মায়ের মন বড়ই অদ্ভুত, সে মা যদি গায়া হয়। টাইটান যুদ্ধে জিউস জয়ী হবার পর ক্রোনাসসহ অন্যান্য টাইটানদের টারটারাসে বিভিন্ন রকম শাস্তি দেন। গায়া চেয়েছিলেন তাঁর সন্তান সাইক্লোপস এবং হেকাটনখিরাসদের মুক্তি, তাই জিউসকে ক্রোনাসের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন, কিন্তু তিনি চাননি জিউস আবার টাইটানদের শাস্তি দিক! কারণ টাইটানরাও তো গায়ার সন্তান! তাই টাইটানদের শাস্তিতে ক্ষুদ্ধ গায়া তাঁর আরেক প্রজাতির সন্তান জায়ান্টদের আহবান করলেন। যীশুর জন্মের প্রায় চল্লিশ বছর আগে ওভিদ নামে এক রোমান কবি ছিলেন, তিনি লিখেছেন, গায়া তাঁর জায়ান্ট সন্তানদের আহবান করেছিলেন , “দেবতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করো”।
হাইকোর্টের ঐ ভবন থেকে যেমনি বলা- “ওগো,
অনেক তো ভাই ঘি খেয়েছ, এবার তুমি ভাগো।
আর দেব না দেশের ভাগা রক্তমাখা পাল্লায়,
এবার কেবল হাল ধরবে দেশের মাঝি-মাল্লায়।”
এইনা শুনে মার্খোরেদের মনটা বেজায় বিলা,
এদেশ-ওদেশ মিলিয়ে শুরু, হয়েছে কত খেলা।
ভিনদেশেতে মিছিল করে মৌদুদীদের চ্যালা-
অধ্যাপকের জাতটা চেনায়, লোক হাসিয়ে ম্যালা।
কাপড় খুলে লেঞ্জা বেরয়, সুশীল হামিদ মীরের,
না কোন আলাদা রাজ্য নয়। বরং বাংলা, মানে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই উত্তর দিকের জেলাগুলো নিয়ে অশোকস্তম্ভের ছাপমারা সরকারী দপ্তর কিংবা ঘেমো আম আদমির প্রাত্যহিক আলাপচারিতা – সবেতেই হাজির উত্তরবঙ্গ। প্রথমেই বলে রাখা ভালো, আজকের প্রবল গ্লোবাল ঝড়ে ভাসতে ভাসতেও যেখানে জন্মেছি, বড় হয়েছি, কাজকম্ম করে বেচে বর্তে আছি, মন ভালো লাগলে বা খারাপ লাগলে যে পথ, জনপদ বা পাহাড়ে ছুটে যাই বারংবার, একটু সফট কর্ণার থাকবে না
মানুষ অতীতে চোখ চালিয়ে কদ্দূর পিছনে দেখতে পায়? বেশীর ভাগ ছবি-ই ফোকাসের বাইরে। তবু ডিজিটাইজ করে, পিক্সেল জুড়ে জুড়ে রেন্ডারিং করে নানা ভাঙ্গাচোরা টুকরো থেকে এক একটা ছবি বার করে আনা।
আর পাঁচটা দিনের-ই মত এক সকাল। আবার এক রকম নয়-ও। বই পড়া চলছে। বাবা এসে কোলে তুলে নিল
- চল।
- কোথায়?
- স্কুলে
বনভোজনের রফা করতে করতে শেষ পর্যন্ত লিস্টিটা যা দাঁড়াল তা হচ্ছে এই-
খিচুড়ি ( প্যালা রাজহাঁসের ডিম আনবে বলিয়াছে)
আলু ভাজা ( ক্যাবলা ভাজিবে)
পোনা মাছের কালিয়া ( প্যালা রাঁধিবে)
আমের আঁচার ( হাবুল দিদিমার ঘর হতে হাত সাফাই করবে)
রসগোল্লা, লেডিকিনি ( ধারে ম্যানেজ করিতে হইবে)
লিস্টি শুনে আমি হাঁড়িমুখ করে বললাম, ওর সাথে আরেকটা আইটেম জুড়ে দে – টেনিদা খাবে !
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতাসংগঠক বেলাল মোহাম্মদ চলে গেলেন! একাত্তরে আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের নয়টি মাস এই বেতার কেন্দ্রটি বাঙালির স্বপ্নের বাতিঘর হিশেবে উদ্দীপনার দীপ্ত মশালটি প্রজ্জ্বলিত রেখেছিলো। আক্রান্ত ও অবরুদ্ধ বাঙালি কী বিপুল আগ্রহ নিয়ে এই বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনেছে!
মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা)-ঢাকা আন্তনগর 'হাওর এক্সপ্রেস' ট্রেন উদ্বোধন হয় গত ৩০ তারিখে। উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কিছু খণ্ডচিত্র।
১. উদ্বোধনের আগের দিন গেলাম ২ তারিখের টিকিট কাটতে। বলা হলো, টিকিট আছে কিন্তু মন্ত্রী এসে উদ্বোধন না করা পর্যন্ত টিকিট দেয়া হবে না। জিজ্ঞাসা করলাম, কেন, উদ্বোধন না হওয়ার কোনো শঙ্কা আছে কিনা! বলা হলো, শঙ্কা নাই, কিন্তু আমরা দিব না এখন।
পার্সিফোনি ছিল এক ফুটফুটে সুন্দরী মেয়ে। সে ছিল শস্যের দেবী দিমিত্রার মেয়ে। দিমিত্রা(Demeter) ছিলেন করুণাময়ী দেবী,তাঁরই করুণায় পৃথিবীর মাঠে মাঠে শস্য ফলতো, গাছে গাছে ফুল ফুটতো আর ফল ধরতো। পৃথিবীর মানুষেরা তাঁকে ভক্তিভরে পূজা দিতো, নৈবেদ্য দিতো।
আমাদের গ্রামে হেলাল চোরা খুব জনপ্রিয় ছিল মাইর খাওয়ার জন্য। যখন-তখন যে কারো তাকে লাত্থিগুঁতা দেবার অধিকার ছিল বলে তার নামে থানায় যেমন কোনো মামলা ছিল না তেমনি তাকে নিয়ে কোনো বিচার সালিশও হতো না কোনোদিন। কারো ইচ্ছা হলে তার উঠানে গিয়ে ডাক দিলেই হতো- এই হারামজাদা বাইরে আয় তোরে পিটাব এখন...