সুদীর্ঘ সময় ধরে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিয়ে বাংলা ব্লগমণ্ডল শত ফুল ফুটিয়েছে। বহু মত, বহু ভাবনা আমাদের অনলাইন জগতকে মুখর করে রেখেছে। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাব্লগ যে আন্দোলনের সূতিকাগার সেই, শাহবাগ আন্দোলনের সূত্র ধরেই বাংলা ব্লগ আক্রান্ত হয়েছে তার নেমেসিস, রুদ্ধচিন্তা ও মৌলবাদের নখরের নিচে। রাজনৈতিক প্রজ্ঞাহীন শক্তি, নির্লিপ্ত সামাজিক গোষ্ঠী, চিন্তারহিত বুদ্ধিজীবী, স্বার্থসন্ধানী মিডিয়া, সকলেরই চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের ভাবনার খেরোখাতা।
১
একজন মানুষের বাসায় যে তেত্রিশটা বানর থাকতে পারে সেটা নিজ চোখে না দেখলে আমি কখনো বিশ্বাস করতাম না। আবু ইউসুফ এর কাজ কর্ম সবসময়েই উল্টাপাল্টা। বিজ্ঞানী মানুষ অবশ্য একটু পাগলাটে না হলে মানায় না। এর আগে ইউসুফ যখন কোমল সাহিত্য মেশিন বানিয়েছিল, তখন ওটার ডেমো দেখানোর জন্য আমাকে ডেকেছিল। বলে, তুই তো ব্লগে নানা উল্টা পাল্টা কথা লিখিস, তোর কিছু লেখা দে, আমার মেশিনে ঢুকিয়ে দেখি কেমন কাজ করে। আমি ওকে ভালোবেসে মুড়ি খা বলে চলে এসেছিলাম। পরে ওর মেশিন এর দুর্গতির কাহিনী শুনে সমবেদনা জানাতে বাসায় গিয়ে দেখি এই কাণ্ড। এক রুমের ভিতর নানা আকারের নানা জাতের তেত্রিশটা বানর পুরে রেখেছে। ঘটনা প্রথমে চেপে যাবার চেষ্টা করলেও পরে অনেক পীড়াপীড়ির পর ব্যাটা মুখ খুলল। কথা শুনে আক্কেল গুড়ুম। সে তার বানরের পালকে কবিতা লেখা শিখাতে চায়। বলে, বিজ্ঞানী সফদর আলী যদি গিনিপিগ ট্রেনিং দিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করাতে পারে তবে আমি কেন বানর দিয়ে কবিতা লিখাতে পারব না? সফদর আলী যে একটা গল্পের চরিত্র এটা কিছুক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা করে আমি হাল ছেড়ে দিলাম। এরপরে বানর দিয়ে কবিতা লেখানর কি দরকারটা কি সেটা বুঝার চেষ্টা করে নৌকাই ছেড়ে দিলাম।
সোনায় মোড়ানো ছাত্রলীগের যদি হইতা
দিনেদুপূরে চাপাতি দিয়া তামাম বিশ্বজিতরে টুকরা টুকরা কইরাও
প্রাইমিনিস্টারের হাত থিকা নিতা পারতা শ্রেষ্ঠ সাঁতারুর পুরস্কার;
যদি হইতা ছাত্রদলের কেউ, কাদের মোল্লারে সত্যায়ন দিয়া জিব্রাইলের ডানায়,
লাশের অপেক্ষায় ককটেল ফুটাইতে ফুটাইতে তুমি
পথে প্রান্তরে উড়াইয়া দিতা ম্যাডামের গোলাপী হরতাল
আর খোয়াবে দেখতা হাওয়া ভবনের ম্যাজিক রিয়ালিজম;
আমানুল হক আলোকচিত্রী ছিলেন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, সত্যজিৎ রায়, চিরায়ত বাংলা.. অমূল্য সে সংগ্রহ
যারা বিচিত্রার ঈদ সংখ্যার প্রচ্ছদের সাথে পরিচিত ছিলেন, তাদের জন্য হয়তো চিনে ফেলাটা একটু সহজ..
কিছুক্ষন আগে তিনি মারা গেছেন (রাত সোয়া নয়টা বাংলাদেশ সময়)
সচলায়তনের কিছু মানুষ তাকে নানাভাবে চিনতেন বলে এখানে পোস্ট দিলাম..
গণজাগরণ মঞ্চ কার্যক্রম শুরু হবার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলে গেছে। ঘটনাক্রমে প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মকার্ড খেলা শুরু করেছে। রাজনীতির মঞ্চে নতুন উদয় হওয়া বিএনপি জামাত সমর্থিত হেফাজতে ইসলাম এই মুহুর্তে রাজনীতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা দখল করতে পেরেছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটের বলি হচ্ছে ব্লগাররা ও ব্লগের মতো স্বাধীন মতপ্রকাশের মাধ্যম। ব্লগার ও অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের প্রতিনিধি হয়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চও তার প্রত্যাশা ও সম্ভাবনা অনুযায়ী বিকশিত হতে পারছে না।
[justify]গণজাগরণ মঞ্চ কোনদিন এক মুহূর্তের জন্যও কোন ধর্মেরই ধর্মীয় কোন বিষয় নিয়ে কোন বক্তব্য দেয় নাই। দিবেই বা কেন?
নিউ কামাল অ্যান্ড ব্রাদার্স
----------------------------
আনু-আল হক
--------------
বাংলা ব্লগের ইতিহাস ২০০৬ থেকে। শুরু থেকেই সেখানে ছাগুরা মুখ দিয়ে, ল্যাদায়ে, বেসবল ব্যাটের ও জাহান্নামের অনন্ত আগুনের ভয় দেখায়ে এটাকে নিজের টার্ফ বানাতে বহু চেষ্টা করছে। ইতিহাস সাক্ষী, রাতের পর রাত জেগে আম ব্লগাররা পেইড ব্লগারদের সেই ল্যাদানি ছাগুদেরকেই গিলাইছে, অনলাইন ময়দান ছাগুময়দান হতে পারেনাই। এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেক প্ল্যাটফর্ম হইছে, ছাগুদের ও একটা বানানো হইছে; কারন ততোদিনে তারা জানে ব্লগ ক