সবাই বলে চোর, চোর। কিন্তু চুরিটা করে কে? ওই পল্টন ময়দানে বক্তৃতা করে যে বলে বেড়াচ্ছে দুর্নীতি ধরতে হবে, বাসায় এসে সে বলে, তাজউদ্দীন ভাই, আমার খালু ধরা পড়েছে, ওরে ছেড়ে দেন। যদি বলি, তুমি না বক্তৃতা করে এলে? তখন উত্তর দেয়, বক্তৃতা করেছি তো পার্টির জন্যে, এখন আমার খালুকে বাঁচান। --সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রান--সুহান রিজওয়ান।
অভিজিৎ, মসজিদ, ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম সেক্যুলারিজমঃ
আম আর দুধে মিশে যায়... দিন দিন...
যেমন মিশে যায় দুই গাঢ় সবুজের ছায়াগুলো।
আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায় গাঢ় লাল সূর্যটা
সেখানের সবুজ আকাশে উঠে আসে- একটি সাদা তারা
আর একটি সাদা ফালি চাঁদ...
গৌরচন্দ্রিকাটি ঠিক বিয়েবাড়িতে নুনের মতই, নিতেও পারেন আবার নাও নিতে পারেন;
অন্ধকার তোমাকে ভয় পাইনি কোনদিন
একদা অন্ধকার মানুষই তো ছিলাম
প্রিয় পাখির সংস্কৃতি
জানালায় রাখলে হাত
স্বর্গে চোট লাগতো
আর খসে পড়তো নরকের কারুময় চুড়ি
সুতরাং নরককেও পাইনি ভয়
মারাত্মক নেশা ভরা বাদুড়ের চোখ ছিল আমার
দূরে কোথাও দুলে উঠতো লাল লিচুর বাগান
সুতরাং নিশাচরও ছিলাম ভয়ানক
জংলি-ঝড় উঠতো কাননে কাঞ্চনে
হাঁটতাম বুনোর মতো, বৃষ্টি-বজ্র মাথায়
অরণ্যের হাত ধরে, বনচারির মর্যাদায়
কেবিনের জানালা দিয়ে পিউলি বাইরে তাকায়। বৃষ্টিভেজা কালচে পিচের রাস্তায় দু চারটে রিকশা যায়। হর্ণ বাজিয়ে চলে যায় একটা সাদা গাড়ি। একপাশে ভ্যান রেখে আইসক্রীমওয়ালা মাথার চুল মোছে। হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় বেচারা ভিজে গেছে একদম। সে কি এখন গায়েই শুকাবে তার ভেজা গেঞ্জিটা? নাকি আর কোথাও শুকনো জামা আছে?
চারপাশের মানুষগুলো কষ্টের ভার বইতে না পেরে যখন নুয়ে পড়ে হতাশায়, একের পর এক মুখগুলো যখন ঢাকা পড়ে বিষাদের আচ্ছাদনে, খুব অসহায় লাগে নিজেকে।
আর তখন-
প্রায়শই মনে হয়, চলমান এই দুঃসময়ে, ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত এই পৃথিবীর একাকীতম বোধ করা প্রতিটি মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। তার হাতটা স্পর্শ করে, শক্ত আলিঙ্গনে, ফিসফিসিয়ে বলি, "পাশে আছি..."
১.
সপ্তাহে একবার ঢাকায় ফোন দেই। মা-বাবা দুইজন তাদের একমাত্র পৌত্রের সাথে গল্প করার চেষ্টা করেন। সেই গল্প বেশীদূর যায় না। দাদুর চেয়ে ইউটিউবের মনস্টার ট্রাক নিয়ে আমার পুত্রের অধিকতর আগ্রহ। তাই এটা সেটা জিজ্ঞাসা করে উপসংহার টানতে হয়। ফোন রাখার আগে টের পেলাম মা কি যেন বলতে চাচ্ছেন। দূর থেকে অস্পষ্টস্বরে বাবা বলে ওঠেন "এইসব আর বলার দরকার নাই"। "এইসব" প্রসঙ্গটা আমি আন্দাজ করতে পারি। "এই্সব" যে আমিও শুনতে চাই না।
“কি!!! উগান্ডা? মানে ইদি আমিনের দেশে? বুঝি না কেন এইসব দেশেই তোমাকে যেতে হয়! তবে মনে রেখো, এই দেশের লোকজন কিন্তু মানুষখেকো, ঠিক ইদি আমিনের মতই!