১৯১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জগৎবিখ্যাত মানসিক রোগচিকিৎসক এবং মনস্তাত্ত্বিক সিগমুন্ড ফ্রয়েড তাঁর বন্ধু এবং সহকর্মী কার্ল গুস্তাভকে চিঠি লিখল ‘…… আসছে গ্রীষ্মের ছুটিতে আমার প্রয়োজন এমন এক লোকালয় যেখানে একটু একা থাকতে পারব শুধু ধারেকাছে অরণ্য থাকলেই চলবে’।
আগস্ট মাসে বন্ধুকে আবার চিঠি লিখে ফ্রয়েড জানিয়ে দেয় ‘...... রেননের এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আমরা চমৎকার আছি, নিষ্কর্মা হয়ে বসে থাকার অপার আনন্দ আমি নিজের মাঝে খুঁজে পেয়েছি’।
এখানে সুলভ মূল্যে দেশ অচল করা হয়!!
বছর খানেক ধরে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে দৈনিক পত্রিকার ছাপানো কপি হাতে নিয়ে পড়ি না। পত্রিকাগুলো তাদের অনলাইন সংস্করণে মোটামুটি সারাদিন ধরে 'সদ্য সংবাদ' 'তাজা খবর' টাইটেলে কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া খবর সংক্ষেপে তুলে দিচ্ছে। কেউ কেউ অন্যদের থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখতে যত দ্রুত সম্ভব শিরোনাম দিয়ে, সঙ্গে দুই বাক্যের বর্ণনা আর শেষে 'বিস্তারিত আসছে---' অনুসরণ করছে। দেশে থ্রিজি এসেছে, টেলিটকে বছর খানেক হলো। ফলে,
সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে পুরো পরীক্ষাটাকে একটা তামাশায় পরিণত করেছে। প্রথম পরীক্ষা (২০/১১/১৩) ছিল গণিত যার প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য আজকের পত্রিকাতেও এসেছে। আর আজকের বাংলা পরীক্ষার (২১/১১/১৩) প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবর সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে সকাল বেলাতেই। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে অভিভাবকদের মাঝে চাপা উত্তেজনা, ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা চলছিল; পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র বিতরণ করার সাথ
এপোলো প্রথম দিকে সুরস্রষ্টা হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। ছিলো না তার কাছে লায়ার বা বীণা। সঙ্গীতের দেবতা হিসেবে এপোলোর গল্পের আগে ঘুরে আসতে হবে অলিম্পিয়ান দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে চতুর হার্মিসের এক কাহিনীতে।
হার্মিস ছিলেন জিউস এবং মাইয়ার (সবচেয়ে বড় প্লেয়াডেস) সন্তান। হার্মিস মায়ের সাথেই পাহাড়ের গুহায় বাস করতেন। একদিন, হার্মিস সবে হাঁটতে শিখেছেন, সূর্যের আলোয় গুহার সামনে খেলা করছিলেন, হঠাৎ করেই দেখতে পেলেন ঘাসের উপর পড়ে আছে একটি কচ্ছপের শক্ত খোলস। তিনি জিনিসটি দেখে খুব মজা পেলেন এবং গুহায় নিয়ে আসলেন। এরপর খোলসটির প্রান্ত ধরে ফুটো করতে লাগলেন, ভিতরের দিকে ফাঁপা নলখাগড়ার মতো বানিয়ে ফেললেন, চামড়া ও রজ্জু দিয়ে তৈরী করলেন লায়ার, এক বীণা। এভাবেই তৈরী হলো বিশ্বের প্রথম বীণা, যার ভিতর লুকিয়ে আছে অসাধারণ এক সুর।
[justify]
।।১।।
এই গল্পের সাথে দুটো ছবি আছে। প্রথমটি প্রায় কিশোরী একজন মেয়ের, ১৮/১৯ বছর বয়েসি। পঞ্চাশের দশকের। সেই সময়ে সম্ভবত এই বয়েসি মেয়েদের স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তুলতে হতো। কারণটা অনুমান করা খুব কঠিন কিছু না। স্টুডিওর লোকজনকে হয়ত কিছুই বলতে হতো না। ওরা হয়ত এই বয়েসি মেয়েদেরকে দেখলেই জানতো কিভাবে ছবি তুলতে হবে। এই একই ভঙ্গিমাতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো অনেকের ছবি আমি দেখেছি - এটা প্রায় সবারই সংগ্রহে থাকা বিয়ের আগে তোলা একমাত্র ছবি।