ঈশান কোণে কোণে প্রলয়ের নৃত্য জুড়ে, ছোপ ছোপ রক্ত পায়ে
নয় পর স্বাধীনতা এসে দাঁড়াল আমাদের দরজায়, হাজারটা সূর্য
তাকে আশীর্বাদ করল। আমরা পেলাম লাল-সবুজের অবিনাশী পতাকা,
একটা মানচিত্র আর পেলাম স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, বাংলাদেশ।
পেলাম নি:কন্টক ভাষা, যার রাজধানী এখন ঢাকা। একুশ
এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমরা পেলাম অদ্বিতীয়
এক জাতীয় সংগীত--
সদ্য বিদায়ী যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার মিজারুল কায়েস যিনি বর্তমানে ব্রাজিলের হাই কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন, তিনি আমার দেখা সবচেয়ে বিজ্ঞ ও মেধাবী কুটনীতিকদের একজন। লণ্ডন, ইউএসএ ও দিল্লির মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে এধরণের হাই কমিশনার নিয়োগ দেয়াই কাম্য। কিন্তু তিনি ছিলেন অতি চতুর। উনি যেসকল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে যেতেন সেই সব অনুষ্ঠানে ওনার সাক্ষাতকার নিতে গেলে কোন প্রকার পূর্বানুমতি নিতে হতো
কিবোর্ড-কলমের একঘেয়ে যুদ্ধে একের পর এক লেখার জন্ম হয় সত্যি কিন্তু নিজের অক্ষম ক্রোধের কারনগুলোর কতটা পরিসমাপ্তি হয় তার প্রশ্নটা থেকে যায় বারংবার। এখন পর্যন্ত অনলাইনে লেখালেখির সময়টুকুতে দেশের নাগরিকদের মানসিকতার যতটুকু চিত্র দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তাতে পরিবর্তন বলতে গেলে নগন্য। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে মনে হয়, বৃত্তের এক বিন্দু থেকে শুরু করে আবার সেই একই বিন্দুতে এসে থমকে দাঁড়িয়েছি। পরিবর্তন আকস্মিক হয়না সত্যি কিন্তু পরিবর্তনে অনিচ্ছুক একটি সমাজ ও তার নাগরিকেরা কি কখনও পরিবর্তনকে ভাল চোখে দেখে কিনা এই প্রশ্নটা হয়ত আমরা এড়িয়ে গেছি বারবার, হয়ত কিছুটা ইচ্ছে করেই।
একবার এক গ্রুপে জামাত শিবিরকে ব্যান করার দাবী উঠলো। দাবীর তীব্রতায় প্রথমে সবাই বেশ হকচকিয়ে 'আমি সাথে আছি' টাইপ বক্তব্য দিয়ে সংহতি প্রকাশ করলো। দুইদিন পর গর্ত থেকে আস্তে আস্তে ল্যাজ বের হওয়া শুরু হল। প্রথমে মিনমিন তারপর বেশ জোরেশোরে বলা শুরু হল, "বুঝলাম জামাত শিবিরকে ব্যান করা হচ্ছে কিন্তু শুধু জামাত শিবির কেন, সমস্ত পলিটিক্স ব্যান করা নয় কেন। ঐযে দেখেন ছাত্রলীগও তো বেশ ইয়ে টিয়ে সন্ত্রাস করে।" এই ধ
আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
একটি রূপকের মাধ্যমেই শুরু করি।
স্থান: বেহেশত।
পোস্টাপিস
চাকরি কি আর ছেলের হাতের মোয়া- কথাটা কে বলেছিলো যেন?
এজন্যই চাকরি এসেও আসেনা, হয়েও হয়না বেকারদের। এখন তো ছেলেরা মোয়া খায় না। লেবেনচুস চোসে। ললিপপ চোসে। তাই চাকরি রকম সকম গেছে উল্টে পাল্টে। কিন্তু আসমানীদের তো সরকারি চাকরির খায়েশ মেটেনা।
স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে সব গবেষণা বা পরিসংখ্যানে বোধহয় সবচেয়ে উপেক্ষিত থাকে আমাদের যুদ্ধশিশুরা- যাদের জন্ম হয়েছিলো একাত্তরের বিভীষিকার মধ্যে। আমি জানি না কোন পরিসংখ্যান আছে কিনা একাত্তরে এবং পরবর্তীতে কতজন শিশু যুদ্ধের কারণে নিহত হয়েছিলো। স্বাভাবিক সময়ে একটা শিশুর জন্মের সময় এবং পরে কত যত্ন-আত্তি, হাসপাতাল-ক্লিনিকে ছুটোছুটি করা লাগে। ছয় বছর আগে আমার মেয়ের যখন জন্ম হলো, তার আগের দিন রাতে হাসপাতালে চলে
কফির কাপটা হাতে নিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। শহরের উদ্বাস্তু সব কংক্রিটের মাঝে এমন মলিন সকাল পাওয়াই যায় না। আমার বুদ্ধিজীবি বন্ধুটি খালি গলায় ছেড়ে রবীন্দ্রসংগীত গাইতে পারে। “প্রথম(0) আলোর চরণধ্বনি”র হাল্কা গুনগুনানিটা আমার কানে আসছিল ফিরেফিরে। বারবার মনে হচ্ছিল গানটার সাথে সকালটা কেমন আশ্চর্যভাবে সাত পাকে বাঁধা পরেছে।
[justify]
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫।
সকাল দশটা। ৪ নং সেক্টর, উত্তরা, ঢাকা। আমরা দুজন। আমি এবং সহসচল নজরুল একটা বাসা খুঁজে বের করি। একজন আমাদের অপেক্ষায় ছিলেন। আমরা তার সাথে বসি।
বয়স প্রায় আশির কোটায়। শরীর ঋজু এখনো। হাতে ছড়ি ব্যবহার করেন, চেহারায় আভিজাত্য। একটা এলাকার বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারের মানুষ তিনি।
১৯৭১। বয়স ৩৬। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের সহসম্পাদক হিসেবে ঢাকায় চাকরী করছেন। তিনি সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী। ন্যাপ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।