এক যে অকালপক্ব রে,
ওই মেয়ে তার লক্ষ্য রে,
ভাবনা শুধু তারেই নিয়ে
চায় হতে তার সখ্য রে।
ভ্যালেন্টাইনের চক্করে,
একটি প্ল্যানের ছক করে,
লিখলো জামায় নিজ রক্তে,
সেই প্রিয় নাম, অক্ষরে।
রক্তে বড়ো অক্ষরে,
নাম লেখা শার্ট সখ করে
গায় চাপিয়ে সেই মেয়েটির
দরজাতে সে ‘নক’ করে।
দরজা খুলে ‘টক’ করে
যেইনা মেয়ের লক্ষ্য রে
পড়লো গিয়ে রক্ত লেখায়,
ফাঁসলো প্রেমের চক্করে।
পিজির ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে শাহবাগ থানায় গোলাম আজম মামলা দায়ের করতে এসেছেন। ওসি কিছুটা বিরক্ত। দুপুরের খাওয়ার পর তিনি পিস্তল পরিষ্কার করছিলেন। এই সময় তিনি উটকো ঝামেলা পছন্দ করেন না।
- আপনি কোন ধারায় মামলা করতে চান?
- আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায়।
- আপনার বাড়ি মগবাজারে। আপনি ওখানে মামলা করেন।
- আমি তো এখন পিজিতে প্রিজন কেবিনে আছি। তার উপর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে শাহবাগ থানা এলাকায়।
[justify]২০০৮ সালে প্রথমবারের মত বিদেশ যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন মাস্টার্স করার জন্যে সুইডেনে যাচ্ছি। মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম একটি ডায়েরি সাথে নিব। দৈনন্দিন ঘটনা গুলো লিখে রাখবো। মাস্টার্স শেষ করে সুইডেন থেকে যখন ফিরে আসবো তখন সেই ডায়েরিটির প্রতিটি পাতা ভর্তি হয়ে যাবে। এই ভেবে একটি সবুজ রুলটানা খাতায় লেখাও শুরু করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে নানান ব্যস্ততায় সে খাতায় খুব বেশিদিন লেখা হয়নি। তবে যেটুকু লেখা হয়েছিল, সেটুকু পড়েই আমি টাইম মেশিনে চড়ে অতীতে ঘুরে আসার মত আনন্দ পাই।
যখন যেখানে গেছি সেখানকার প্রতিদিনের দিনলিপি লেখার ইচ্ছে আমার সব সময়ই ছিল কিন্তু কখনই তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। শুধু মাত্র গ্রীষ্মের এক ছুটিতে তিনদিনের প্যারিসের ভ্রমণের প্রায় দুইদিনের ঘোরাঘুরির উচ্ছ্বাসটা লিখে রাখতে পেরেছিলাম। যদিও সেই দুদিনের ঘটনা গুলো গুছিয়ে, লিখে সচলে প্রকাশ করতে আমার এত সময় লেগেছে যে এর মাঝে আরো কয়েকটি দেশ ভ্রমন হয়ে গিয়েছিল।
ছন্নছাড়া আবহাওয়া
আবহাওয়াটা এমন, যে কাজে মন দেয়া যাচ্ছে না। অথচ এখন আমারই কাজ বাকি, আমি দেরি করলেই কাজ পেছাবে। কিন্তু এমন বিকাল-সন্ধ্যায় একটা বই হাতে বের হয়ে যেতে হয় ঘর থেকে, একটু দূরে কোন ক্যাফেতে বসে বৃষ্টি ধোয়া গোধূলী মিলিয়ে যেতে যেতে সন্ধ্যার ইলেট্রিক বাতিতে সজ্জিত হয়ে উঠতে দেখা যায় আলোকিত শহরকে।
আমাদের ছোট শহরে সেরকম নিরিবিলি জায়গা কম। শহরের কেন্দ্রে সবথেকে ব্যস্ত বাজারে একটা চারতলা বিল্ডিং-এর তিনতলায় একটা ক্যাফে আছে, সেখানে চারিদিকে গ্লাস দিয়ে ঘেরা জায়গায় টেবিল আছে। ইচ্ছা করছে ঐখানে চলে যাই। বইটা থাকবে খোলা, কিন্তু পড়া হবে না, ধোঁয়া ওঠা মগের উপর দিয়ে শুধু আনফোকাসড দৃষ্টিতে দেখা হবে দুই-তিন তলা মার্কেটের উপর দিয়ে পুরানো শহরের মাথার উপর দিয়ে নদীর দিকের বৃষ্টিধোয়া দূরের আকাশ।
কিন্তু যাওয়া হবে না।
ফটোগ্রাফি নিয়ে আমার পথচলা বহুদিনের। দিন-মাস-বছরের হিসাবটা আর নাইবা করলাম। কারণ এই পথচলাটা ‘ধারাবাহিক’ নয়। মাঝে মাঝে কিছু ‘বিশাল’ বা ‘ছোট্ট’ বিরতী রয়েছে।
১.
তুহিন অনেকক্ষণ ধরে চোখ কুঁচকে আকাশ দেখে, তারপর হাল ছেড়ে দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মোটা লোকটাকে বলে, "বাবা, প্লেনটা তো আর দেখতে পাচ্ছি না। কোথায় গেলো?"
তুহিনের বাবা আড়চোখে ছেলেকে পরখ করে নিয়ে বলেন, "এই তো বাবা, প্লেনটা এখন অনেএএএএক ওপর দিয়ে উড়ছে। তাই তুমি দেখতে পাচ্ছো না।"
এপ্রিল ২৮, ১৯৭১ পাটোয়ার বাগান লেন
আজ আমার জন্য খুব দুঃখের দিন। সৈয়দ মুজতবা আলী আমাকে তার ৫ নং পার্ল রোডের তেতলার ঘর থেকে বের করে দিলেন।
“কোথায় হাঁটতে বেড়িয়েছিলে বাবা?”। সেপ্টেম্বরের এক ছুটির দিনে ভোর সকালের ট্র্যাকিং থেকে বাসায় ফিরে এসে দেখি সোফায় বসে ব্রেকফাস্ট করছে আমার পাঁচ বছরের ছেলে। জবাবে ‘কাম্পোফন্তানা’ বলতেই জিজ্ঞেস করল মারমোত্তা(marmotta) দেখেছি কিনা? উত্তরে ‘না’ জানাতেই অবাক হয়ে বলল “গত সপ্তাহেই না মারমোত্তার ছবি আমাকে দেখালে, আজকে কোথায় গেল ওরা?” দীর্ঘশ্বাস ফেলে জবাব দিলাম “মারমোত্তার দল ঘুমুতে গেছে, সে এক দীর্ঘ ঘুম………… ঘুম ভাঙবে বসন্তে, এখন শুধুই অপেক্ষার পালা”। সন্তানের বিস্মিত চেহারা দেখে শুরু করলাম মারমোত্তার গল্প, হাতের কাছে উইকিপিডিয়া তো আছেই।
ঈশপের গল্পগুলি একই সাথে সমকালীন এবং চিরকালের। বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা।
অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা।
পদ্মা পার হয়ে মাধবদিয়ার চর। সেই চরে রোগী দেখতে গেলেন এক ডাক্তার। রোগী হতদরিদ্র। রোগী দেখার পর যখন প্রেসক্রিপশন লিখছিলেন, তখন ডাক্তার দেখলেন রোগীর বাবা গোয়াল থেকে হালের বলদ বের করছেন। আর একজন বলদের দড়ি ধরে টানাটানি করছে কিন্তু বলদ নড়ে না। বৃদ্ধ কেঁদে কেঁদে বলছেন, “তোরে আমি রাখতে পারলাম নারে। আমারে কোন দোষ দিস না। পরের বাড়িত যাইয়া সুখে থাকিস।”