় নাকি লাইন দিয়ে রিকশায় ছবি আঁকাতে লোক দাঁড়িয়ে থাকতো। সে সময় রিকশার ছবি নিয়ে অনুসন্ধানে বিশেষ মন ছিলনা বলেই হ
আমার গবেষণার বিষয় মূলত ট্রান্সপোর্টেসন ইঞ্জিনিয়ারিং (বাংলাঃ পরিবহন প্রকৌশল/যোগাযোগ বা যাতায়াত প্রকৌশল হবে কি?), যার একটা বড় অংশ জুড়ে আছে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট বা প্যারাট্রানজিট। এদেরকে বাংলা করা যায় 'অনানুষ্ঠানিক পরিবহন' ব্যবস্থা হিসেবে। আমি এদের 'বিধিবহির্ভূত বা নীতি/নিয়মবিরুদ্ধ পরিবহন' বলে অভিহিত করতে চাই না। ট্রাফিক বা রাস্তায় চলা যানবাহনসমূহকে খুব মোটাদাগে দুভাগে ভাগ করে ফেলা যায়, (১) প্রাইভেট (ব্যক্তিগত) ও (২) পাবলিক (গণপরিবহন)। তাদের চমৎকার সব সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কিন্তু এই লেখা বিষয় তা নয়। প্যারাট্রানজিট হচ্ছে এই দুই ধরণের মাঝামাঝি ব্যবস্থা, তাদের কারো কারো ব্যক্তিগত পরিবহনের সাথে বেশ ঘনিষ্ঠতা, আবার কাউকে গণপরিবহন বলেও চালিয়ে দেয়া যায়।
যদি বাংলাদেশের কথা চিন্তা করি, তবে এদের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে রিকশা। এটি কিন্তু একদম ব্যক্তিগত পরিবহনের মত, বাসার সামনে দাঁড়িয়ে হাক দিলেই পাওয়া যায়, আবার ঠিক বাসার সামনে এসে নামিয়েও দিয়ে যায়। এমন আরো রয়েছে অটোরিকশা, সি এন জি বা বেবিট্যাক্সি, যে নামেই তাকে ডাকি না কেন। অন্যদিকে, আবার আছে লেগুনা বা হিউম্যান হলারগুলো, যেগুলো বাসের মতই চলাচল করে এক বা একাধিক নির্দিষ্ট রুটে, তাদের ধরতে হলে উঠতে হয় কোন নির্দিষ্ট স্থানে (অধিকাংশ সময়ই যা হয় কোন রাস্তার মোড়, বহুলপরিচিত কোন অফিস বা বিখ্যাত কোন বাজার ইত্যাদি)।