একটা দেশ ছিল যেখানে সবাই ছিল চোর। প্রতি রাতে সবাই চাবির গোছা আর লন্ঠন নিয়ে বের হত চুরি করতে এবং প্রতিবেশীর বাড়িতে এমনভাবে চুরি করত যেন একটা আলপিনও বাদ না থাকে। চুরি করতে কোন অসুবিধাই হতনা। কারণ সবাই যে চুরি করতে বাড়ির বাইরে!চুরি টুরি করে সবাই যখন বস্তা ভর্তি চুরির মাল নিয়ে সকাল বেলা বাড়ি ফিরত দেখা যেত তাদের নিজেদের বাড়িও পুরো খালি হয়ে গেছে!
এখনও নদী নীল তবে নির্জন নয়,
ব্রীজে সারাদিন ছিপ ফেলে দাঁড়িয়ে থাকে সূর্যচশমা পড়া মানুষগুলো,
দেখি বনের ভেতরে হেঁটে যায় চুপিসারে পাখিশিকারীর দল,
এখনও হত্যা অবসরের নির্দোষ ক্রীড়া,
রক্ত রক্তে এখনও অফুরান আনন্দ নিয়ে আসে।
আকাশে চীনা জাপানি ঊচ্ছ্বল ঘুড়ি উড়ে বিচিত্র ড্রাগনের সাজে,
আমার একরঙা ঘুড়ি তাদের ভীড়ে হারিয়ে যায়, গোত্তা খায় ঘুরে ঘুরে,
ক্লান্ত হয়ে এলে আমরা দুজন
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে সেই কবে
নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি
বুনো শালিকের কাফেলায়,
অথচ পঙ্খি সুমারিতে আমি এক
নতজানু কাকতাড়ুয়া
ধ্যানমগ্ন ধানের সবুজ পাতায় পড়ে থাকি
শিশিরের জলপাট্টি হয়ে।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে সেই কবে
নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি
সময়ের এক অচেনা স্রোতধারায়
অথচ বেঁচে থাকার তাড়নায়
স্রোতহীন এক সাগরে ভেসে যাচ্ছি
উদ্দেশ্যহীন বেদনায়।
[justify]নানু’র শরীর খারাপ, দেখতে যাওয়া দরকার কিন্তু আমার কারণে যাওয়া আটকে গেছে। আমার অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে, ভাইবা যেদিন শেষ সেদিন সবাই মিলে রওনা হবো সিদ্ধান্ত নেয়া হল, সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা সবাই একত্রিত হবো টুটুল ভাইয়ার বাসায়। আমরা মানে আমরা তিন মামাতো-খালাতো ভাই আর দুই ভাগ্নে -- দলনেতা টুটুল ভাইয়ার নেতৃত্বে তখন আমাদের কাজ হচ্ছে বই পড়া, মুভি দেখা, গান শোনা, গান গাওয়া আর হুট-হাট যে
ঝাঁ চকচকে সুন্দর একটা সকাল। ঝিরিঝিরি বাউরী হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপছে গাছের পাতাগুলি। যেন কি এক আনন্দযজ্ঞে মেতে আছে সমস্ত প্রকৃতি! এমন একটা সকাল নিয়ে যেকোনো যুবক দিব্যি দু-চার লাইন কবিতা আওড়ে যেতে পারে বা গুনগুনিয়ে গাইতে পারে রোম্যান্টিক কোনো গান!
আঁকাআঁকির হাত আমার কোনোকালেই ছিল না। ফুল, পাখি, বাড়িঘর কিংবা গ্রামের দৃশ্যাবলী কোনোদিনই আঁকা হয় নি। খুব ছেলেবেলায় গ্রামের যে স্কুলে পড়েছি, সেখানে আঁকাআঁকির কোনো বালাইও ছিল না। কিছুদিন আগে ফেসবুকে ‘বিটস্ট্রিপ’ খুব জনপ্রিয় হলো। সবাই নিজ নিজ কার্টুন অবতার এঁকে ফেললো। তার সাথে আরো কতো মজাদার সব সংলাপ। ভাবলাম আমিও একটা এঁকে ফেলি। সোনম কাপুরকে নিয়ে ‘বিটস্ট্রিপ’-এ চড়ে একটা ড্রিম ডেটে যাই। চোখ, মুখ
এই বইটার দ্বিতীয় অংশ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে গেল। জীবন যাপনের গ্লাণি, অবসাদ, আলস্য, অনেক কিছুই এর কারণ। যাই হোক প্রারব্ধ কাজটা এই বেলা সেরে নেয়া যাক। সঞ্জীবের ভ্রমণসমগ্রের দ্বিতীয় বইটি নিছক ভ্রমণ কাহিনী নয়। এতে আছে বিশ্বরাজনীতির কূটকচালবর্জিত সার-সংক্ষেপ, মায়া সভ্যতার নানান বিস্ময়, স্প্যানিশদের দক্ষিণ আমেরিকায় জবরদখল, লুঠতরাজ ও বর্বরতা আর সর্বোপরি আছে লেখকের আশ্চর্য সারল্য ও নিজেকে নিয়
০।
প্রতিদিন চলার পথে কত ঘটনা ঘটে, তার সব কিছু কী আমাদের মনে থাকে? সম্ভবত না। অবশ্য সব ঘটনা মনে রাখার মত না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনটা প্রায়ই একটা ধরাবাধা রুটিনে বাধা পড়ে যায়। এমনকী যে লোকটা সব নিয়ম ছুড়ে ফেলে বাউন্ডুলে জীবন যাপন করতে চায় তার জীবনটাও সব রুটিন কে ঝেড়ে ফেলার রুটিনে বাধা পড়ে যায়।
প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকুরীর পদমর্যাদা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এমন খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চাকুরী দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হচ্ছে, বাড়ছে শিক্ষকদের বেতনও। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন স্কেলও স্বতন্ত্র হচ্ছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এসবই আশার কথা, আনন্দের কথা। আমাদের জাতীয় জীবনে আনন্দের সংবাদ আসে খুবই কম, যা আসে তা-ও পত্রিকার পাতায় ঠাঁই পেতে লড়াই করতে করতে আসে। প্