আলসেমি এবং ইন্টারনেট-টিভি আসক্তিতে আয়েশ করে ‘বই পড়া’ খুব একটা হয়ে উঠে না ইদানিং। তবে আমার জন্য সুখের সংবাদ যে সংবাদপত্রে ‘পড়ার মত’ তেমন কিছু পাইনা এখন আর।
আপু চলে গেল। এক এক করে চারিদিকের সব আলো নিভিয়ে দিয়ে। ঘর আলো করা ওর সেই উজ্বল হাসি, ক্যান্সারের প্রবল আঘাতেও যেটা এতটুকুও ম্লান হলো না তাকে সঙ্গে করে নিয়ে চলে গেল চিরতরে। অসুস্থ অবস্থায়ও সবার প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পাশে থাকা মানুষটা আমাদেরকে অতল শূন্যতায় ডুবিয়ে নিমিষেই নেই হয়ে গেল। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র ২৮ বছর বয়সে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে আপুর। তারপরে সার্জারি-কেমোথেরাপি। কিছুদিন ভালো থাকা
আমি ঢাকায় থাকি, কিন্তু তিন-চার জোড়া চোখ গ্রামের জলাজঙ্গল খুঁজে ফেরে বুনো গুল্ম লতা। এরা আমার সাগরেদ। চাচাতো-খালাতো ভাই।
২০১৪ সালের কোরবানী ঈদ। বাড়ি গিয়ে শুনলাম সুসংবাদটা। আমার খালাতো ভাই সাহেদ নাকি মাকাল ফলের একটা আড়ৎ দেখে এসেছে সরিষাঘাটের মাঠে। সরিষাঘাট আমাদের পাড়া থেকে দু-কিলোমিটার দূরে। আঁট-ঘাট বেঁধেই যেতে হবে।
তবে ভয় একটা আছে। সাহেদ দেখে এসেছে বর্ষাকালে। এখন শরতের শেষ প্রায়। এতদিনে গাছ মরে গেছে কিনা সন্দেহ।
ঈদের তৃতীয়দিন। শাহেদের বড় ভাই পারভেজকে নিয়ে চললাম সরিষাঘাট। সাইকেলে। পিসরাস্তা আর বাওড়ের মাঝখানে জঙলা একটা গর্ত। বুনো গুল্ম লতায় ঠাঁসা। গর্তের ভেতর মাঝারি আকারের একটা মেহগনি আর একটা শিশু গাছ। সেই গাছদুটে বেয়ে, জড়িয়ে-কুড়িয়ে উঠেছে হাজার লতার একটা উদ্ভিদ। এটাই আমাদের চরম প্রার্থিত মাকাল ফলের গাছ। মাকালের লতা-পাতায় চাপা পড়ে গাছদুটোর ‘ত্রাহি মধুসূদন’ অবস্থা।
শহরের নাম গোল্ডেন। কলোরাডো স্টেইটের একটি শহর। ডাউনটাউন ডেনভার থেকে আধা ঘন্টার ড্রাইভ। এর আগে একবার গিয়েছিলাম--ছোট শহর, পরিপাটি করে সাজানো। হাইওয়ে থেকে গাড়ির জানালা দিয়ে দেখা যায় সুন্দর গোছানো চারপাশ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ঘটনায় আমরা বহু কামিলের ল্যাঞ্জা দেখতে পাইছি। যারা টকশোতে নিয়মিত বক্তিমা দিসেন, এবং/অথবা পত্রিকায় লেখসেন, তিনাদের ল্যাঞ্জার জেনেটিক ম্যাপিং মোটামুটি হইসে। আজ থেকে কয়েক দশক পর এইসব ইতিহাস কথা বলবে।
সিরিজের নাম যদিও দুবাইয়ের পথে পথে, আজকের লেখার পটভূমি কিন্তু শারজাহ। শারজাহ আর দুবাই একদম পাশাপাশি শহর – উত্তরা-টঙ্গির মত। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় টের পাবেন না কখন দুবাই ছাড়িয়ে শারজাহতে ঢুকলেন। শারজাহকে বলা হয় আরব আমিরাতের সাংস্কৃতিক রাজধানী - গত ৩৩ বছর ধরে এই শহরে একটি আন্তর্জাতিক বইমেলা হয়ে আসছে। এবারের আসরের উদ্বোধন হবে ড্যান ব্রাউন ( দ্য ভিঞ্চি কোড, এঞ্জেলস এন্ড ডিমনস খ্যাত লেখক)- এর বক্তৃতা
কুম্ভকর্ণের গল্প শুনেছি ছোটবেলায়। ওই পুঁচকে বয়সে কুম্ভকর্ণ দেখতে হলে ঠাকুরমার ঝুলি খুলতে হতো। আর এখন বাড়ির পিছনের পর্বতমালায় একটু হাঁটতে বেরুলেই দেখা মিলে কুম্ভকর্ণের জ্ঞাতিভাইয়ের! আমার চলার পথের সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী মারমোত্তার দল কিন্তু ঘুমের রেসে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার পাত্র নয়। এবছর তো ঘুমুতে গেছে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে আর সেই ঘুম কিন্তু কিছুতেই ভাঙবে না সামনের বছরের এপ্রিলের আগে। তৃণভোজী এই স্তন্যপায়ী প্রাণী সুদীর্ঘ শীতকালটা এভাবেই কাটিয়ে দিবে নাক ডেকে আর স্বপ্ন দেখে। বরফে আচ্ছাদিত ভ্যালিতে সবুজ ঘাসের দেখা যতদিন মিলবে না ততদিন জেগে থেকেই বা করবেটা কি?
এটা মূলত: ডকুমেন্টেশনের জন্য। আমাদের সংবিধান প্রণয়ন করা হয় ১৯৭২ সালে। একটি সর্বদলীয় কমিটি এটির খসড়া প্রণয়ন করে। এক পর্যায়ে জনমত যাচাইয়ের জন্য এটি ১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসের ১৩ তারিখে দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ছাপানো হয়। এর বাইরে সংসদেও আলোচনা চলে। এর মাধ্যমে কিছু সংশোধনও হয়। আমি এই পত্রিকায় ছাপানো খসড়াটি এখানে রাখলাম।
এতে কি লাভ হবে?