শত শত বছর আগের কথা।
স্কুলের সিড়িতে শিক্ষকের সাথে বসে আছি।
এমন সময় খবর এলো, সিনিয়র দুই ভাই এক বড় আপুকে নিয়ে মারামারি করেছে।
এই বড় আপুটা খুব ভাল। কী লক্ষী! চোখ ভরা কথা।
তাকিয়ে দেখি, শিক্ষক হাসছেন। স্মৃতির মধ্যে টুপ করে ডুবে গিয়ে ফিরে আসা হাসি। মিটিমিটি।
শিরোনামটা বলে দিচ্ছে আমি একজন পুরুষ, অন্তত: নিরানব্বুই ক্ষেত্রে। বাংলায় লিখছি, কাজেই এবার অনুমিতি নিরানব্বুই দশমিক নয় নয়ে অথবা একশতে গিয়ে ঠেকা উচিত। নিপীড়নে বাঙালি পুরুষের জুড়ি মেলা ভার। সেটা যৌন হলে তো কথাই নেই। আমি ব্যক্তিগত কিছু ঘটনা বলব, পাঠক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আপাতত: মাথা ঘামাচ্ছি না। ব্যক্তি আমাকে নিয়ে কে কি ভাবলো সেটাতে আসলে আমি ছাড়া ম্যাস পপুলেশনের কিছু যায় আসে না। ঘটনাগুলো বাস্
আমাদের সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভাব নাই। এই ধরনের আচরণের প্রবক্তা পুরুষেরা হলেও কম বেশি পুরুষ নারী সবাই এটাকে চালু রাখতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রতি নিজ নিজ কর্তব্য পালন করে নিষ্ঠার সাথে। খুব প্রচলিত একটা কথা, ধারনা যেটা আমার জীবদ্দশায় বোধকরি সবচেয়ে বেশিরভাগ শুনা প্রবচনগুলোর একটা তা হল “নারীরাই নারীর শত্রু” আমার কাছে এই প্রবচনটাকেও ভয়াবহ রকমের পুরুষতান্ত্রিক স্টেরিওটাইপিং মনে হয়। এই এক
গোড়াতেই স্বীকার করে নেয়া ভালো যে, আমি সমতা এবং ন্যায্যতা নিয়ে খানিকটা কাজ করলেও, নারীবাদ বিশেষজ্ঞ নই। ফলে, জ্ঞানের ঘাটতি আছে, কিন্তু নিষ্ঠায়, যাপনে এবং আচারে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো নারীবাদীর চেয়ে কম নারীবাদী নই। নারীবাদ পাঠ করা সুবিধাজনক, কিন্তু শুধু পাঠ করে নারীবাদী হওয়া সম্ভবত কঠিন। বিশেষত একজন পুরুষের পক্ষে।
১.
আবুল হাবুলকে বলে-“গালে থাপড়ায়া হুতায়ালামু।”
হাবুল চেতে গিয়ে বলে-“দেখ্ না মাইরা”
আবুল হাবুলের গালে চটাস করে চড় মারে। চড় খেয়ে হাবুল ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেলে। বলে-“পারলে আমগো বাড়ির সামনে আইয়া মার।”
আবুল বলে-“চল্”
দুজন মিলে হাবুলের বাড়ির সামনে যায়। হাবুল চোখ রাঙিয়ে বলে-“এইবার মেরে দেখ্।”
স্তব্ধ চারিদিক,ঘন কুয়াশা
পীচ ঢালা রাজপথ ধরে আমি হেঁটে চলেছি একা একা ।
খোলা চুলগুলো উড়ছে, হিম শীতল ঠাণ্ডা হাওয়া
অদ্ভুত সুন্দর কিছু মুহূর্ত,অস্পষ্ট কিছু ভাল লাগা ।
ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশা আধো আলো আধো ছায়া ;
গন্তব্যহীন পথ ধরে আমার এ হেঁটে চলা ।
ঐ শিশির ভেজা নরম ঘাসের চাদরে ,
আমার কত স্মৃতি পরে রয়েছে অনাদরে ।
মনের পর্দায় উঠল ভেসে, আমার শৈশব ;
কিশোরী মনের লাজুক স্বপ্নে ঘেরা আমার কৈশোর ।
বাসায় নারী জাগরণের ভুতটা প্রথম আনলো মা।
বাবা-মার ভীষণ আদরে বড় হয়েছি আমরা দুই বোন। আমি বড়। বৃহত্তর পরিবারের সব বোনদের মধ্যেও আমি বড়। ছোটবেলায় অসম্ভব চুপচাপ ছিলাম। আমার তিন বছরের ছোট বোন ছিল ঠিক তার উল্টো। মার কাছে আমাকে প্রায় ঘেঁষতেই দিত না। ভীষণ জেদ ছিল ওর। খাওয়া, পড়া কোনো কিছু নিয়েই সে কথা শুনতে চাইতো না। ওর আবদার নিয়ে আমার কর্মজীবি মাকে হয়রান হতে দেখে আমার খারাপ লাগত। তাই ৪-৫ বছর বয়স থেকেই সবসময় চেষ্টা করতাম, যেন আমার কারণে মা-বাবাকে
এটি যতটা না লেখা তার চেয়ে বেশি হল শব্দ করে চিন্তা করা। আমার সমস্যা হল নারী, জেন্ডার ইস্যু, সমাজবিজ্ঞান এসব বিষয়ে আমার কোনো পেশাগত প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা নেই, তবে আমার সৌভাগ্য হল আমার মা, বোন, জীবনসংগী সবাই স্বাধীন স্বাবলম্বী নারী। কাজেই আমার সঙ্গগুণ আছে। আমি সম্প্রতি প্রথম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যবইটি উল্টে পাল্টে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম এটা পড়ে কি আমাদের সমাজে মেয়েদের প্রতি যে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গী আছে তার