সময় কখনো এমন অস্থির হয়ে ওঠে
বাতাসের শীষ বাজে
শীষের শব্দেরা ঘুরপাক খায়
দরজা কপাটে বারান্দায়
আমাদের পোড়াঘরে
ছাইকয়লার অন্ধকারে
সময় কখনো এমন মন্থর হয়ে ওঠে
স্তব্ধ পাতালের গহীন নৈশব্দে
থমকে দাঁড়ানো পদধ্বনি
ফিরে ফিরে পেছনে তাকানো
আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ মৃত্যুময় পথে
সকলের সাথে একা একা নিঃসঙ্গ যাত্রায়
মরুঝড় সময়ের আঙুল ধরে
হেঁটে যাই অসীমের অন্ধপথে!
আমার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড আমাকে জানালো ১২ জুন সন্ধায় দৃক গ্যালারিতে ফরেনসিক স্টাডি শীর্ষক প্রদর্শনী (কল্পনা চাকমার সন্ধানে একটি আলোকচিত্র) হবে । মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম যাবো । যাওয়ার জন্য তৈর হচ্ছি আমারে ৫ বছর বয়সি মেয়ে ( সঞ্চারী ) কোথায় যাচ্ছি জানতে চাইল, বললাম দৃকে , শুনেই বায়না ধরলো সে যাবে ।গায়ে জ্বর বলে আমি নিতে চাইলাম না , কিন্তু সে যাবেই । বাধ্য হয়েই নিয়ে গেলাম । পুরোটা সময়
কিঙ্কিণী রিনিঝিনি শব্দে কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে গেল, জলতরঙ্গের মত তরল সুরেলা কয়েকটা কণ্ঠস্বর উড়ে বেড়াচ্ছে ঘরময়, তারই কোন একটা তন্দ্রাভেদী বাণ হয়ে কর্ণকুহরে প্রবেশ করা মাত্র আপাতদৃষ্টিতে হিমালয়ের মত অটল ঘুমখানা বজ্রআঁটুনি ফস্কা গেরোর মত জামানত হারালো। রিও ডি জেনিরোর লেমন গ্রাস হোস্টেলের এক কোণার কক্ষে তিন তলা খাটের সবচেয়ে উপরেরটাতে শুয়ে আছি, উপরের দিকে তাকালে নানা আঁকিবুঁকি সহ বিবর্ণ হতে থাকা ছ
মেঘ ছোঁব বলে দুই দুইবার পাহারে গেলাম। কিন্তু ছুঁয়ে এলাম রোদ। মেঘলা মেঘলা একটা দিন দেখে বেরিয়ে পরলাম পাহাড়ে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে যেতে যেতে দূরে বেশ মেঘ দেখা যাচ্ছিলো। মনে মনে খুশিই হলাম। কিন্তু এমনি দুর্ভাগ্য, যখন পৌছালাম তখন চারিদিকে চকচক করছে রোদ্দুর। আমার আর মেঘ ছোঁয়া হলনা। একটা সময় সমুদ্রে খুব যেতে চাইতাম। আর এখন পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াই। হয়ত তখন আমি সমুদ্রের মত বিশাল ছিলাম। আর এখ
আমি তখন রোজ সকালে কলেজ পড়াই
এমনি এক ঘুমভাঙা সকালে
আকাশের মন খারাপ দেখে আমারও মন খারাপ হয়ে গেলো
খুব ইচ্ছে হল ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শুয়ে থাকতে
মনিটরকে ফোনে জানিয়ে দিলাম, আজ আর ক্লাস হবে না
আজ তোমরা পলাশ নদীর তীরে ঘুরতে যাও
আমিও আসছি। ব্ষ্টিটা ধরে এলে আমিও চলে আসছি
-স্যার, পলাশ নদীটা কোথায়? ৬ নম্বরে যাব না ৩৬ নম্বরে?
আমি বললাম, ৩৬ নম্বরেই যা।
আব্বা তুমি নাকি হাতির খেলা দেখাও?
শিশু নাসিরুদ্দিনের কথায় একটু হাসে আজিম, হ দেখাই। এখন খা।
আলুভাজি রুটির দিকে তাকালোই না নাসিরুদ্দিন। মুগ্ধ চোখে পিতার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, আমারে নিয়া যাইবা আব্বা হাতির খেলায়? আমি তোমার মত হইতে চাই। আমারে খেল শিখাইবা?
পাশে বসা নাসিরুদ্দিনের মা একটু শিউরে উঠে ছেলেকে একহাতে জড়িয়ে বলে না না, হাতির খেল তোরে শিখতে হইব না। তুই লেখাপড়া কইরা কাছারিতে যাবি, দেখবি তোর কত সম্মান হইব।
কাছারিতে কি হাতি আছে আম্মা?
অনেকদিন ধরে বুয়েটে মৌলবাদী রাজনীতিরে আগ্রাসনের উপর একটা তথ্যনিষ্ঠ লেখা লিখবো বলে ভাবছিলাম। কিন্তু দেশের বাইরে থেকে বুয়েটের তথ্য জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু আজকের এই সংবাদটা দেখে একটা ছোট আকারের সাধারণ অবজারভেশন না লিখে পারলাম না।
গল্পটা শুরু হোক ভারতীয় আলোকচিত্রী রঘুবীর সিং কে দিয়ে। বলা হয়ে থাকে রঘুবীর সিং পশ্চিমা কোনো দেশে জন্ম নিলে রঙিন আলোকচিত্রের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো।
তো সেই রঘুবীর সিং হাইস্কুলে পড়ার সময়ে কোনো এক অলস দুপুরে পারিবারিক লাইব্রেরীতে আবিষ্কার করেন অঁরি কার্তিয়ে ব্রেসোর “বিউটিফুল জয়পুর” নামের বইটি। এই বইটিই পরবর্তিতে রঘুবীর সিং-এর ভবিষ্যত যাত্রাপথ নির্ধারন করে দেয়। তারও একযুগ পরে একদিন বিকেলে রঘুবীর তাঁর সদ্য প্রকাশিত দুটি আলোকচিত্রের বই বগলদাবা করে হাজির হলেন তার প্রিয় আলোকচিত্রী কার্তিয়ে ব্রেসোর ভিলায়। ততোদিনে রঘুবীর নিজেও প্যারিসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন।