লেখকরা অনেক সময়ই লেখার প্রয়োজনে একটি ঘটনা বর্ণনার সময় মূল ভাব ঠিক রেখে নিজের মত করে রং তুলির আঁচরে লেখাটাকে ফুটিয়ে তুলেন। এখানে তা করা হয়নি। একটি সত্য ঘটনা কোনরুপ পরিবর্তন না করে উপস্থাপন করা হয়েছে)
এভাবে প্রতি বছর অসংখ্য কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়, কিন্তু সেই ভ্রমণ শেষ করে তাদের আর ফেরা হয় না ঘরে. হয় জলে ডুবে, না সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায় অসংখ্য তাজা প্রাণ মহাকালের গর্ভে. প্রতি বছর ঘটছে এমন মর্মান্তিক ঘটনাগুলো, ফলে আমরা একরকম অভ্যস্থ হয়ে গেছি এই শোকের সাথে.
সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধাচরণ করে একটি গোষ্ঠী দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে । সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনকে ব্যাহত করার যাবতীয় চেষ্টা করছে । যা জাতির জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে বলে আমার আশঙ্কা হয় । যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত বিচার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের এ ষড়যন্ত্র থেকে জাতিকে রক্ষা করার প্রয়াস অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথকে সুগম করবে । উপর্যুক্ত প্রসঙ্গে আ
আর কতো লাশ দেখবো আমরা?
দেখুন যে এপ্রন পড়ে আমরা রোগী বাঁচানোর শপথ নেই তা আজ জানোয়ারদের হামলায় রক্তাক্ত।
বৈশাখের ঘুঘু ডাকা দুপুর। নানা বাড়িতেই কাটত গরমের দিনগুলো। কাটত, মানে কাটাতাম। আমাদের গ্রামের জনসংখ্যা একটু বেশি। ঝোপ-জঙ্গলও কম। তাছাড়া মা-বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে গণগণে দুপুরে মাঠে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ কম ছিল। নানা বাড়িতে ধরা বাঁধার বালাই নেই। তাছাড়া গ্রামটা একেবারে মাঠের ভেতরে। লম্বা একটা রাস্তা। দু’ধারে সার দিয়ে বসতি। বাড়ির পেছনে বাড়ি নেই। মাঠ আর মাঠ। কোথাও বুনো ঝোপে আচ্ছাদিত বাঁশবন, মাঠকে মাঠ খেজুর বাগান। বাঁশ আর উলুঘাসে একাকার হয়ে যাওয়া অবারিত প্রান্তর।
[justify]
ঘরটা অন্ধকার। এর দেয়াল কাঁচের। এর ভিতর যে বসে আছে সে কিছু দেখছে না। কাঁচের অপর পাশে যারা বসে আছে তারা তাকে দেখছে। দেখছে ৩৫ বছর বয়সী এক লোক বসে রয়েছে কাঁচ ঘেরা ঘরের ভিতর। সুঠাম দেহ। চোখ দেখলে মনে হয় সেখানে রয়েছে এক অদ্ভুত শীতলতা। কোন দয়ামায়া নাই সেখানে। আসলেই তাই। এই লোকটা একটা ঠাণ্ডা মাথার খুনি। এ পর্যন্ত ৪৭ জনকে হত্যা করেছে সে। তার টার্গেট একাকী পথিক। রাস্তার পাশ থেকে তুলে নিয়ে তাদের তিল তিল করে নির্যাতন করে হত্যা করে এবং তাদের রান্না খেয়ে ফেলত।