সকালে কফির কাপে
ঝিমায় মেঘের ফণা- অসুখী প্রহর
রাতের শ্রান্তি থেকে ধার নিয়ে নৈর্ব্যক্তিক আলো
দিন যেন থেমে থাকে শেষ সিঁড়িটির ধাপে-
বাসস্টপে ভেজা রাস্তায়
শেরপা, অক্সিজেন মাস্ক, জীবন রক্ষাকারী গরম মুরগির স্যুপ, কয়েক পরতের উইন্টার জ্যাকেট ইত্যাদি ছাড়াই, শুধুমাত্র দুই বোতল পানি সম্বল করে শর্টস আর রানিং শ্যু পড়ে পর্বতের চূড়ায় এসে পৌঁছালাম। শ্রীমঙ্গলের সর্বোচ্চ পাহাড় মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের শীর্ষ জয় করার পরে স্যান ডিয়েগোর অদূরে মেক্সিকো সীমান্তসংলগ্ন ছোট শহর ছোলা ভিস্তার সর্বোচ্চ পাহাড় স্যান মিগ্যুয়েলের চূড়া বিজয়। নিজের পায়ে হেঁটে জীবনের এই সর্বোচ্চ অর্জনে
সূর্য আকাশের বিষুববৃত্ত পার হয়ে একটু উত্তরে সরতেই ম্যাজিক হলো আবার। খড়-খড় রঙের শীতার্ত মাঠখানা ভরে গেল তরুণ নরম সবুজে। এখানে সেখানে মাথা তুললো ছোটো ছোটো সূর্যরঙের ফুল, ড্যান্ডেলিয়ন। আরো ফুটলো ছোট্টো ছোট্টো নীল তারার মতন দুপূরনীলা (আসল নাম না এটা) ফুলের রাশি, ওরা বেলা বাড়লে তবে ফোটে আবার সূর্য একটু ঢলে পড়লেই বুজে যায়। আরো ফুটলো বেগুনী, গোলাপী, বাসন্তী, লাল ঘাসফুল, নাম জানিনা ওদের কারুরই। নামে কীই ব
বই রিভিউঃ পৃথিবীর পথে পথে
গ্রন্থকারঃ তারেক অণু
প্রকাশকঃছায়াবীথি, বইমেলা ২০১৪
১.
ট্রেনে চড়লেই নিঝুমের ঘুম পায়; দেশে থাকতে এই অভ্যাসটা ছিল না, জার্মানিতেই এই নতুন অভ্যাসটা তৈরি হয়েছে। চার-পাঁচ জন মিলেও যদি ট্রেনে চড়ে, তবুও আশাপাশের গল্পকে পায়ে ঠেলে সে ঘুমিয়ে পড়ে; আর একা থাকলে তো কথাই নেই। তবে মাঝে মাঝে এর ব্যত্যয় ঘটে; আর তখন দড়জার দিকে তাকিয়ে যাত্রীদের উঠানামা দেখে কিংবা জানালার দিকে তাকিয়ে কখনো অতীত দেখে আর কখনোবা দেখে ভবিষ্যত।
ঈশপের গল্পগুলি একই সাথে সমকালীন এবং চিরকালের। বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা।
অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা।
গল্পসূত্রঃ R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য http://www.aesop-fable.com -এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি।
গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে।
The past actually happened. History is what someone took the time to write down.- A. Whitney Brown
রাজা চমন সিং আমার দিকে তাকিয়ে কৌতুকের স্বরে বললেন, তোমার নাম কবুতর ফারুক?
আমি ঘাড় নাড়লাম। আমিই কবুতর ফারুক।
দামড়া পুরুষমানুষ পায়রা কবুতর নাম নিয়া ঘুরো তোমার লজ্জা নাই?
দিনের আলো ধরে রাখতে ঘড়ির সময় পাল্টানোর দরকারই পড়ে না আর। শহরের ভূমি থেকে দশ কিলোমিটার উঁচুতে এক বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে শক্তিশালী বাতি সাজানো। সূর্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করে প্রতি রাতে জলে ওঠে বাতিগুলো। তাতেই আলোকিত হয় পুরো শহর। শহরের মেয়র বাঘা বাঘা বৈজ্ঞানিক নিয়ে এক কমিটি গঠন করেছেন। তারাই এই বাতিগুলো জ্বালানো বা নিভানোর সময় নির্ধারণ করে শহরের দিন-রাত ঠিক করেন। খুব আরামে আছে শহরের বাসিন্দারা। ছাতা-ব