আরব সাগর থেকে তাপ্তি নদীতে জাহাজ ঢুকল এইমাত্র। সুরাট বন্দর আসন্ন। জাহাজ আসছে সেই মছলিপটনম থেকে, মেলা লম্বা রাস্তা। মাঝে থেমেছিল কোচিন কালিকট আর গোয়ায়। জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে ফরাসী জহরত ব্যাপারি জঁ পিয়ের থিবো দেখতে লাগলেন উঁচু দেয়ালে ঘেরা সুরাট দূর্গের পাশ দিয়ে জাহাজ ধীরে ধীরে এগুচ্ছে কাস্টমস হাউসের দিকে।
নভেম্বর। ১৬৪২ সাল।
ফাঁকিবাজি জিনিসটা যে একটা আর্ট সেটা প্রথম দেখি মোস্তাফিজের কাছে। মোস্তাফিজ ক্লাস নাইনে আমাদের ফার্স্টবয় ছিল। ফার্স্টবয়দের কাছ থেকে আমি সবসময় দূরত্ব বজায় রাখলেও মোস্তাফিজ ছিল ব্যতিক্রম। কারণ মোস্তাফিজই প্রথম দেখা ফার্স্ট বয় যে ফার্স্ট বেঞ্চে বসে পাটিগনিতের নীচে 'মাসুদ রানা' রেখে নির্বিকার চেহারায় ফজলু স্যারের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতো। আমাদের ফাঁকিবাজির প্রতিভা থাকলেও মুস্তাফিজের মতো দুর্লভ সাহস ছিল না বলে বসার জন্য পছন্দ ছিল দ্বিতীয় বা তৃতীয় বেঞ্চ। বুঝতেই পারছেন কর্মজীবনেও মোস্তাফিজ আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এখনো কি সে প্রথম শ্রেণীর ফাঁকিবাজি চালাচ্ছে? জানি না।
তখন আমরা নতুন উঠেছি ক্লাস নাইনে। তখন রাজ্যের শিক্ষানীতি অনুসারে শিক্ষাবর্ষ একটু বদলে গেছে, বার্ষিক পরীক্ষা আর নভেম্বরে হয় না, হয় মার্চ-এপ্রিলে, রেজাল্ট বেরোয় মে মাসে। তারপরে নতুন ক্লাসে ওঠা। ভরা গরমের দিনে নতুন ক্লাস, আগেকার দিনের সেই জানুয়ারীর নরম শীতে নতুন ক্লাসে ওঠার মজা আর নেই। নতুন ক্লাসে কিছুদিন পড়াশোনা হয়ে গ্রীষ্মের ছুটি পড়লো। ছুটি ফুরালে যখন স্কুল খুললো তখন ক্লাসে এসে দেখা গেল বোর্ডে বড় বড়
১.
মূল রাস্তা ধরে চলছিল গাড়ি বেশ। কথা নেই বার্তা নেই হুট করে ড্রাইভার গাড়ি নামিয়ে দিল বাইপাস রোডে। “কর কি কর কি?” বলে বাস জুড়ে শুরু হয়ে গেল হাউকাউ! ড্রাইভার বলে-“মেইন রোডে গন্ডগোল মামা, তাই সাইড কাটছি!”
কোথা থেকে বাসে উঠেছিল এক পাগল কিছিমের লোক। হাউকাউ থেমে গেলে সে বলে কি না-“ গন্ডগোল হোক আর যাই হোক, পথে থাকতি হয়। একবার বিপথে নামলি পথে ওঠা খুব কঠিন!”
২.
১। আব্দারঃ বহুদিন পর ছড়া লিখলাম, তাল হারালে আমার দোষ নেই
২। সতর্কীকরনঃ হাতি সাইজের না হলেও জিরাফ সাইজের ছড়া
৩। অনুরোধঃ আলোচ্য কেন্দ্রীয় চরিত্র নিজগুনে অশ্লীল হওয়ায় অ-প্রাপ্তমনস্ক পাঠকেরা এখানেই থামুন
গান ছাড়া এই জীবন অচল সব প্রহরে। সেই ছেলেবেলা কোথায় কবে শব্দের আবাহনে সুর-তাল-লয়-ছন্দ সমস্বরে এসে জীবনটাকে এইভাবে বেধে ফেলেছে জানা নেই, জানা নেই গান বিচ্যুত সময়গুলো’তে আসলে কতটা ভাল থাকি, কিন্তু এতোটুকু বুঝি গান ছাড়া এই জীবন অচল যখন-তখন!
রাতে আমার ঠিক নিচে সুমন ভাই ঘুমান। পাঠক পাঠিকারা উল্টা পাল্টা কিছু চিন্তা করার আগেই বেপারটা ক্লিয়ার করে নেই। আমরা যেই দোতালা খাটে ঘুমাই তার উপরে আমি,নিচে সুমন ভাই।ঘুম আসার আগ পর্যন্ত নানান বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়।ইতিহাস,রাজনীতি,সিনেমা,নারী। আলোচনার টপিক যখন থাকে নারী,তখন সুমন ভাই কে খুবই উৎসাহী হতে দেখা যায়। গার্লফ্রেন্ড না থাকার জন্যই বোধহয় চেহারায় একটা আহা আহা ভাব চলে আসে।রাত বারোটা একট
পৃথিবীটা মূর্খদের। মূর্খেরা বেঁচে থাকো
অনাদি যে কাল অনন্ত যে কাল আর অসম্ভব যে কাল সে কাল থেকে স্বপ্ন দেখছি জন্ম নেবো কারখানায়
তবু অনাদিকাল অনন্তকাল ধরে নোংরা বিন্দুগুলো মিলেমিশে ''আমি'' হয়ে উঠছি
তাই আমি এতো আঠালো (পুস্পি কে বোঝাতে পারিনি)
বেঁচে থাকো ঔরসের গৌরব বেঁচে থাকো স্নেহের কলরব
মামা খালা চাচা ফুপু পরম উল্লাসে পান চিবাও খুন চিবাও
বেঁচে থাকো
গ্রীক মিথলজি ১৮ (ভালোবাসার গল্প- কিউপিড এবং সাইকী- প্রথম পর্ব) অনুযায়ী সাইকীকে পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভয়ংকর দানবের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য (শিল্পী- এডওয়ার্ড বার্নে জোন্স, ১৮৯৫ সাল)
পূর্বের পর্বের পর--