আমি তেমন ঘুরাঘুরি টাইপ পাব্লিক না। তাই বলে ঘুরতে যে আমার ভাল লাগে না তা না। কিন্তু একবার বাসায় ঢুকলে আমাকে হাতি দিয়েও টেনে বের করা যায় না। সবাইকেই দেখি বেশ ঘোরাঘুরি করে, অনেক যায়গায় যায়। আমিও মনে মনে ভাবি, এই শেষ, আর বাসায় বসে থাকবোনা। কিন্তু এই শেষ আর শেষ হয় না। প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে সংকল্প করি যে এরপর থেকে সপ্তাহে একদিন হলেও নতুন নতুন যায়গায় ঘুরতে যাবো। কিন্তু খোদা মনে হয় দুনিয়ায়
মাঝে মাঝে ভালো লাগে না কিছুই, মাঝে মাঝে পালাতে ইচ্ছে করে। চেনা হাতঘড়ি, রোদচশমা কিংবা প্রিয় মানুষটিকেও অসহ্য মনে হয়। যেনো অন্যকোথাও যাবার কথা ছিল—
মৃত্যুমুখ অবধি ছড়ানো এ গাথা— এক অসম্ভব সেতু ছড়ানো চারপাশে। মেঘের মধ্যে উড়ছে আমাদের ঘরবাড়ি যাবতীয় ভালো লাগা। দ্যাখো, দু’হাতে চোখ ঢেকেও আমি তাকে থামাতে পারছি না! শিথিল স্বপ্নের মতো ঘুমন্ত আগুন থেকে বেরিয়ে সে বসে আছে নিষিদ্ধ করাতকলের পাশে।
বনগাঁ এখনও জেগে উঠেনি পুরোপুরি। ভোর বেলা মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে লতা পাতা, পাখির গা আর ঘরের চাল ধুয়ে চকচক করছে। রাতের বৃষ্টি দুঃস্বপ্ন, বিকেলের বৃষ্টি মন খারাপের বার্তা আর সকালে বৃষ্টি আনন্দ বয়ে আনে। বৃষ্টির পানিতে গোসল করে জবা, কুমড়ো ফুল আর ধানের সবুজ পাতায় সোনালী রোদের চিকচিকে হাসি খেলছে। মৃদু বাতাসে ঋষি মুণিদের মত ধানের ছটা গুলো এদিক ওদিক মাথা দোলাচ্ছে। ভারতের এই অংশটি বাংলাদেশের স
অফিসে এসে রোজকের অভ্যেস মতো মেইলগুলো চেক করছিলাম। আনসোর্টেড লিস্টে একটি নামে হোঁচট খেলাম। গট আ মেইল ফ্রম এঞ্জেলিনা গোমেজ। গির্জার ঘন্টার মতো থেকে থেকে নামটা বাজতে থাকলো মাথায়। ধেয়ে আসা ঢেউয়ের সামনে দাঁড়াতে যতটুকু শক্তি প্রয়োজন তার শূন্য দশমিক দশ ভাগেরও কম নিয়ে আমি ওর মুখোমুখি হলাম। জানতে চেয়েছে - আমাকে মনে আছে তোমার?
শেখের টেক থেকে শনির আখড়া অথবা কামরাঙ্গির চর থেকে টঙ্গি ব্রিজ পর্যন্ত যে মানুষগুলি থাকে, রায়ের বাজার কাটাসুর লেন অথবা উত্তরা তিন নম্বর সেক্টর অথবা রামপুরা বনশ্রীর অলিতে গলিতে যে মানুষগুলি বসবাস করে আর প্রতি সকালে অফ হোয়াইট কালারের ফুলশার্ট দিয়ে চকলেট কালারের প্যান্টে কালো চামড়ার বেল্ট পরিপাটি করে গুঁজে দিয়ে বাটার স্যান্ডেল শু পরে সিমেন্টের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে অথবা বেক্সিফেব্রিক্সের ছাপা সালোয়ার কাম
হুমায়ুন আজাদের দেশপ্রেম কবিতা টি এই কয়েক দিন মাথার ভিতর ঘুরছে। কতটা বিরক্তি আর হতাশা নিয়ে হুমায়ুন আজাদ এই কবিতাটি লিখেছেন এখন তা বুঝতে পারি। আসলে নিজেই এখন সেই চরম বিরক্তি, হতাশা আর ঘৃনা নিয়ে দিন কাটাচ্ছি।
আপনার কথা আজ খুব মনে পড়ে, ডক্টর জনসন।
না, আপনি অমর যে-অভিধানের জন্যে, তার জন্যে নয়, যদিও আপনি
তার জন্যে অবশ্যই স্মরণীয়। আমি অত্যন্ত দুঃখিত তার জন্যে
১।
ঝোড়ো বাতাস হচ্ছে সেই সকাল থেকে। দেখে মনে হচ্ছে সবকিছু উড়িয়ে নেবে বলে পণ করেছে দক্ষিণের এই নাছোড়বান্দা বাতাস।
ডাকপিয়ন কোনমতে আমাদের বাড়ির দরজায় এসে দাঁড়ালেন। তাঁর হাতে থাকা কাগজপত্র গুলো উড়ে যেতে চাইছে বাতাসের দমকে।
আমার মা কোনক্রমে দরজা খুলে বাইরে এসে দাঁড়ালেন।
“আপনার একটা চিঠি আছে” ডাকপিয়ন হেসে বললেন।
এটা ঠিক ভ্রমন কাহিনী না। তবু অজানা এক দেশে অদ্ভুত এক নির্ঘুম রাতের ঘটনা বলতে ইচ্ছে করছে।
আহসান সাহেব হুঁকার নলে চুম্বন করিয়া গম্ভীর কণ্ঠে কহিলেন, "আমার পুত্রটি সম্প্রতি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়াছে। এই বয়সে ছেলেপিলে একটু আধটু দুষ্টামি করিয়াই থাকে। মেট্রিক পরীক্ষার পূর্বে তুমি অভিযোগ আনিলে শাস্তি বাবদ উহাকে বেতপিটা করিতে পারিতাম। কিন্তু এখন ত সে নওজোয়ান। তাহাকে বড় শাসন করিতে গেলে সে যদি অভিমানে ঘরছাড়া হয়?"
ঢাকা শহরের অলিতে-গলিতে ফুটে রয়েছে অজস্র ফুল। কিন্তু সেসব ফুলের ছবি তোলাও কম ঝকমারি নয়। কখনো বা হৈ হৈ করে তেড়ে আসছে দারোয়ান, কখনো পুলিশ। সাধারণ মানুষ তেড়ে না এলেও মাঝে মাঝে বাঁকা মন্তব্য করতে ছাড়ছে না।