সচলের লেখক/পাঠকরা তো ঘোরাঘুরি কম করেন না। আমাদের নেতা তারেক অণুর সুযোগ্য নেতৃত্বে ভূ-পর্যটক ও জল-পর্যটক সচলদের সাথে আমরা ঘুরে এসেছি আলাস্কা থেকে দক্ষিণ আমেরিকা, খেয়েছি গরুর ১নং চাপ, ইউরোপের গ্রামের পথ চষে বেড়িয়েছি, বরাফাচ্ছাদিত পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছি, দেখেছি সোনালি ইলিশ। এককথায় দেখা বাকি আছে, করা বাকি আছে এরকম জিনিসের সংখ্যা এখন অনেক কমে এসেছে। আর যেগুলো বাকি আছে সেগুলো করাটাও তো সহজ সাধ্য না। যেমন, ধরুন এখন পর্যন্ত কোন সচলের কেউ মহাশূণ্যে ঘুরতে যেতে পারিনি। (উড়োজাহাজে চড়ে মহাশূণ্যের কাছাকাছি গিয়েছি অবশ্য সবাই।)
পাহাড়ে উঠে আবার নেমে আসার ঝক্কি নেব না বলে
প্রতি বছর কিছু কিছু লোককে আমার তরফ থেকে পাহাড়ে পাঠিয়ে দিই
সমুদ্র অনেক দূরে বলে
কিছু বন্ধুকে বলি সমুদ্রটা দেখে আসতে
ভালবাসলে বুক ভেঙ্গে যাবে এই ভয়ে পছন্দের মেয়েটিকে বলেছি
আমার শত্রুটাকে ভালবাসতে
জীবন-যাপন কষ্টময় বলে আমি প্রায়ই
অন্যের যাপিত জীবনে নিঃশ্বাস নেই
নিজের কন্ঠ খুঁজে পাইনি বলে হরবোলা হয়ে থাকি
আমি আটক হতে চাই না--তাই পলাতক হয়ে আছি
আজ সরস্বতী পূজা, বাণী বন্দনার সাথে কিশোর প্রেমের মেলামেশার দিন । এখন দেখি অনেকে বলছে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন দিবস। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন দিবস হল শুধুই প্রেমের দিন। জোর গলায়, গোলাপ আর উপহারের নৈবেদ্য সাজিয়ে প্রেমের দাম্ভিক ঘোষনা , আমি শুধু আমি-ই আছি। বসন্ত পঞ্চমীর কিশোর প্রেম হল তাদের জন্য যাদের "জয় করে তবু ভয় " যায় না।
নীচু হয়ে মাছের পেট টেপাটেপি করছেন জীবনবাবু। কানকো লাল না ফ্যাকাশে সব দেখে নিচ্ছেন। দেখে টেখে পছন্দ হলে এবার শুরু হবে দরকষাকষি। তারপর আবার ছোট দু একটা মাছ ফাউ নেবার বায়না। জীবনবাবুকে তাই মাছওয়ালারা কেউ ভালবেসে চায়না। তারা অবশ্য আমাকেও চায়না। দরদাম কম করে, পচা ধচা সব গছানো যায় এমন খরিদ্দারকেই তো বিক্রেতারা ভালবাসে। আর ক্রেতারা ভালবাসে সেই দোকানীকে যে কেনা দামে মাল বেচে তাড়াতাড়ি ফকির হবে সেই মহৎপ্রাণ
বেলা তিনটায় 'লাঞ্চো' সেরে অফিসে বসে একটু ঝিমাচ্ছিলাম। তারিক আজিজ এসে প্রস্তাব দিল চলেন বইমেলায় যাই। তার কুপ্ররোচনায় অফিস ফাঁকি দিয়ে বইমেলায় চলে গেলাম। ২০১৪'র মেলায় আজকেই প্রথম যাওয়া। সেই আনন্দে দু'শ টাকা দিয়ে একটি সিএঞ্জি চালিত অটোরিক্সা ভাড়া করে ফেললাম। এবারের মেলা দুই অংশে বিভক্ত। শিশুতোষ বইয়ের প্রকাশনী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল বাংলা একাডেমির ভেতরে আর বাকিরা সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। একাডেমি চত্তরে আজকে যাইনি। উদ্যান বেশ ফাঁকা ফাঁকা, প্রশস্ত। হারেরেরে রেরে করে "গ্রন্থ মেলা গ্রন্থ মেলা অমর একুশে গ্রন্থ মেলা" টাইপের থিম সং এর উৎপাত নাই এবার।
আসছে টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে গত ক্রিকেট বিশ্বকাপের মত বাংলাদেশে প্রচুর বিদেশী আসবে। ঢাকা শহর কখনই বিদেশী বা পর্যটক বান্ধব শহর না। ক্রিকেট বিশ্বকাপে এসেছিল এমন ২জন বিদেশী বন্ধু কাম পর্যটকের সাথে কথা বলে জেনেছি বাংলাভাষা বিষয়ক জটিলতার কারণে এখানে চলা বেশ কষ্ঠকর।
বিশেষ করে ঢাকা শহরের বাসগুলো, যেখানে সব বাসের গন্তব্যস্থলগুলো খাঁটি বাংলা আবার কখনও ভুল বাংলাতে লেখা থাকে।
১.
দরজাটা খুলে যাওয়ার পর ওপাশে আমার গোমড়ামুখো পড়শী ফদলুর রহমানকে দেখে আমার কেন যেন ভালো লাগে না।
এয়ারপোর্ট থেকে পাওলো কোহেলোর একটি বই কিনতে কিনতে কি মনে করে মত পালটে এই বইটি কিনলাম। লেখক সিআইএ'র সর্বোচ্চ পদক পেয়েছেন তার অবদানের জন্য। বইটি পড়তে খারাপ লাগে না, রীতিমত রগরগে গোয়েন্দা কাহিনী। কিন্তু গুডর
পেয়েই বুঝেছি-
প্রাপ্তি আড়াল করে চরাচর রক্তে ভেসে যায়
ক্ষমার আড়ালে যেই লজ্জ্বার পরিণত ভয়
তার কোনো আচ্ছাদন নেই!
রাত্রির নৈঃশব্দে যে রকম
গর্ভিনী গাভীর নত চলন-
তাদের ঈষৎ চিনি
ঈষৎ জ্বলনে আমি ঘুমাতে পারিনা!
আমার তন্দ্রায় আমি শিমূল গাছের গুঢ কাঁটা
ছাড়াতে পারিনা।
গুল্মে র-লতার আর বাকলের রহস্য বুঝিনা!
পেয়েছি বলেই আমি বুঝে গেছি
সোনামোড়া কাঁথার কথিত রহস্য
জেনেছি আমার নয়
জেনে গেছি-