গতকাল রাতে যখন প্রথম খবরটা পেলাম তখন ছিলাম একটি অনুষ্ঠানে। আজকালকার যুগে ব্রেকিং নিউজের উৎস হচ্ছে ফেসবুক বা টুইটার। খারাপ খবরগুলো দ্রুত আসে সেখানে। তারমধ্যে আক্রান্ত চারজনই আমার ফেসবুক বন্ধু, এবং তিন সচল ব্যক্তি জীবনেও পরিচিত। লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের অফিসে আক্রমণ এবং টুটুল ভাই, রণদা ও তারেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে মনটা খুব অস্থির ছিল। দ্রুত বাসায় চলে যাবার পরই দীপনের খবর আসে। এরপর সারা রাত শুধু নেটে খবর খুঁজেছি - আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার খবর নিয়েছি - ঘুমাতে পারিনি। জানিনা আর কত নির্ঘুম রাত রয়েছে সামনে। কারণ যুদ্ধ এবার শুরু।
প্রগতিশীলদের মধ্যে আমরা যারা সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত নই, বা কখনও মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি করিনি তাদেরও কিন্তু একটা রাজনৈতিক চেতনা আছে। এই চেতনা কখনও আওয়ামী লীগের অনেক উদ্যোগকে সমর্থন করে, কখনও বাম উদ্যোগকে সমর্থন করে। আবার এই দুই পক্ষেরই নানা কাজের সমালোচনাও করে। কিন্তু একটা ব্যাপারে আমাদের সবার মিল এখানে যে, আমরা ধর্মান্ধতা, অন্ধকারের বিরুদ্ধে কথা বলি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও চাই। পার্টিজান অবস্
রোববার নভেম্বর ১, স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় আলতাব আলী পার্ক, ব্রিকলেইন, লন্ডনে প্রকাশক হত্যা ও ব্লগারের ওপর হামলার প্রতিবাদে সভা আয়োজন করা হয়েছে। বিস্তারিত নীচে দেখুন।
রোববার, নভেম্বর ১, দুপুর ২টা, লন্ডন সময়
Sunday, November 1at 2:00pm in UTC
আলতাব আলী পার্ক, ব্রিকলেইন, লন্ডন
Altab Ali Park, Bricklane, London
ফেইসবুক ইভেন্ট থেকে:
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের একটা গল্প আছে ‘সাড়ে সাতাশ’। সেখানে তিনি নতুন গল্পের খোজে পুরোনো সাতাশটি গল্পের চরিত্রগুলোকে ডেকে পাঠান। চরিত্রগুলো নিয়ে উনি নদীর পাড়ে গোল-টেবিল বৈঠকে বসেন। ভুলে যাওয়া, ছায়ার মত নিত্য সঙ্গী হয়ে যাওয়া চরিত্র থেকে শুরু করে ডোডো পাখি, কাঁঠাল পাতা কিংবা মাটির ঢেলা, কেউ বাদ যায় না। একটু একটু করে নষ্টালজিয়া নেমে আসে নদীর ঢেউয়ে ঢেউয়ে। তেমনি, সঙ্গীতাঙ্গনে আমারও প্রিয় কিছু চরিত্
আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা হতবুদ্ধি। আমরা সন্ত্রস্ত। আমরা আহত।
কিন্তু আমরা বাকরুদ্ধ হলেও আমাদের কলম চলছে। আমরা হতবুদ্ধি হলেও আমরা বুদ্ধিভ্রষ্ট নই। আমরা সন্ত্রস্ত হলেও আমরা সশস্ত্র। আমাদের কলম, আমাদের কিবোর্ড আর আমাদের মুঠোফোন আমাদের হাতিয়ার। আমাদের শানিত চেতনা আমাদের বারুদ।
শত ব্যাস্ততার মাঝেও, দিনে-দুদিনে নিয়ম করে একবার হলেও আসি। ঘুরি ফিরি, মনে মনে মন্তব্য লিখি, দেয়া হয় না। মাঝে মাঝেই মনে করি এমন করে ফাটায় একটা লেখা লিখব যে আর কেউ ঠ্যাকাতে পারবে না; দুই খান সচলত্ব একসাথে এসে জমা হবে ইনবক্সে। প্রথমটায় এই হাচলত্বের অবসান, দ্বিতীয়টা বোনাস একাউন্ট – বেছে নাও চরমপ্রকাশ বা ত্রিমাত্রিকববি বা মিথ্যাপীর বা ঢিমু বা এইরকম কিছু। কত কিছু মনে পড়ে, আঙ্গুল নিশপিশ করে, পেটটা যেন ফুল
[justify]আমরা মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কারের কথা বলি, পাঠ্যক্রম বিজ্ঞানসম্মত করার কথা বলি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কেবল পাঠ্যক্রম বিজ্ঞাসম্মত হলেই বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম তৈরি করা সম্ভব না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিজ্ঞান পড়ানোর চেয়ে বিজ্ঞানমনস্ক এবং যুক্তিবাদী শিক্ষক বেশি দরকার যিনি সত্যিকারের শিক্ষার আলোটা ছড়িয়ে দিবেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠতেই ফেবুতে দেখলাম খবরটা। হতবিহবলভাবে টিভি খুললাম, চ্যানেল ঘুরিয়ে সময় টিভিতে গেলাম। দেখলাম একটা টক শো শুরু হচ্ছে, গুরুগম্ভীর মধ্যবয়স্ক সঞ্চালক বসে আছেন তিনজন একইরকম গম্ভীর অতিথিকে নিয়ে। পিছনের স্ক্রিনে এখন পর্যন্ত মৃত সব ব্লগারদের ছবি। বুঝলাম আজকের হামলা নিয়ে আলোচনা হবে।
[justify]মুক্তচিন্তক গবেষক, বিজ্ঞানী, লেখক, ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্টদের অন্তঃত মানুষ বা প্রাণি মনে করে, সকল শ্রেণি-পেশা-চিন্তা-সম্প্রদায়ের নাগরিকের জীবনের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ এই আওয়ামী লীগ গঠিত সরকারের উচিৎ ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করে এই ধরণের হত্যাকান্ডগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া। এবং বিভিন্ন সময়ে হত্যাকাণ্ড ঘটার পূর্বে, পরে তাদের কোন কোন সিদ্ধান্ত-উক্তি-কার্
অভিজিৎদা কে যে দিন হত্যা করা হয় সেদিন বইমেলায় দেখা হয়েছিল অভিজিৎদা, টুটুল ভাই, তারেক আর রণদার সাথে। আমি বাসায় চলে এসেছিলাম। তারেক আর টুটুল ভাই ছিলেন অভিজিৎদার সাথে। আমি তাই সুস্থ্য আছি, ওনারা সুস্থ্য নাই। নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না। প্রচণ্ড অপরাধবোধে ভুগছি। কিন্তু তারপরেও লিখতে হবে। যে ধর্মজীবি দাঁতাল শুয়োরদের কারণে রাজীব হায়দার, অভিজিৎদা, দীপন ভাইরা চলে গেছেন, যে কারণে টুটুল ভাই রণদা, তারেক মৃত্য