১।
কোয়ান্টামের রাজ্যে রাজা আছেন অনেকজন। তারমাঝে রহস্যের রাজা ছিলেন জর্মনদেশী ভার্নার হাইজেনবার্গ। আইসবার্গের গুঁতোয় টালমাটাল হয়ে টাইটানিক যেমন ডুবেই যায়, হাইজেনবার্গের গুঁতোয় চিরচেনা বিজ্ঞানের জাহাজখানাও হঠাৎ টলমল করে উঠেছিল বৈকি। তবে বিজ্ঞানীরা তাকে ডুবতে দেননি। বাস্তবকে তাঁরা বাস্তব বলেই মেনে নিয়েছেন। আর এই বাস্তবতার নাম ‘অনিশ্চয়তা’।
বছরখানেক পর দেশে। বন্ধু শাজাহানের শান্তিনগরের বাসায় ভুড়িভোজন হলো। তারপর গল্প করতে করতে বিকেল অতিক্রম। এবার ফেরার পালা। রিকশা নিলাম একটা। সেটি বারবারই আটকে যায় ট্রাফিক জ্যামে। আমি নিজের ভাবনায় নিমগ্ন থেকেই এদিক সেদিক তাকাই। পুব-পশ্চিমে উড়াউড়ি, কাছের মানুষ, দূরের মানুষ, ঢাকার রাস্তাঘাট- রাজনীতি, এগুলোই তো পরবাসী জীবনের নাইয়র ভাবনা। এরই মাঝে সামনের রিক্সা থেকে এক লোক বলে উঠলেন,
সোনিয়া আমাদের লাগারে আসে রাজহংসীর মতো। মুখে একটা মিষ্টি হাসি। ভারতীয় পাকিস্তানীরা বেশ সমীহই করে তাকে। সেভাবেই এসেছিল সে দিন। একটা পাকিস্তানী এসে বায়না ধরল, “তোমার সহেলির সাথে পরিচয় করিয়ে দাও”। আমি জানি সোনিয়া জানতে চাইবে “কী বলেছে লোকটা”?
ভাগ্যের ভাটিযাত্রায় সম্রাজ্ঞী দ্রৌপদী এখন স্বৈরিন্ধী ছদ্মনামে মৎস্যদেশের রাণী সুদেষ্ণার দাসী। বহু হিসাব নিকাশ কইরাই তেরো নম্বর বচ্ছরে অজ্ঞাতবাস করতে পাণ্ডবরা বাইছা নিছে মৎস্যদেশের রাজা বিরাটের প্রসাদ। পাশাখেলার শর্ত হিসাবে দুর্যোধন যদি এখন পাণ্ডবদের খুইজা বাইর করতে পারে তয় আরো বারো বচ্ছরের বনবাস আর এক বচ্ছর অজ্ঞাতবাস এবং সেই অজ্ঞাতবাসেরও শর্ত একই সেইম...
চাকরিটা যখন পাই তখন চাকরিটা নিব কি নিব না সেটা নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলাম। কাছের সবাই বলছিল ভালো কোম্পানি, ভালো সেলারি, সুতরাং কোন রকম ভাবা-ভাবি না করে যেন চাকরিটা নিয়া নেই। সব কিছু বিবেচনা করে অবশেষে চাকরিটা নিয়েই নিলাম। চাকরিটা নেয়ার পেছনে ভালো কোম্পানি, ভালো সেলারি ব্যতীত আরেকটা অন্যতম কারণ ছিল, সেটা হল- চাকরির পারপাসে প্রায়ই আমাকে বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাভেল করতে হবে।
জানিনা কোন মহাধাম থেকে আসে, এই অধমের শয়নকক্ষে
ফুলের ঢেউগুলো ঢোকে। যেভাবে সমুদ্র :
বেলাভূমিকে প্লাবিত করে
স্নানরত মানুষের পায়ের তলা থেকে বালুরাশিকে টানে,
তেমনি ঢেউগুলো আমার মধ্যে আসে
কী যেন রাখে, আবার সরিয়ে নিয়ে যায় ;
কেউ চায় কী আমাকে,
যুগপৎশূন্য-পূর্ণ করতে?
এ যেন অনন্ত সেই খেলা, সাগর আর সৈকতের।
এতোকাল ধরে যতফুল, বাগিচায় বনভূমিতে নিসর্গে
প্রথম আলো অদ্ভুদ। আরো অদ্ভুদ তাদের পাকিরাও ভালো প্রজেক্ট।
আনপড় পাঠকেরা এই প্রজেক্ট সম্পর্কে না জানতে পারেন। তাদের জন্য একটা ছোট্ট সূচনা।
পাকিরাও ভালো প্রজেক্ট প্রথম আলো ঘোষিত অফিসিয়াল কোন প্রজেক্ট নয়। সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলা ব্লগজগত থেকে এইরকম প্রজেক্ট বাস্তবে আছে এরকম অনুমানের সূচনা। প্রথমআলো গ্রুপ নিয়মিত বিরতিতে পাকিস্তান থেকে বুদ্ধিজীবী ভাড়া করে আনে। এরা হাবিজাবি মিশিয়ে পাকিস্তানের হাতেগোনা কিছু লোকের বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালোমন্দ কথা বলে এরকম লোকেদের হাজির করে। নিয়মিত এরকম পাকিস্তানি ভালো লোক মিডিয়াতে হাজির হলে, এবং সেইসাথে সেখানকার লোকেদের একাত্তর প্রশ্নে অবস্থান চেপে গেলে জনমানসে সব পাকিস্তানি আসলে খারাপ না এরকম একটা ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য হয়। পুনর্মিত্রতার এই প্রজেক্ট বেশ কিছুদিন ধরে চলছে।