বই ছাড়া আমি থাকতে পারি না, সে হোক ঘর বা বাহির, টাট্টিখানা বা বিমানের অন্দরে, পুস্তক লাগবেই, ইদানীং অবশ্য পিডিএফ নামক প্রযুক্তির ফলে সেটা দিয়েও কাজ চলে। আর ভ্রমণের সময় বই বাছাই করি একটু সাবধানে, যাবতীয় ভ্রমণে টিনটিন নামের রিপোর্টারটি পাশে থাকবেনই, এবং এলাকা বিশেষে উনার কাহিনীও বাছাই করা হবে সেই ভাবেই, যতবার নেপালে গেছি তিরতির আনন্দ এবং মিগুর সাথে দেখা হবার উৎকণ্ঠা নিয়ে পড়েছি তিব্বতে টিনটিন,
বিশ্ব ঘুরতে কয়দিন লাগে? বড়জোর তিনদিন। সেইদিন কি আর আছে যে ফিলিয়াস ফগ হয়ে ভৃত্য প্যাসেপার্তুকে বগলদাবা করে বিশ্বকে চক্কর দিতে পুরা আশি দিন লাগাবেন আর ফিরে এসে সেইটা নিয়ে আবার বিতং করে বই লিখে ফেলবেন। ঢাকা থেকে এমিরেটস এ চড়ে ৪ ঘণ্টায় দুবাই চলে যান। প্লেনে বাথরুম চাপলে বা থুতু ফেলতে মন চাইলে পাকি দেশের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্লেনের জানালা খুলে কাজ সেরে ফেলুন চটপট।
বিগত কয়েকবছরের ধারাবাহিকতায় এইবারের র্যাগ প্রোগ্রামটিও বিশৃংখল ঘটনা থেকে মুক্ত থাকতে পারল না। র্যাগ কনসার্টের পূর্বে প্রানজুড়ানো বৃষ্টিতে সবার যেখানে মাথা শীতল হওয়ার কথা, সেখানে ঝামেলা পাকিয়ে বসল প্রথমবর্ষের একছাত্র। ইঁচড়েপাকা জুনিয়র প্রপোজ করে বসল র্যাগব্যাচের এক ছাত্রীকে। তাও আবার একা নয়, যৌথভাবে। ছাত্রীর ভাষায় এবং অভিযুক্তদের পরবর্তী স্বীকারোক্তিতে যেটা ইভটিজিং হিসেবে গণ্য হয়েছে। এই ঘটনারই আরো বিস্তারিতে যাবার আগে আলোচনার সুবিধার্থে কিছু বিষয় অবতারণার প্রয়াস পাচ্ছি।
গল্পটা রহস্য পত্রিকা’র অক্টোবর-২০১০ সংখ্যায় প্রকাশ হয়।
আমি আনারুল। মা বলতেন ‘আনারুল হক’। বাবা ডাকতেন আনু নামে। গাঁয়ের লোকেরা বলত আনারুল পাগলা। ভাঙাচোরা অবয়ব। পাখির নীড়ের মত উষ্কখুষ্ক কেশশ্রী, সাপের খোলসের মত খসখসে ত্বক, অস্পষ্ট বাচনভঙ্গি, বোকাবোকা চাহনি আর বুদ্ধির ঘটে আমড়া কাঠের ঢেঁকি; সবমিলিয়ে গ্রামবাসীদের দেয়া পদবীটা ধারণ করার মত যথেষ্ট যোগ্যতা আমার ছিল। তাই আজও এই গাঁয়ে পাগল ও আনারুল সমার্থক দুটি শব্দ।
[justify]
একটা বিশেষ দিনের ঘটনা দিয়ে শুরু করি-
৭ই জুন, ২০১২
[justify]
শুরুতেই সদ্য সমাপ্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ভিত্তিক কিছু তথ্য দেখা যাকঃ
বরিশাল বিভাগঃ
মোট ভোটার ২,১১,২৫৭। ভোট প্রদত্ত হয়েছে ১,৫০,৪৯২। ভোট প্রদানের হার ৭১% । ভোট প্রদান করেন নি ২৯% ভোটার।
প্রদত্ত ভোটের বিপরীতে, জয়ী বিএনপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের হার ৫৬% , বিজিত আওয়ামী প্রার্থীর ভোটের হার ৪৪%।
ঋতুপর্ণ ঘোষের নাম প্রথম শুনি চোখের বালি বের হবার পর। ক্লাসের ছেলেরা ঐশ্বরিয়ার পিঠ দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দিত ছিল মনে আছে। তখনো আমার সেই সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয় নাই। ধরেই নিয়েছিলাম ঐশ্বরিয়ার রূপ দেখিয়ে সিনেমার হিট করার তালিকায় আরেকটা সিনেমা যোগ হল। আমি কখনই খুব সিনেমা বা টিভি দেখার পোকা ছিলাম না। কাজেই এরপর কয়েকবছর আর তাঁর কোন সিনেমা উপভোগ করা হয় নাই।
কুরেন্ত আর ক্রানিয়াৎস ঘুরে ঘুরে দেখছিল মহাপ্লাবনের (এইখানে প্রথম অংশ) পরের দুনিয়াটাকে। ডাঙা জেগে উঠেছে বটে কিন্তু কোনোখানে কেউ নেই। প্রাণশূন্য এক বিবর্ণ দুনিয়া। কেজানে কতদিন লাগবে আস্তে আস্তে গাছপালা পশুপাখিতে দুনিয়া ভরে যেতে। মানুষ জাতির মধ্যে আছে কেবল ক্রানিয়াৎস। সে এই বদলে যাওয়া দুনিয়া দেখে কেমন হতভম্ব হয়ে গেছে, মুখে কথা নেই। হাজার হোক, মানুষ ত