পাথর মসজিদ লাগোয়া চত্বর, পাটনা। ১৬৪৪ এর গ্রীষ্মকাল।
সওদাগরের ছদ্মবেশে থাকা পেয়াদা জাফর নদীর দিকে মুখ করে উবু হয়ে বসে টুপি বাছতে বাছতে টুপিওলাকে বলল, বুড়ামিয়া মাথা ঠাণ্ডা রাখে এরকম একখান টুপি দেন। দুপুরের দিকে মাথা রুটির তাওয়ার মতন গরম লাগে।
লালচে দাঁত দেখিয়ে হাসল টুপিওলা, বিসমিল্লা বইলা ফুঁ দিয়া পরবেন। দেখবেন কেমন ঠাণ্ডা থাকে মাথা।
হাসনাত সাহেব দরজা ঠেলে ঘরটায় প্রবেশ করলেন। ঘরটা প্রকান্ড। আশেপাশের যে দশটা বাসায় ঘরগুলো দেখতে পাওয়া যায় তার সাথে এর কোনভাবেই মিল করা চলে না। ঘরটা প্রশস্ত, বিশাল। অনেকটা ক্লাসরুমের মত। হাসনাত সাহেব এ ঘরটায় প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারেন। আজকাল যে ফ্ল্যাট-রুমগুলো তৈরী হয় সেখানে বেশিক্ষণ থাকা যায় না, দম বন্ধ হয়ে আসে।
শীত করছে আসি আসি... মৃদু কনকনে বাতাস শীতের আগমনের বার্তা বয়ে আনছে যেন। খুবই প্রিয় এই সময়টা হেঁটে হেঁটে এগিয়ে আসছে আমার কাছেই, পাতা পোড়ার গন্ধ আমায় মাতাল করে দেয় এই সময়টাতে। কুয়াশার চাদরে ভিজিয়ে দিয়ে যায় আমার সকল ইচ্ছেগুলোকে। আর দুঃখগুলোকে বন্দী করে শিশিরের কণায়। ঠিক এভাবেই...
মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে একমাত্র শিম্পাঞ্জি কিংকং যখন শেষরাতে খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে যায়, টের পায়নি কেউ। টের পাবার কথাও নয়, এই সময়ে পাহারাদারেরাও ঘুমিয়ে পড়ে। দিনের বেলা যে লোকটি খাবার দিতে এসেছিল, তার সাথে কিংকঙের কী চুক্তি হয়েছিল, সে খাঁচায় একটি কলার বদলে এক কাঁদি কলা রেখে দরজাটিও বন্ধ করতে ভুলে গেল, এসব খবরাদি জানতে হলে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে ডাকতে হয়। চিড়িয়াখানার পরিচালকদের এতো কিছু জানার আগ্রহও নেই, ট
[justify] আমাদের বাড়ীর পেছনের পুকুরে বড্ড বাড়াবাড়ি রকমের কচুরিপানা জমেছিল একবার। বাড়ীর আর সবাই আমার মতই আলসে। মা-বাবার বয়েস হয়েছে, তাদের পক্ষে পুকুরে নেমে কচুরিপানা সাফ করা সম্ভব নয়। বাড়ীতে আমরা মর্দ তিন ভাই, দুটি বোনও আছে। কিন্তু জলে নেমে কচুরি সাফ করে পুকুরটিকে স্নান করনের যোগ্য না করে তুলে টিউবওয়েলের জমানো জলেই দিব্যি কাজ সেরে নিচ্ছিলাম। কদিন বাদেই বাবা অবশ্য সকলের সুবিধার্থে অনেক খরচপাতি করে ঘ
রবীন্দ্রসঙ্গীত ও সুবিনয় রায় নিয়ে গালগল্প এই বেলা সেরে নেয়া যাক!
রবীন্দ্রসংগীতের গায়কী নিয়ে রচিত দ্বিতীয় অধ্যায়টি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। সুবিনয় রায় সমগ্র রবীন্দ্রসংগীতকে ৩ টি পর্যায় বা ধারায় বিভক্ত করেছেন, যথাঃ
১। হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীত প্রভাবিত রচনা,
২। বাংলার লোকসংগীত ও কীর্তন প্রভাবিত রচনা, ও
৩। স্বকীয় সৃষ্টিমূলক সংগীত রচনা (original creative composition)।
১.
সোজা পথগুলো রূদ্ধ। বাঁকা পথেই রওনা দিল সে।
সবচেয়ে সোজা ছিল সল্টগোলা বারিকবিল্ডিং হয়ে আগ্রাবাদ পেরিয়ে টাইগার পাস লালখান বাজার। এটা হবে না, বারিকবিল্ডিং থেকে আগ্রাবাদ হয়ে দেওয়ানহাট পর্যন্ত দাউ দাউ জ্বলছে।
দ্বিতীয় বিকল্প পোর্টকানেকটিং রোড হয়ে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড দিয়ে বাদামতলি মোড় পেরিয়ে সোজা উত্তরে। তাতেও জ্বলছে আগুন আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে।
আমাদের সেই বাড়িটা আর নেই। পুরনো ঢাকার কলতাবাজারের জরাজীর্ণ এলাকায় আরও জরাজীর্ণ শেওলা ধরা মাঝারি মাপের একটা বাড়ি। আমাদের শৈশব কৈশোর তারুন্নের সাক্ষী একটা বাড়ি। বাড়িটার ঘরগুলো খুব সাজানো গোছান প্রকৌশলীর হাতে বানানো ছিল না প্রথমে। বিশাল বিশাল সেগুন কাঠের বিম কড়িবর্গা। প্রথমেই ছিল বাবার কাজের ঘর তারপর বসার ঘর আমরা বলতাম মাঝখানের ঘর, মাঝে বারান্দা আসলে প্রতিটা ঘরের সাথেই বড় বারান্দা ছিল তারপরে আমাদের