[justify]১৯৭১-৭২-৭৩ সালের দিকে পাকিস্তানে আটকে পড়া বিপন্ন অনেক বাঙালি পাকিস্তান-আফগানিস্তানের দুর্গম পর্বতসংকুল সীমান্ত অঞ্চল সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে, জীবন হাতে নিয়ে, চোরাইপথে পেরিয়ে আফগানিস্তান ও ভারত ইত্যাদি হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলেন। আমার জানামতে এই ঘটনা নিয়ে খুব একটা লেখালেখি হয়নি (কারও জানা থাকলে জানিয়েন)। আমি এই ঘটনা নিয়ে কিছু লিখতে চাচ্ছি, ঐ ঘটনায় সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকা
বাঙ্গালি বিদেশ যাওয়ার সুযোগ খুব বেশি পায় না। যারা পায় তাদের বৃহদাংশের (বাঙালি শ্রমিক গোষ্ঠী) মনের জমে থাকা কথাগুলো কেউ শোনে না, শুনতে চায় না, শুনতে ভালোও না। যাদের কথা/ অভিজ্ঞতা আমরা শুনি, তারা সমাজের সৌভাগ্যবান অংশটুকুর প্রতিনিধিত্ব করে। আরেকদলের মুখে বিদেশের ভাল ভাল কথা খুব শুনি, তারা হচ্ছে আদমবেপারি।
এদের দুইদলের কাছেই, বৈদেশ হলো স্বর্গ। সেখানে মানুষের পকেট চুইয়ে চুইয়ে টাকা পরে, রাস্তা দিয়ে দুধের (আর মদের) নহর বহে, আকাশ হতে স্বর্ণমুদ্রা ঝরে! এরা বিদেশের গুণগান গাইতে গাইতে মুখের ফেনা তুলে ফেলে।
তো বিদেশ আসলে কেমন? বেশিদিন হলো আমি আসিনি বাইরে, যা দেখেছি, তা দেখেই এ লেখার চেষ্টা। অবশ্যই বিদেশ ভালো, অনেক অনেক ভালো। কিন্তু বিদেশে কি ট্রেন-বাস লেট করে না, দুর্ঘটনা হয় না, মারামারি হয় না, রাস্তায় জ্যাম পরে না? সবকিছুই কি স্বপ্নের মত?
ভদ্র সমাজের সুশীলেরা বিদেশে আসে, বিদেশীদের কাছে দেশের বদনাম তো করেই, দেশে ফিরে যেয়েও বলতে থাকলাম, বিদেশে কি দেখে আসলাম! আর দেশে কি অবস্থা, ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা! এই দেশে মানুষ থাকতে পারে?
আম্মু বার বার বলছিল একটা ঘুম দিতে। দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমালে নাকি ছোটদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। আয়নায় নিজেকে তো প্রায়ই দেখি, স্বাস্থ্য তো ভালই মনে হয়। গাট্টা গোট্টা হাত-পা, গালেও মাংস টাংস আছে খারাপ না। হুহ্ ! দুপুরে ঘুমাতে আমার বয়েই গ্যাছে। ঐ যে আম্মু মনে হয় গোসল করতে ঢুকল। পা টিপে টিপে বের হয়ে গেলে কেমন হয়? ধরা খেলে অবশ্য কান দুইটা আস্ত থাকবেনা! ধুউরর কি আর হবে?? আম্মু বের হবার আগেই নাহয় চলে আসব।
বছর দুই আগে একটা ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ সিরিজ লিখেছিলাম। তিক্ততা দিয়ে শুরু, ভালোর পূর্বাভাস দিয়ে শেষ। সেই ভালোটা পর্যায়ক্রমে ভালোলাগা এবং পরে কিভাবে ভালোবাসায় পরিণত হয়েছিলো, সেই গল্প না বললে জায়গাটার ওপর অবিচার করা হবে।
