অথচ কোনো নিস্তরঙ্গ সময়ে এখনও স্মৃতির অবয়বে -
বিচ্যুত বিশ্বাস আর ফেরারী সময়।
কিছুটা বিস্মৃতি স্মৃতির জানালা খামচে ধরে নেমে আসে,
খুলে দিলে কিছুটা বিরহী সুবাস, কিছু বিবশ কামনা,
কিছুটা অলস গুমোট এখনও আঁকড়ে ধরে বিনিদ্র দেয়াল।
কাঁটাতার পেরিয়ে এলেই ঘর।
কাঁটাতার পেরিয়ে এলেই দেশ।
কাঁটাতার পেরিয়ে এলেই ঘাস।
বিদেশে এসেও পাকিদের একেকটা কান্ড কারখানা শুনি, দেখি আর মনটা বিমলানন্দে ভরা যায়। বিজয়ের মাস শেষ হবার আগেই এক জোড়া + একটি পাকি-রস। এগুলোর কোনটাই কল্প-গল্প বা সৃজনশীল লেখা না, সবগুলোই ’জীবন থেকে নেয়া’।
১। উপমহাদেশের সবচেয়ে সভ্য জাতি
[justify]
সারচু টু লেহ'র পর থেকে.....
[The Magic of Reality by Richard Dawkins এর তৃতীয় অধ্যায় Why are there are so many animals? এর প্রথম অংশের অনুবাদ]
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের পর থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করা শুরু হয়। এই গ্রেফতারের ঘটনাগুলো নিয়মিত পত্রিকায় আসত। আমি ঠিক করেছি এগুলো যতটুকু পারি একত্র করব। দেখা যাক কতদূর যায়। একটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে যতজনের খবর আসবে দালালের সংখ্যা তত নাও হতে পারে। কারণ অনেকের খবরই ইংরেজী ও বাংলা দুই ভাষার পত্রিকাতেই আসতে পারে।
১. বি. আর. মজুমদার - জানুয়ারী ১, ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
বাংলাদেশ ক্রমশ শিশুদের জন্য বিপদজনক একটি দেশ হয়ে উঠছে।
খবরের কাগজে চোখ রাখলে প্রায় প্রতিদিনই কোনো দুর্ঘটনা বা অপরাধের কথা পড়ি, যেখানে ভিক্টিম এক বা একাধিক শিশু। ধর্ষণের পর শিশুদের হত্যা করার খবরটি মোটামুটি সাপ্তাহিক একটি ঘটনায় পরিণত হয়েছে, কিন্তু সেগুলো নিয়ে আমাদের খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। ব্যাপারটাকে অনেকটা ভূমিকম্প বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে দেখার একটা প্রবণতা আমাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে। হয়তো মিডিয়া আমাদের এই ঘটনাগুলোর লাইভ কাভারেজ দেখাতে পারে না বলে আমরা বেশি সাড়াশব্দ করি না। তবে গতকাল ঢাকার শাহজাহানপুরে একটি গভীর কূপের ভেতরে চার বছর বয়সী একটি শিশুর উদ্ধার তৎপরতার বিজ্ঞাপনখচিত কাভারেজ মিডিয়া যেভাবে দেশবাসীকে উপহার দিয়েছে, একটি শিশুর ধর্ষণ ও হত্যার দৃশ্য সেভাবে দেখালে হয়তো আমরা চুপ করে গিয়ে নিজের কাজে মন দেওয়ার আগে অন্তত দুই তিনদিন চেঁচামেচি করার মতো একটা রগরগে ইস্যু খুঁজে পাবো।
যে কুমারী কন্যারে সমাজের আড়ালে পরের বাড়িতে সন্তানের জন্ম দিতে হয় চিক্কুর চাইপা রাখার অভ্যাস তার এমনিতেই থাকে। প্রসব চিৎকার চাইপা রাখার অভ্যাসে কুন্তী আইজ চাইপা রাখে গর্ভপাতের গোঙানি। ...তার গর্ভের প্রথম পোলায় আজ নামব গর্ভের শেষ সন্তানের সামনে। মৃত্যুপণে। ...মায়ের পেটের ভাই জাইনাও কর্ণ অস্ত্র চালাইব অর্জুনের দিকে আর শত্রু জাইনা অর্জুন মারব কর্ণরে....
কাল রাত্তিরে ওয়ারনামবুল শহরের আকাশে কালপুরুষ দেখে বেশ আয়েশ করে ঘাড় বেঁকিয়ে দেখতে যেয়ে চমকে উঠলাম, পুরা তারামণ্ডলটাই উল্টে আছে! কাঁধের আদ্রা চলে এসেছে নিচে, হাঁটুর বাণরাজ ডিগবাজি মেরে উপরে এবং উল্টো দিকে! বিশাল কালপুরুষের বেল্ট আর তার নিচের নীহারিকা চলে গেছে কাঁধের কাছাকাছি! কী কেলেংকারি! এমন অদ্ভুতুড়ে ঘটনা কেন হবে? আমি তো আর উল্টো হয়ে ঝুলে নেই !
১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় জাল পড়া বাসন্তী যে একটা সাজানো নাটকের মঞ্চায়ন ছিল, সেটা আমরা এখন প্রায় সবাই জানি। বিশেষ করে সেই ছবির আলোকচিত্রি আফতাব আহমেদ খুন হওয়ার পর ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন ভাই এর এই লেখা থেকে আমরা সেই ব্যাপারে অনেক স্পষ্ট ভাবে জানতে পারি। লেখাটির ছোট্ট একটু অংশ এখানে দিচ্ছি পাঠকের সুবিধার্থে-