আমি ব্যাপক অলস মানুষ। অনেক দিন ধরে একটা জরুরি লেখার চিন্তা করেও লেখা হচ্ছে না। কারন লেখা দেয়ার মতন পর্যাপ্ত তথ্য বা যোগ্যতা হয়তো আমার নেই। কিন্ত বাধ্য হয়েই লিখতে হচ্ছে। কারন আর কেউ তেমন লিখছে না এই ব্যাপারে। কিছুদিন আগে আমি ক্লাস নাইনের একটা মেয়েকে পড়ানো শুরু করি। ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রি পড়াতে হবে। শুনলাম বই চেন্জ করেছে এইবার। আমরা যেই বইটা পড়ে এসেছি সেইটা সম্ভবত চালু হয়েছিল ১৯৯৭ থেকে এবং এই
উইলিস টাওয়ার
।।এক।।
ছুটির দিনের শেষ বিকেল। কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। আনোয়ারা বেগম বসে আছেন আট তলার ফ্ল্যাট বাড়ির ড্রয়িং রুমের সামনের এক চিলতে বারান্দায়। সদ্য বৃষ্টির পরের রোদটা তেমন জোরালো না। ফ্লাট বাড়িটার সামনেই রাস্তা। রাস্তার ওপারের মুখোমুখি বাড়িটা দোতলা। অনেক গাছ গাছালীতে ভরা। তারপর সামনে যতদূর দৃষ্টি যায় সারি সারি উঁচু উঁচু বিল্ডিং। আকাশে এখনো দল বেঁধে চলেছে মেঘের সারি। মেঘের দলের ফাঁক দিয়ে এক চিলতে রোদ এসে পড়েছে সামনের বাড়িটার জানালার ছাদে, কার্নিশে। ফুরুৎ করে একটা ছোট্ট শালিক উড়ে এসে বসল কার্নিশের ওপর। সরু চঞ্চু দিয়ে জমে থাকা বৃষ্টির পানি শুষে নিচ্ছে শালিকটা। ওর দেখাদেখি আরও একটা শালিক উড়ে এলো। এক টানে অনেক খানি পানি খেয়ে নিলো দ্বিতীয় শালিকটাও, যেন অনেক দিন খায় নি এমন স্বাদু বৃষ্টির পানি।
সতর্কীকরণ – নিরামিষভোজীদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
রিও মহানগরীতে পা দেবার পরপরই ইসাইয়াস সেরণা বলল যেহেতু এটা আমাদের একসাথে ভ্রমণের শেষ গন্তব্য, আমাদের অবশ্যই উচিৎ হবে রিও সৈকতে আচ্ছাসে গড়াগড়ি করার পাশাপাশি একদিনের জন্য হলেও চুরাস্কোতে যাওয়া।
চুরাস্কো ? সে কী আচানক বস্তু? খায় না মাথায় দেয়?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
এই লেখাটি যে খুব ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করবে অতোটা আস্থা রাখতে পারছি না। কিন্তু ভবিষ্যতের কাছে আমাদের যে দায় রয়েছে সেই দায় খানিকটা হলেও পূরণের চেষ্টা করতে এই লেখাটি লিখছি। বলতে ভালো লাগছে, দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে এই লেখাটি আপনাকে লিখতে পারছি। স্বাচ্ছন্দ্যের কারণ আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ। সেজন্য এই লেখাটিতে শিক্ষা কী, তা আপনাকে আলাদা করে বুঝিয়ে বলতে হবে না। আমি যে দেশের নাগরিক, যে দেশে আমি বেড়ে উঠেছি, কোনো অশিক্ষিত সামরিক শাসক অথবা অন্য কোনো অশিক্ষিত ব্যক্তি সেই দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছে না, সেটা নিঃসন্দেহে দারুণ একটা অনুভূতি।
গত পরশু গিয়েছিলাম রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট। সেখানে সারাদিন নৌকায় বন ও আশে পাশের দুই তিনটা গ্রাম ঘোরা শেষ হলে সন্ধ্যায় ক্যাম্প করলাম আলীনগর নামের এক ছোট্ট গ্রামে, গোয়াইন নদী ও বিলের মাঝখানে। আজকের গল্পটা হতে পারতো চমৎকার সেই ঘুরে ব্যাড়ানোর স্মৃতি গুলো নিয়ে , পানির নীচে তলিয়ে যাওয়া এক স্বর্গীয় বন, বনের সাপ, উল্লুক বা পাখিদের নিয়ে।
আজকাল মাঝে মাঝেই নিজেকে খুব অসহায় লাগে। জাপটে ধরে নিরাপত্তাহীনতা। মনে হয় দিন দিন যেন বেঁচে থাকাটা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন শুনতে হয় এদিক-ওদিক, খুচরো-বড়, চেনা-অল্প চেনা- অচেনা মৃত্যুর অথবা জীবনের বিপন্নতার খবর। ছোটবেলায় গাছপালা, পশুপাখি, দাদু-দিদা মিলিয়ে মিশিয়ে প্রাণের যে বি-শা-ল বৃত্ত ছিল, তা যেন ছোট হতে হতে আমাকে ফাঁস হয়ে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলছে। কি জানি হয়তো তখনও চারপাশটা এরকমই ছিল, শুধু আমার চোখে ছিল রঙ-চশমা।
আমাদের সময়ে পরীক্ষায় এ, বি, সি, ডি না দিয়ে নাম্বার দেবার নিয়ম ছিলো। বোর্ডের পরীক্ষায় প্রাপ্ত বিভিন্ন বিষয়ের এসব নাম্বার যোগ করে একটা মেধাতালিকা করা হতো। সেই তালিকার প্রথম ২০ জনকে বলা হতো, ওরা স্ট্যান্ড করেছে। তো তেমনই এক ফলাফল ঘোষণার দিনে আমার এক বন্ধুর বাড়ীতে থম থমে অবস্থা। চুলায় হাঁড়ি চড়ছে না। বেচারা নাকি কয়েক মার্ক্সের জন্য প্রথম হতে পারেনি। শুধু বাড়ির লোকই না, এলাকাবাসীও হতাশ। ওদিক
বইটার নাম খুব গালভারী। দ্যা শক ডক্টরিন: দ্যা রাইজ অভ দ্যা ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম। গুডরিডসে প্রায় সাড়ে বারো হাজার লোক গড়ে ৪.২২ রেটিং দিয়েছে। সেখানকার হিসেবে অনেক উঁচু রেটিং। আগ্রহী হয়ে পড়া শুরু করলাম।
সচল শাহেনশাহ সিমন সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি আছেন স্কয়ার হাসপাতালে। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছে তার পরিবার ও অফিস। তাদের পক্ষ থেকে কোনোরকম আর্থিক সাহায্যের আবেদন এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। তথাপি আর্থিক সাহায্য চেয়ে কিছু বিচ্ছিন্ন খবর প্রচারিত হয়েছে যা দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত। সিমনের এই সংকটকালে কোনো বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রকাশ বা প্রচার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ রইল। কোনোরকম আর্থিক সহ