[ লেখাটি কাগজে-কলমে লিখেছিলাম ফেব্রুয়ারির পয়লা দিনেই, কিন্তু পেশাগত ব্যাস্ততা আর অন্তর্জালিক সংযোগের সাময়িক দুষ্প্রাপ্যতায় হাতে-কীবোর্ডে উপস্থাপন করা হয়ে ওঠেনি। আর বোধহয় দেরি করা যায়না, কারন (চারদিন আগেই চলে যাওয়া) জন্মদিনের শুভেচ্ছা বেশি বাসি করা ঠিক না। সময়-সংক্রান্ত এই অনাকাঙ্ক্ষিত গোলযোগ আশা করি পাঠকেরা ক্ষমা করবেন। ]
এক মনে সবুজ দেখতে দেখতে হঠাৎ বিষম খান কামাল সাহেব। সাইড উইন্ডোতে ভেসে উঠে এক পঞ্চাশোর্ধ মহিলার প্রতিচ্ছবি, মস্ত এক বস্তা মাথায় করে কই যেন চলেছেন, ঝুঁকে ঝুঁকে, ধুকে ধুকে। কামাল সাহেবের দ্রুতগতির প্রাইভেট কার মাত্র এক ঝলক বন্দী করতে পেরেছিল এই আপাদমস্তক করুন দৃশ্যটির, পঞ্চাশোর্ধা দৃশ্যপট থেকে তিরোহিত হন নিমিষেই, কিন্তু রেখে যান এক দীর্ঘস্থায়ী ধারাপাত, কামাল সাহেবের কোমল অন্তঃকরণে। অচেনা-অজানা ঐ মধ
কার কপালে যে কি লেখা আছে তা কেউ বলতে পারে না, বুঝলে বাবা। দেখি হাতটা একটু টান টান করে ধরো তো। হুঁ! বিয়েটা সমস্যা করবে তোমার। তা তোমার তো বিয়ে হয়েছে। এই বলে ধব ধবে ফর্সা প্রভাস জ্যোতিষী চোখ ছোট করে, ভ্রূ-যুগল আকাশে তুলে চীনেম্যান সুলভ এক হাসিতে মুখ ভরিয়ে ফ্রিজ হয়ে গেলেন।
নবেন্দু মাথা নেড়ে সায় দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল পরবর্তী ব্যাখ্যার জন্য। লোকটা ঠিক ধরেছে তো!
ইয়ার ফাইনালের ক'দিন আগে একদম টিপিক্যাল বাংলা সিনেমা কায়দায় টেলিগ্রাম এলো, ফাদার ইল, কাম শার্প। নিচের ঠিকানাটা উত্তরের এক জায়গার। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো কদিন আগে বাবা বদলি হয়ে ওখানে গেছেন আর গিয়েই অফিসের বদলে হাসপাতালে। সেই ধ্যাদ্ধেড়ে গোবিন্দপুরে চব্বিশ ঘণ্টায় বাস যায় একখানা, তাও কেবল রাতের। উপায় নেই বলে বিরস মুখে তাতেই চাপতে হল। টিকেটে লেখা আছে আরামদায়ক সুপার সেলুন কোচ। একটু পরেই দেখি সুপার সেলুন কোচ
"One small fact: you are going to die. Despite every effort, no one lives forever. Sorry to be such a spoiler.
My advice is when the time comes, don't panic. It doesn't seem to help!"
একটু আগে টেলিভিশন দেখছিলাম। চ্যানেল পাল্টাতে যেয়ে একটা আলোচনা অনুষ্ঠান চোখে পড়লো। শব্দ বাড়িয়ে ভালো করে শুনলাম ওটা ভাষার মাস নিয়েই হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব, তাৎপর্য, জাতীয় জীবনে এর ভুমিকা ইত্যাদি ইত্যাদি যা হয় আর কি । কিন্তু কষ্ট পেলাম চ্যানেলটার নাম দেখে। সম্পূর্ণ আমাদের দেশীয় একটা টেলিভিশন চ্যানেল এর নাম কেন ইংরেজিতে হতে হবে ?
খুঁজেছিলে পাদটীকা পেয়ে গেলে পদ্য,
জেনে গেলে ব্যাকরণ- ভুলে ভরা গদ্য,
রীতি সব নীতি মানে নিয়মে তা বন্দি,
আমরা নই বেঁচে থাকে আমাদের সন্ধি...
সমাসের ব্যস নেই তবু জুড়ে বাক্য,
বৃত্তের লাজ নেই তাই খোঁজে ঐক্য,
একতা কি জাতি-হীন মানবতা ভ্রষ্ট?
দাঁড়ি আর পাল্লায় পশু ঘ্রাণ স্পষ্ট...
নষ্ট সে নতজানু দুষ্ট যা প্রকারে,
মিথ্যেরা লুপ্ত তাই বাড়ে আকারে --
ইতিহাসে দায় নেই তবু খোঁজ যুক্তি?
[justify]*** *** *** *** *** *** *** *** *** *** ***
নতুন একটা সম্ভাবনা মনে আসতেই ফুরফুরে অনুভূতি পেলেন তিনি।
সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তলিয়ে দেখলেন এদিক সেদিক, যত বিশ্লেষণ করলেন ততই সফলতা উঁকি দিচ্ছিল মনে। হু এটা হওয়া খুবই সম্ভব।
অফিসে বসেই শুনলাম খবরটি। তখনও লাঞ্চ করিনি। অনেকক্ষন 'হা' করে বসে থাকলাম। বুঝে উঠতে পারছিলাম না, ঠিক কি হলো বা কি হতে যাচ্ছে। অফিসের জামাতপ্রেমীদের মুখে ফিঁচেল হাসি, কেউ অবশ্য আমার সামনে পড়ছে না ভয়ে। আর লীগ-বিরোধীদের একরাশ উচ্ছাস নিয়ে জিজ্ঞাসা - ' স্যার, আপনি যে বলতেন জামাতের অনেক টাকা, আসলেই সত্যি। দেখলেন কেমন করে হাসিনাকেও কিনে নিলো!' এই বলে শুরু হলো তাদের ঘটনা ব্যাবচ্ছেদ। আমি কোনো কথা না বলে বোঝার চেষ্টা করছি, অনেকটা বোবার মতো - শুধু এদিক ওদিক তাকিয়ে। পুরোপুরি 'পাজলড' যাকে বলে, আমার অবস্থা সেই রকম!
সচলের লেখক/পাঠকরা তো ঘোরাঘুরি কম করেন না। আমাদের নেতা তারেক অণুর সুযোগ্য নেতৃত্বে ভূ-পর্যটক ও জল-পর্যটক সচলদের সাথে আমরা ঘুরে এসেছি আলাস্কা থেকে দক্ষিণ আমেরিকা, খেয়েছি গরুর ১নং চাপ, ইউরোপের গ্রামের পথ চষে বেড়িয়েছি, বরাফাচ্ছাদিত পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছি, দেখেছি সোনালি ইলিশ। এককথায় দেখা বাকি আছে, করা বাকি আছে এরকম জিনিসের সংখ্যা এখন অনেক কমে এসেছে। আর যেগুলো বাকি আছে সেগুলো করাটাও তো সহজ সাধ্য না। যেমন, ধরুন এখন পর্যন্ত কোন সচলের কেউ মহাশূণ্যে ঘুরতে যেতে পারিনি। (উড়োজাহাজে চড়ে মহাশূণ্যের কাছাকাছি গিয়েছি অবশ্য সবাই।)