[justify]একটি সামান্য পর্যবেক্ষণঃ
ভারতীয় বাংলা সিনেমার মধ্যে একটা নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে, এটা হয়তো অনেকেই লক্ষ্য করেছেন। কিন্তু কাল একটা বিশেষ জিনিস লক্ষ্য করলাম - ওরা ওদের কিংবদন্তীদেরকে সম্মান জানাতে আরম্ভ করেছে।
খুব ছোটবেলায় বাংলাদেশ প্রবাসী এক নরওয়েজিয়ান পরিবারের আমার বয়সী এক পিচ্চি মেয়ের ডল-হাউজ দেখে খুব শখ হয়েছিলো আমারও একটা ওরকম থাকা দরকার। পুতুলের জন্যে ঠিক তার নিজের বিছানার মতো কাঁথা-বালিশ-বেডকভার সহ রট-আয়রনের ডিজাইন করা খাটও ছিলো। দুই বালিকার ভাষা এক ছিলো না, কিন্তু খেলতে সমস্যা হয়নি। শুধু রাতে নিজের বিছানায় ঘুমাবার সময়ে বাবা-মাকে ঐরকমের পুতুলের ঘর দেয়া যাবে কিনা, খাট সহ, জানতে চেয়েছিলাম। খুব বেশি ক্লান্ত থাকায় সেরাতে বা পরবর্তীতে ব্যাপারটা নিয়ে আর ঘ্যান ঘ্যান করার সুযোগ হয়নি। আর একটু বড় হলে খেয়াল করতে পারতাম, যে আমার বাবা-মা নিজেদের মাঝে দৃষ্টি বিনিময় করছেন, ওরকম দামী খেলনা দেয়ার সাধ্য তাদের নাই ভেবে।
ছোট্ট বেলায় দাদি আমাকে শুনিয়েছিলেন এক আশ্চর্য ফলের কথা। বাড়িতে বাগানে ও ফল হয় না, হয় বনে জঙ্গলে, মেঠোপথের ধারে। রাখালদের তো মাঠেই কারবার। বিছুটি-লতায় আচ্ছাদিত ঝোপে ঝাড়ের কোন কোনায় কি ফুল ফুল ফুটেছে, কী ফল পেকে লাল হয়েছে--সব তাদের নখদর্পনে। ঘনঘোর বর্ষার দিন নেহাত ছোট নয়। আর গরু-বাছুরের যেন এসময় খিদেটা বাড়ে। মাঠ ভর্তি সজীব-সবুজ ঘাস ডগমগ করে। গরু-বাছুরের তো জিভে জল আসবেই। তাই গরু নিয়ে রাখালকে দীর্ঘসময় মাঠে কাটাতে।
১.
এক সহকর্মীর ছেলের গল্প শুনি মাঝে মধ্যেই। তার বয়স দুই বছর। সে একদিন তার বাবার মোবাইল চার্জার নিয়ে তার পেনিসের মাথায় ঢুকানোর চেস্টায় ব্যাস্ত। বাসার লোকজন তো সব অবাক।
কি করছ তুমি?
কেন, আমি তো তার্জ( চার্জ ) দেই।
২.
দুই আত্মীয় পিচ্চিকে নিয়ে খাচ্ছি। একজনের বয়স ১৮, অপরজন সাড়ে তিন । হটাৎ পিচ্চিটা খাওয়া থামিয়ে বড় কাজিনকে বলছে
রংধনুর রঙে আঁকা জাদিপাই
আরব উপদ্বীপের উত্তর-পূর্ব অংশে ওমানের একটি প্রদেশ মুসান্দাম । হাযার পর্বতমালার শুরু এখানেই, এর একপাশে পারস্য উপসাগর আরেক পাশে ওমান উপসাগর। মূল ওমান ভুখন্ড থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্বারা বিচ্ছিন্ন মুসান্দাম উপদ্বীপের মাধ্যমে বিশ্বের জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীর উপর ওমান তথা এই অঞ্চলের বাকি আরব দেশগুলো নজরদারি করে (কেতাবি ভাষায় এটা geopolitically strategic location)।