দশ হাজার টেকা বেতনের কামলারে আশি হাজার টেকা ঋণ দিব কেডায়? তার উপরে জুম্মায় জুম্মায় আটদিন হয় নাই আসছে ঢাকায়; চাকরি এখনো অস্থায়ী। চাল নাই চুলা নাই; ধরার মতো ল্যাঞ্জা নাই; পরনের কাপড় বাদ দিলে এক বাকশো বইপত্র ছাড়া থাকার মধ্যে আছে কয়েকটা জিন্স ফতুয়া টি-শার্ট অ্যাশট্রে আর দুই জোড়া জুতা...
২০০২ সালের মাঝামাঝি ঢাকায় এসেই আমি ব্যাংক থেকে ব্যাংকে ঘুরি- একটা লোন চাই কম্পিউটার কিনব...
তথ্যসংগ্রহের আর একটি দিক সম্পর্কে বলবো,যার আরম্ভ পলাশী যুদ্ধের মাত্র সাত বছরের মধ্যে।সেটি হচ্ছে মানচিত্র অঙ্কন।জাহাজ ভারতীয় উপকূলের বন্দরে পৌঁছানোর জন্য পঞ্চদশ-ষোড়শ শতক থেকে য়ুরোপীয়রা অনেক মানচিত্র তৈরি করেছে ভারতীয় উপদ্বীপের,কিন্তু তাতে ভুলভ্রান্তি প্রচুর।জরিপের যন্ত্র উন্নত হতে অষ্টাদশ শতক থেকে মোটামুটি নির্ভুল মানচিত্র পেতে শুরু করি আমরা,জনক ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যসম্পর্ক ছিল এমন সব জাতি,যথা,পর্তুগিজ,ডাচ,ফরাসী—ইংরেজতো আছেই।উপকূলের ছবি ঠিক হলেও যে হেতু এদের দেশের অভ্যন্তরে জরিপের অনুমতি ছিল না,সেই ঘাটতি আন্দাজে পূরণ করতে হতো।
সেই কাঁচা বয়সের কথা, জলকুমারির কথা, অপূর্ব সুন্দর সেই দ্বীপের কথা, পচিশ একর ছায়া সুনিবিড় শান্তি আর নয়নাভিরাম সমুদ্র সৈকতের কথা, স্বর্ণহৃদয় রডরিক আর ল্যাম্পনির কথা। সেই সাথে যোগ দিল লোভ, পাপ এবং মৃত্যু- দুঃস্বপ্নের মত ভয়ংকর!
–
একবার গরমের সময়ে আমি একটা হোটেলে কাজ করেছিলাম, বয়স তখন সতেরো কি আঠারো হবে। হোটেলটা চালাতেন আমার এক খালা। ওখানে কাজ করে কত পেতাম এখন আর মনে নেই - হবে হয়তো মাসে বিশ-বাইশ ডলার। ওখানে আমি একদিন এগারো ঘণ্টা আরেকদিন তেরো ঘণ্টা করে কাজ করতাম। আমি ছিলাম একই সাথে ডেস্ক ক্লার্ক আর বাসবয়। বিকালে যখন আমি ডেস্ক ক্লার্ক হিসেবে বসতাম, তখন আমার কাজ ছিলো একজন পঙ্গু মহিলার কাছে দুধ নিয়ে যাওয়া। ঐ মহিলার কাছ থেকে একটা পয়সাও বখশিশ পাইনি কোনোদিন। আসলে পৃথিবীটা এমনই, সারাদিন খেটেও কিছুই পাওয়া যায় না, কিন্তু সেটাই করে যেতে হয় দিনের পর দিন।
১
ক্যালিফোর্নিয়ায় গাড়ী চালানো শিখে ভার্জিনিয়ায় গাড়ী চালানো হচ্ছে ফাইটার বিমান চালানোর শিক্ষা দিয়ে রিকশা চালানোর মত ব্যাপার। ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় ৭০ মাইল স্পিড লিমিটের রাস্তায় লোকে অহরহই ৯০/৯৫ এ উঠে যাচ্ছে, রাস্তার দ্রুততম গাড়ী না হলে এই জন্য পুলিশ খুব একটা ধরেও না। কিন্তু ভার্জিনিয়ার গল্প অন্য, এমনিতে বেশিরভাগই মাত্র দুই লেনের রাস্তা, স্পিড লিমিটও ৬৫ এর বেশি খুব একটা উঠে না, আর পুলিশ স্পিড লিমিটের দশ উপরে উঠলেই প্রায় নিশ্চিত ভাবে টিকেট ধরিয়ে দেয়। আর ক্যাম্পাস টাউনে থাকি বলে শহরের ভেতরে বেশিরভাগ সময় ২৫ মাইলের আশে পাশে চালাতে হয়।
শ্রমিক হিসাবে বিদেশ যাত্রার চেষ্টা কালে তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারনে মেডিকেল টেষ্টে আনফিট হলে কেউ কেউ পরামর্শের জন্য আসে। আমি চিকিৎসা প্রসঙ্গের বাইরে একথা ওকথা আলাপ করি। অনেকের বেতন বাংলাদেশী টাকায় পনের-বিশ হাজার টাকা মাত্র। বলি, বউ বাচ্চা ফেলে বছরের পর বছর বাইরে পড়ে থাকবেন। এ টাকাতো দেশেও কামানো যায়। সে বলে কেমনে? কি কইরা? আমার কাছে অবশ্য জবাব নাই।
ধুর! তখন থেকে ওই বুড়োর দিকে নজর রেখেছে জলিল, বিরক্তি ধরে গেল প্রায়। কিন্তু বুড়োর চালচলনে কোনো পরিবর্তনের আভাস দেখতে পায় না ও। মাছটুকু কি বেচার ইচ্ছে নেই নাকি বুড়োর? মনে মনে বুড়োর উদ্দেশ্যে একটা গালি ছোড়ে জলিল। বাজারের এক পাশে এই টঙের উপর কি অল্প সময় বসে আছে ও? শুধু বসে থাকলেও হতো, বুড়োর মাছটুকুর দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে না? অন্য সব মাছের যা দাম রে, ভাই!
মিডওয়ের যুদ্ধ (শেষ পর্ব)
প্রথম পর্বের লিংকঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/54694
এখনও জাপানিদের পক্ষে যুদ্ধ জয় করা সম্ভব।
একমাত্র টিকে থাকা জাপানি ক্যারিয়ার হিরিয়ুর ডেক থেকে জঙ্গিবিমানের বহর উড়ে গেল।
প্রতিটা জেনারেশনেই একটা 'বিশেষ সময়' থাকে, যেটাকে স্মৃতীচারণের সময় 'আমাদের সময়' বলে উল্লেখ করা হয়। অনেক ঘেঁটে দেখলাম যে আসলে উদ্দাম কৈশরকালকেই সেই 'আমাদের সময়' বলে উল্লেখ করতে আমরা ব্যাপক ভালোবাসি। প্রত্যেকটা জেনারেশনের কাছেই সেই সময়টা থাকে একটা ভিন্ন মাত্রা নিয়ে, সবার থেকে আলাদা। আমাদের সময়ে অমুক প্রচলন ছিলো, আমাদের সময়ে আমরা এইটা করতাম, ঐটা হতো ইত্যাদিকার কথায় এগিয়ে চলে স্মৃতীর পাতা।