আমি মৃত। সেও মৃত
আমরা মৃতেরা মিলে গড়েছি সংসার।
এ শহরে এখন অনেক ইশ্বর, নানান রঙের পোষাক
আমাদের মত যত আছে মৃত মনুষ, তারা শুধু এদের
ইশ্বর বলেনা। আর সব জীবিত মানুষেরা রোজ মিলিত
হয়, রোজ রাতে টিভির পর্দায় তারা ইশ্বর বন্দনায়
মেতে ওঠে, তারা আমাদের মাস্টার মশায় ছিলেন বটে।
রোজ রাতে আমরা দুজনে মেতে উঠি
আদিম উৎসবে,...
[justify]
আমার বাবা আমাকে নিয়ে বাইরে বেরোলে সবসময় আমার হাত ধরে থাকতেন। আমি এ ব্যাপারে খুব সংবেদনশীল ছিলাম, মাঝে মাঝে মোচড়ামুচড়ি করে নিজের মতো করে হাঁটার চেষ্টা করতাম, তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে তাকাতেন আমার দিকে। আমি তখন অনেক ছোট, বাবার দিকে তাকাতে হলে আমাকে প্রায় আকাশের দিকে তাকাতে হয়, আমি আবার শান্ত হয়ে তাঁর হাতে একরকম বন্দী হয়ে চলতাম।
সময়ের সাথে আমি একটু একটু করে বেড়েছি, কিন্তু আমার বাবা ...
প্রথম লিখেছিলাম আমাদের লেভেল পূর্তির অনুষ্ঠানের জন্য, আমার বন্ধু জিয়ার গুঁতানিতে। পরে আমাদের ডিপার্টমেন্টের নবীন বরণের জন্য কিছুটা পরিবর্তন করি। সেটা ২০০১-২০০২ এর দিকের কথা। সেই থেকে মেক্যানিকালের প্রতি নবীন বরণে এই ছড়াটা আ...
-3-
সুখ কি এখন শুকপাখি যে
পালিয়ে যাবে শিকল ছিঁড়ে?
বুকের খাঁচায় সুখের বাসা
সামনে সবুজ স্বপ্ন হয়ে ক্ষেতের ফসল
অন্ধকারের সঙ্গে এখন পাআ কষে আলো জ্বালা
অশ্রু নদীর পারে যেন
স্বপ্ন দেখার নৌকো বাঁধা ৷ ( শক্তি চট্টোপাধ্যায় )
তিতাসের চরে বসেছে জলবিদ্যুত্এর কারখানা৷ ওয়াব্দা ৷ কি সুন্দর সব টাওয়া...
“কেমন আছো?”
বেঁচে আছি।
“তা তো দেখতেই পারছি।”
হ্যাঁ, কিছু ব্যাপার বদলায় না। সব সময়ের মতই আছে এই জবাবটা। বেঁচে আছি। আমার এক নানা বলেন...
“...কেটে যাচ্ছে, তবে রক্তপাত হচ্ছে না। জানি। পুরান কথা। যাক, আগে বাড়ো। এখানে কেন?”
এমনিই। দেশে আসলাম সপ্তাহ খানেক হয়। তোমাদের সবার খবর নিতে আসা। আন্টি দেখছি মলিন অনেক। শুভ্র বড় হয়ে গেছে বেশ। কোন ক্লাসে এখন?
“মা ভালই আছে। শুভ্র ফাইভে এবার। ভুলে গেছো ...
একচালা গোয়ালঘরটার অন্ধকার কোণে, ভেজা খড়ের গাদায় শুয়ে লোকটা চুপচাপ মরে গেল। সেই নোংরা কালো রাতে কুচকুচে শিরিষের ডালে কিংবা অদূরে পাহাড়ী মহূয়ার উৎসবে, সবুজ কাঁচের বোতলে কোথাও টের পাওয়া যাওয়া না। বাইরে হাজারটা ব্যাঙ আর ঝিঁঝিঁ পালা করে অশ্লীল ডেকে যায়, একা কুকুরটা ছাড়া এ রাতে কারো বিলাপের সময় নেই।
লোকটার...
৫.১
ডায়েরি লেখা আমার হয় না। অনেকে বলে থাকেন, ডায়েরিতে বেশিরভাগ মানুষ সত্যি কথা লেখে না। প্রতিভাবান ব্যতিক্রম অবশ্য আছেন, তাঁদের কথা আলাদা। কিন্তু গড়পড়তা মানুষ নিজে যা নয় তাই ডায়েরিতে লিখে রাখে। লেখার সময় তারা কল্পনায় একজন অচেনা পাঠককে দেখতে পায়, সুতরাং সেই পাঠকের কাছে নিজেকে মহৎ ও মহান হিসেবে উপস্থাপন ...
বর্তমানে পৃথিবীতে দ্রুততম প্রসারী ধর্মটির নাম সম্ভবত অ্যান্টি-আমেরিকানিজ্ম্। দুই মহাসাগরের মাঝের প্রচণ্ড ধনী একটি দেশ বাদে সবার ভেতর শুধু একটাই চিন্তা, আমেরিকান পাওয়ামাত্র ‘ধর তক্তা, মার পেরেক!’ অন্যদিকে আপাতদৃষ্টিতে স্বার্থপর, নির্বিকার এই দেশটির লোকেরাও যেন উষ্কে দিচ্ছে সব বিরোধের আগুন। আসলে...
কদিন ধরে বেশ গরম পড়েছে। রুমে জিনিস পত্রের গাদাগাদি, শ্বাস ফেলার জায়গা নেই...। তবু কেন যেন ভালোই লাগে এখানের সবকিছু...। খাঁ খাঁ দুপুর ... বাইরে পোড়া রোদ্দুর। বিছানায় শুয়ে আছি। মাথার উপরে একটা মাকড়সা জাল বুনে যাচ্ছে...। ঘুম আসছে না ...অন্য কোন কাজ করতেও ইচ্ছে করছে না। বরং মাকড়সার সাথে একটু গল্প করি।মাকড়সাকে ডাক দি...
মন্তব্যে দেখুন, মন্তব্যে দেখুন, মন্তব্যে দেখুন, মন্তব্যে দেখুন, মন্তব্যে দেখুন, মন্তব্যে দেখুন, মন্তব্যে দেখুন, মন্তব্যে দেখুন, মন্তব্যে দেখুন, মন্তব্যে দেখুন, মন্তব্যে দেখুন।