এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বেশ হা-হুতাশ চলছে চারদিকে। এরমধ্যে এবার রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির হিসেবও ঢুকে পড়েছে। অভিভাবক হতাশ, শিক্ষক হতাশ, শিক্ষার্থী বিমূঢ়। কিন্তু এটাকে ফলাফল বিপর্যয় কেন বলবো তা এখনও আমি বুঝে উঠতে পারিনি। অর্ধ লক্ষাধিক জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সর্বোচ্চ মেধাবীদের নিয়ে আমরা কী করবো যখন তার এক দশমাংশও প্রত্যাশামত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে না ?
[পাঠক হিসেবে যাঁরা আজাইরা, কেবল তাঁরাই এই পোস্টে লেখকের জন্য নিরাপদ !]
…
[justify]লিসবেথ নামের আমাদের এক বয়স্ক সহকর্মী তার প্রতিদিনের পত্রিকাটি পড়া শেষ হলে আমার বউ এর টেবিলে রেখে যায় যেন অন্তত হেডলাইন গুলোতে চোখ বুলাতে গিয়ে অথবা কোন পৃষ্ঠার ছবি দেখে উৎসাহী হয়ে খবরটি পড়ার চেষ্টা করে এবং ধীরে ধীরে নরওয়েজিয়ান ভাষাটা শিখে ফেলে!
শঙ্কর ভুলে গেছে চারপাশের সব আসবাব-পত্র, আফ্রিকা দেশটা, তার রেলের চাকরী, মোম্বাসা থেকে কিসুমু লাইনটা, তার দেশ, তার বাবা –মা- সমস্ত জগৎটা শূন্য হয়ে গিয়ে সামনের ওই দুটো জ্বল-জ্বলে আলোর দানায় পরিণত হয়েছে, তার বাইরে শূন্য! অন্ধকার! মৃত্যুর মত শূন্য, প্রলয়ের পরের বিশ্বের মত অন্ধকার !
স্মার্টফোন নিয়ে আগ্রহ আছে, কিন্তু অতগুলো টাকা খরচের আগে ভালভাবে জেনে নেয়া দরকার, তাই প্রায়ই বিভিন্ন ফোনের রিভিউ পড়ি। রিভিউগুলোতে টেকনিক্যাল দিকগুলো বেশ বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। তবে সেই তথ্যগুলো আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করতে পারেন না -- কারণ আমার নিজের আসলে কতটুকু এই অতিরিক্ত স্মার্ট-চাহিদাগুলো আছে (চাহিদা = যার জন্য খরচ করা যায়, অর্থনীতির ভাষায়) তা ঠিক
বনের গহনে
বিশাল বৃক্ষ থেকে
সবুজ পাতার উপর
ঝাঁপিয়ে পড়ে রোদ
ছায়া হয়ে গেছে
যেন অভিমান
ঝোঁপের ভেতর
সর্পের মতো দলা পাকিয়ে আছে
ছোট ছোট কাঁটা
কীট পতঙ্গ বুনোগন্ধ
আর ছায়ার আঁচড়ে হৃদয় আমার
ভরে ওঠে রক্তে
ছায়া যেন সাকার দেবতা
একেই কী বলে অবহেলা
...
২৬.০৭.২০১৩
শহরে হঠাৎ জলোচ্ছাস। তীব্র স্রোতে ভেসে যাচ্ছে অনেক কিছু। বাজারের জ্যান্ত মাছ, পাখিসুদ্ধ পাখির খাঁচা, রিকশা, টং দোকান...আরো অনেক কিছু। মানুষও ভেসে যাচ্ছে। তবে শহর হওয়ার কারণে মানুষ ভাসছে কম। কেউ স্থির বাসের ছাদে, কেউ একতলা একতলা বাড়ির ছাদে, কেউ গাছে, কেউ বা জানালার সানশেডের উপর আশ্রয় নিয়েছে। স্রোত আর মানুষের চিৎকারের শব্দ চারিদিকে। প্রকৃতির এই আচমকা স্ফুর্তিতে সবাই আতংকিত, ভীত এবং কিছুটা বিহ্বল।
হিমু গুডরিডস নিয়ে একটা লেখা প্রকাশ করেছে সম্প্রতি। গুডরিডস যে সমস্যাটির সমাধান করে সেটা হচ্ছে বইকে কেন্দ্র করে একটা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তৈরী করা। বন্ধুরা কে কি পড়ছে, কে কি রিভিউ করছে সেসব জানার ফলে বই পড়ার আগ্রহ তৈরী হয়। নিঃসন্দেহে একটা বই কেন্দ্রিক সামাজিক আলোচনার ক্ষেত্র প্রসারে জুড়ি নেই গুডরিডসের।
মোটামুটি বলা যায় দুই নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করলাম জর্জ ওরওয়েলের এনিমেল ফার্ম বইখানা। এক কথায় অসাধারণ। মাত্র একশ পাতা। অর্থাৎ অফিস যাওয়া আসার পথে এক এক দুই ঘন্টার জ্যামকে আনন্দদায়ক করার জন্য যথেষ্ঠ। বইটি ব্রিটিশ কৃষক জোনসের 'ম্যানর ফার্ম' এর পশুপাখিদের জীবনের গল্প। এদের মাঝে