"এখানে সামান্য প্লাস্টার খসে পরেছে,তেমন গুরুতর কিছু হয়নি।"
[ সাভার থানা নির্বাহী কর্মকর্তা; রানা প্লাজায় বিশাল ফাঁটল ধরা পরার পর দেখতে এসে]
"অন্যায় করে কেউ পার পাবে না,শাস্তি দেয়া হবে"
[স্থানিয় সাংসদ মুরাদ জং : ভবন মালিক সোহেল রানা কে ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাচার করে মিডিয়ার সামনে]
"ঐ মানুষ গুলো মুল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে গিয়ে ভবনচাপা পড়েছে।"
সাভারে “রানা প্লাজা” ধ্বসে পড়ে এ পর্যন্ত আড়াইশ’য়ের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আরো অসংখ্য লোক এখনো ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ভবন ধ্বসে পড়া বা এ জাতীয় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হয় নাগরিকদের উদ্ধার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কী করণীয় বা কী করণীয় ছিলো তা আলোচনা করাই এ লেখার উদ্দেশ্য।
সাভারের দূর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা এখন আড়াইশত ছাড়িয়ে গেছে, আহত দ্বিসহস্রাধিক। এক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাদা ছোঁড়াছুঁড়িকে ইগনোর করে আমাদের জনগনকেই এগিয়ে আসতে হবে। দেশে যারা আছেন তাদের সাহায্যের পাশাপাশি প্রবাসী বাঙ্গালীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার প্রয়োজন রয়েছে এক্ষেত্রে।
কিন্তু অনেকেই কনফিউজড কিভাবে, কার মাধ্যমে সাহায্য পাঠানো যাবে সে ব্যাপারে। প্রথম দিন সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা উদ্ধার কর্মীর টর্চলাইট পর্যন্ত চুরি হয়ে গিয়েছে যেখানে সেখানে এই বিষয়ে একটু সাবধাণতার প্রয়োজন রয়েছে। তবে সাবধাণতার মানে এই নয় যে সাহায্য করতে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে। একটু সর্তকভাবে ডোনেশন করলে সেই ডোনেশনের একটা অংশও যদি কাজে আসে সেটুকুও যথেষ্ট।
ফেরেশতা তুই, না পরী,
তা হয়নি কারো জানা,
ছোট্ট মানুষ, ক্যান এলি তুই?
কেউ করেনি মানা?
কীসের এত বল তাড়া তোর?
বল কীসে তোর ভাল?
মায়ের আধার সইল না আর?
চাইলি এতই আলো?
অন্ধকারের আড়াল ঘেষে
এই যে তোরা এলি-
ঘুমোয় মা তোর, কাঁদছে খালা,
বল না কী আর পেলি?
ভাবিস কেঁদে চোখ ভাসাবি,
মিলবে সবই তাতে?
ছোট্ট রে তুই, বুদ্ধি কোথা?
নেই কিছু তোর হাতে-
নেই বিছানা, নেই বালিশ আর
নেই মশারী, কাপড়,
সাভারে ধ্বসে পড়া ভবনের মালিক ছিলেন সোহেল রানা। ধ্বসে পড়া ভবনে যেদিন ফাটল দেখা দেয় সেদিনও তিনি টিভিতে দেয়া এক স্বাক্ষাতকারে বলেছেন ভবন ঠিকই আছে। ঘটনার দিনও ভাবনে থাকা গার্মেন্টসগুলোতে শ্রমিকদের আসতে তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে বাধ্য করেছেন বলে জানা যায়। ঘটনার পর আমরা জানতে পারি যে সোহেল রানা এই ভবনটি একজনের যায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন। এই কাজে তিনি ব্যবহার করেছেন তার রাজনৈতিক পরিচয়।পত্রিকা মারফত জা
সাভার ট্র্যাজিডিকে আল্লাহর গজব বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব । আমার প্রশ্ন হলো, স্রষ্টার অভিশম্পাত কি শুধু গরীব, অসহায়দের জন্যই বরাদ্দ ? এতো অন্যয় করার পরও ভবনটির মালিকতো ঠিকই রক্ষা পেলো । মৃত্যু বা পঙ্গুত্ব- কিছুতো তাকে ছুতে পারলোনা ।
কেউ যদি আমার কাছে জানতে চায় যে আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় সময়টা কি, তাহলে আমি বলব যে, আগে যখন আমার মা আমাকে রাতে ঘুমানোর সময় গল্প শোনাতো, সেই সময়টা আমার সবচেয়ে প্রিয়। আর সবচেয়ে খারাপ সময়টা হল যখন আছিয়া খালা আমাকে বাথরুম করিয়ে দেয়। আমার বয়স বার। আমাকে এই বয়সেও বাথরুম করিয়ে দিতে হয়, কারণ আমি হাঁটতে পারি না। এমনকি আমি একটু নড়তে পযর্ন্ত পারি না। একটা সড়ক দুঘর্টনায় আমার সারা শরীর অবশ হয়ে গেছে। ঐ দুঘর্টনা
কেতুব ও বদি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে- এখন তাদের কি করা উচিৎ তা ভেবে পায় না। বদি আলের পাড়ের শুকনা খড়ের মত উশখুস করতে থাকে – ভেজা এঁটেল কাদার মত নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে কেতুব বলে ওঠে – ‘ও তাতেন কি আর করবা-লও ছালখান ছাড়ায়া লই’, তাতেন কেতুবের দিকে হিংস্র চোখে তাকায় ভেজা ভেজা কন্ঠে বলে ওঠে ‘তুমি জাননা,ল্যাদা আমার ছাওয়াল এর লাহান?’ প্রত্যক্ষ অপমানে কেতুবের কালো চামড়ায় ভাঁজ পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বদ
ধর চিকা মার চিকা
চিকার দাম পাঁচসিকা
১.
ছোটবেলায় এই ছড়াটা খুব শুনতাম। নিজেও বলতাম। তখন বাড়ির আশেপাশে এখানে সেখানে প্রচুর ইঁদুর আর চিকা হতো। কৈশোরের উন্মাদনায় পিটিয়ে চিকা মারতাম আর এই ছড়াটি বলতাম, "ধর চিকা মার চিকা, চিকার দাম পাঁচসিকা"।
কিন্তু চিকার দাম পাঁচসিকা কেন? চিকা কি কেউ কেনে? চিকা ধরা বা চিকা মারার সঙ্গে পাঁচসিকার সম্পর্ক কী?
জানতাম না।
আজ সকালে খুব অদ্ভুতভাবেই ঘুম ভেঙ্গেছিল, টেক্সটের শব্দে। ঘুম ঘুম চোখে দেখলাম এক ক্লাসমেট বাংলাদেশের খবরটা বিবিসিতে দেখে উৎকণ্ঠা জানিয়েছে, জানতে চেয়েছে দেশে আমার পরিবার নিরাপদে আছে কিনা!