খন্দকার মোশতাক আহমেদের চোখে ঘুম নেই।
আমাদের জানামতে, সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। অন্তত মানুষ তাই ভাবে। অন্যকোনো প্রানীর মধ্যে এ ভাবনা আছে কিনা তা জানা নেই, আর থাকলেও তার সাথে মানুষের মিথস্ক্রিয়ার প্রক্রিয়া হয়ত এখনও সম্ভব হয় নাই। মানুষ অবশ্যই শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার তার চিন্তাশক্তি, সৃজনশীলতা এবং তা বাস্তবে রূপান্তরের সামর্থ্যের কারনে। অন্ততঃ পৃথিবী নামক এই ক্ষুদ্র গন্ডীর মধ্যে সমগ্র জীবের উপর সে তার আধিপত্য কায়েম করতে পেরেছে। মানুষ তার শ্রে
পাখি লতা পাতা ফুল
এসব ছাড়া বাকী যা দেখছ ভুল
লতা পাতা ফুল পাখি
আঁধার রাত্রি এখনো অনেক বাকী
ফুল পাখি পাতা লতা
এসব ছাড়া বাকী সব বাতুলতা
ফুল পাখি লতা পাতা
বন্ধ কলম, বাঁচাতে চাইলে মাথা
সম্প্রতি Historicizing 1971 Genocide: State versus Person নামে একটা বই হাতে পেলাম। ২০০৯ সালে প্রকাশিত বইটির লেখক Imtiaz Ahmed, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেখানকার Centre for Genocide Studies এর ডিরেক্টর।
বইটির শিরোনাম, ‘একাত্তরের ইতিহাসকরণ’ অবশ্যই ইন্টারেস্টিং এবং প্রমিসিং, সুষ্ঠুভাবে একাত্তরের ঘটনাবলীর ইতিহাস লেখার যে কোনো প্রয়াসই প্রশংসনীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সে কাজ করতেই পারেন। বিশেষত লেখক নিজেই বলছেন যে তিনি একাত্তরের জিনোসাইড বিষয়ে প্রায়ই একাডেমিক বক্তৃতা দেন, যাতে নাকি এমনকি পাকিস্তানি গবেষকরাও আগ্রহী। তবে বইটির উপ-শিরোনাম অদ্ভুত লাগল, একাত্তরের ইতিহাস রচনার প্রয়াসকে ‘রাষ্ট্র বনাম ব্যক্তির দ্বন্দ্ব’ হিসাবে দেখানোর প্রয়োজন আছে কি?
১.
খাবার টেবিলের ওপর দু'দল পিঁপড়ে মুখোমুখি। মাঝখানে ছোট্ট এক টুকরো পরিত্যক্ত সন্দেশ। মিষ্টি দানার দখল নিয়ে দিনের পর দিন হাতাহাতি মারামারি। সংখ্যাগরিষ্ঠ পিপড়েরা জানে না একদল ঘুণপোকা নিঃশব্দে খেয়ে যাচ্ছে কাষ্ঠশাঁস। নিজেদের স্বার্থের কামড়ানিতেই ভীষণ ব্যস্ত ওরা। তারপর ছয় পায়ে দাঁড়িয়ে একদিন দেখলো আচমকা এক ছিদ্রপথ গলে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে সন্দেশ দানাটি। কুপমণ্ডুক পিপড়ের দল অসহায় চোখে তাকিয়ে দেখলো কোত্থেকে এক টিকটিকি এসে সন্দেশ দানাটি মুখে নিয়ে পগার পার।
.
১.
মন্ত্রী বলেছেন-“পরিস্থিতি ভালো, অবশ্যই ভালো।”
প্রথমে দেখে রেগেমেগে দুই চার কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দিলাম। একটু পর মাথা একটু ঠান্ডা হলে ভেবে দেখলাম- নাহ্, ঠিকই তো, পরিস্থিতি আর খারাপ কি হয়েছে? দুই পক্ষের মারামারি নাই। একদল স্বসস্ত্র খুনি এসে কয়েকজন নিরীহ মানুষকে কুপিয়ে চলে গেছে। তাও আবার তারা ব্লগার! কোন ট্যা ফো নেই, আওয়াজ নেই, কারও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাহলে পরিস্থিতিটা আসলে খারাপ হলো কোথায়?
কেমন আছে বাংলাদেশ এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এখন খুব কঠিন কিছু না। চারিদিক থেকে ঘনিয়ে আসা অন্ধকার ক্রমশ ঘিরে আসছে বাংলাদেশে এ কথা আমরা সবাই জানি। না ভুল বললাম, সবাই জানি না, ধর্মান্ধতা আর জঙ্গিবাদের বিস্তারের চেয়ে ও উন্নয়ন যাদের কাছে বড় কথা, জিডিপি আর চ্যাম্পিয়ান অব আর্থ পুরষ্কার পাওয়াটা বড় অর্জন মনে করে যারা, তাদের কাছে বাংলাদেশ ভালো আছে, ভীষন ভালো আছে। শুধু রাজনীতি বিশ্বাসে দলান্ধ মানুষ না, মূল ধার
এভারেস্ট যাত্রা মোটেও সহজ কোনো ব্যাপার নয় কঠিন পরীক্ষার মখোমুখি হতে হয় পর্বতারোহীদের, মৃত্যুমুখে পতিত সহপর্বতারোহীদের বরফে জমে যাওয়া মৃতদেহ পাড়িয়ে উঠে যায় একে একে পর্বতশৃঙ্গের দিকে। আমরা যারা সমতলের মানুষ, অনেকেই ভাবি এসব পর্বতে চড়ে কি লাভ? কি জন্য এসব দুঃসাহস দেখানো?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সচলায়তনের ব্লগার রণদীপম বসু, তারেক রহিম এবং শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর প্রধান ও সচল আহমেদুর রশীদ টুটুলের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়েছে। এই আক্রমনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দ্বিতীয় দফার আক্রমণে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রধান এবং ব্লগার ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আল কায়েদার মিডিয়া উইং গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্ট (জিআইএমএফ) হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে। বর্তমানে রণদীপম, তারেক এবং টুটুল আশংকামুক্ত আছেন। এ বিষয়ে সচলায়তনে হাসিব মাহমুদের পোস্টে লাইভ আপডেট পাবেন।
ইস্কুলে থাকতে আমি প্রায়ই এলিফেন্ট রোড হাতিরপুল কি কাঁটাবন থেকে হেঁটে বাসায় ফিরতাম। সন্ধ্যা হয় হয় কিম্বা অন্ধকার ঝপ করে নামার ঠিক পরে। জোর কদমে হাঁটলে সময় বেশী লাগত না। এরকম এক হাল্কা বৃষ্টিমাখা সন্ধ্যায় আমি হেঁটে ফিরছি, এমন সময় পাশে একটা হোন্ডা থামল। হেসে হোন্ডায় বসা তরুণটি জিজ্ঞাসা করল এই তুমি আটান্নো নম্বরের না? ওঠো পিছনে ওঠো আমি ওদিকেই যাচ্ছি নামিয়ে দেব।
আমি ভালো করে তরুণটির দিকে তাকিয়ে দেখি দীপন ভাই।