ভেবেছিলাম ঘোর কেটে গেলে লিখব, অথবা সম্ভবত ঘোর কেটে গেলেই লিখব। সেই ভেবেই অপেক্ষা করছিলাম, দু-চার দিন, কিন্তু ঘোর কাটল না, কাটছে না, বরং ঘোরের মধ্যেই পড়ে ফেললাম আরেকটা বই। সে জন্যেই লিখতে বসা। ঘোর কাটার অপেক্ষায় থাকলে হয়ত লেখাই হয়ে উঠবে না। লেখা না হয়ে ওঠা আরও অনেক সম্ভাবনাময় লেখার মত হারিয়ে যাবে, অনেক লেখাই যে রকম ভ্রুণ অবস্থায় হারিয়ে যায়। অবশ্য তাতে বিশেষ কিছু ক্ষতি হয়নি বা হয়না। আমি এমন কিছু লিখ
আজ সকালে ফিরলাম সাতক্ষীরা থেকে । দিনাজপুরে যাওয়া সম্ভব হয়নি । যাই হোক সাতক্ষীরাতে যে চিত্র দেখলাম তা হল ছোট বড় হামলার স্বীকার সাতাত্তরটি পরিবার তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররে সংখ্যা উনিশটি । । এদের মধ্যে মুসলিম হিন্দু দুই পরিবারই রয়েছে । মন্দির ভাঙা, বাড়িঘর পোড়ানো হয়েছে ।সব চেয়ে ভয়ঙ্কর কথা ধর্ষিত হয়েছে বলে বলছে কেউ কেউ কিন্তু কোন প্রকার তথ্য তারা দেয়নি । মারা গেছে মোট দশজন । সরকারি ভাবে সাহায্য দেয়া হয়েছে তবে পরিমাণটা জানতে পারিনি । ব্যক্তিগত ভাবে এক জন ঐ পরিবারগুলোকে বিশ হাজার করে টাকা এবং কম্বল বিতরণ করেছে বলে জানালেন ওখানকার ডিসি । তিনি আরও জানালেন প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন ২০ তারিখ পরিদর্শনে ।তাই আপাতত সাতক্ষীরাতে আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন নেই ।
চারতলায় দাঁড়িয়ে নতুন একটা স্কেচের জন্য থিম খুঁজছিলাম। এমন সময় ঐ কন্ঠটা। মাটিতে একজন মহিলা তার সামনে দাঁড়ানো সাত আট বছয় বয়সী বাচ্চাটাকে থেমে থেমে শাসাচ্ছে। আমার স্কেচের চিন্তা যে কই পালালো!
ঘটনা কি খুলে বলি। তার আগে একটু গান শুনে নেয়া যাক।
পারভেইচ্যারে বল খেলাডা তওবা কইরা ছাড়
কবন্ধের এলোমেলো পোঁচে
শুভচিহ্ন মুছে যাচ্ছে একে একে,অমাবস্যা আরো
গাঢ় হয়ে নামে চরাচরে।
কুঠার শানায় ওরা,ঘন ঘন ফুলকি ওড়ে
ফলে অন্ধকার অধিক আঁধার
বলে মনে হয়,মধ্যযুগ কাফনের মত আপাদমস্তক
মুড়ে ফেলে দশদিক।তবুও মানুষ
হাটুতে ঠেকিয়ে মুখ বসে থাকে,যেন সে পাথর।
যৌন নির্যাতন আমাদের দেশে এমন একটি ট্যাবু যা নিয়ে আমরা কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে চাইনা, প্রসঙ্গটা সবসময় এড়িয়ে যেতে চাই। আর তা যদি শিশু যৌন নির্যাতন হয় তাহলে তো আর কথায় নেয়... খুব কম পরিবারই রয়েছে যারা নিজ শিশুর যৌন নির্যাতনের কথা জানতে পেরেও নির্যাতকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করে থাকে। কারন বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুটি নির্যাতিত হয় তার আশেপাশের আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী চেনা পরিচিত মানুষ দ্বারা। আর এক্ষেত্রে সামাজিকতার বা লোকলজ্জার ভয়েও অনেক সময় অনেক অভিভাবক নির্যাতকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় না।
অনেকদিন ধরে সানগ্লাসে লুকাই ভৌতিক দুপুর-
ভয়ে নয় তবুও লুকাই
বুক পকেটে মোচড় খেয়ে রাতবিরাতে চিত্কার করে ইতিহাসের বৈদ্যুতিক তর্জনী
ধাক্কা খায়, রক্ত-কবিতা-কলম- জাতীয় ফুলে সাম্প্রদায়িকতা নেই-
থাকতে পারেনা
হাতের রেখায় যখন তখন চোখ রাঙিয়ে উঠে বুড়িগঙ্গার শুকনো দৃষ্টি, মৌলবাদের ট্রাফিক
চোখ মুছতে মুছতে লুকাই ব-আকৃতির বিপুল হাহাকার
পত্রিকার পাতা খুলে একটা পাখি একটি অক্ষর কোথাও উড়ে না