আমাদের দেশে আমরা কিভাবে কিভাবে যেন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যে বা মনের ব্যাকুলতা প্রকাশ করার জন্যে কিছু নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদকাল ঠিক করে ফেলেছি। সর্বজনবিদিত গ্রহণযোগ্য সময়সীমার আগে পিছে হয়ে মেয়াদত্তীর্ন হয়ে গেলেই আমাদের ভ্রূ কুঁচকে যায় আর মনে মনে ভাবতে থাকি- এই সময়ে এটা একটু কি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল নয় কি?
পহেলা এপ্রিল, ২০১৩: ভুলে-ভরা ফুল! ভুলে ধরা প্রজাপতি ভুল ছড়া শিখিয়েছে,
ভুল সংকল্পে শিখে ফেলা ব্যাকরণ, সমাস -- মানুষ পণ্যের প্রতিরূপ হয়ে গেছে,
বিক্রি হয়েছে সদা সবাই; শেকড়ে জ্বালানী পুড়াই প্রশাখা’তে জমে যায় দাহ,
শাঁখা সব বৈরাগ্য জেনেছে, পাতায় পাতায় উনুনে’র সনাতন জ্বলুনি প্রত্যহ;
প্রতিটি আলোর শীর্ষ ধরে রাখে বনানী’র উচ্চতর যে বৃক্ষ তার নাম থাকে কি কোন?
শহীদ রুমী স্কোয়াডে অনশন শুরু হওয়ার পরে মানুষজনের শাহবাগ যাওয়ার ইচ্ছা খুব বেশি দেখিনি । আমার এক বন্ধুর (নাম বলতে চাচ্ছি না) সাথে এগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করি অফিস থেকে ফেরার পরে ।
আমার মা । আমার জীবনের প্রথম আলো । মায়ের হাত ধরেই রবীন্দ্রনাথ এসেছেন আমার জীবনে । শৈশবের “বীরপুরুষ” কবিতার শিশু রবীন্দ্রনাথ ক্রমশঃ বড় হয়েছেন আমার জীবনে । এক সময়ে আমি জেনেছি, মেঘে ঢেকে যাওয়া বিধুর গোধূলি গগনের গান ছাড়িয়ে আমার মা রবীন্দ্রনাথের জীবন দর্শনকে ভালবেসেছিলেন । যে রবীন্দ্রনাথ একলা বাহির হ’ন পরমেশ্বরের অভিসারে ও লজ্জিত হ’ন নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিধ্বংসী আত্মগৌরবের, তিনিই লিখেন “অচলায়তন” ।
১
শুকরিয়া আদায় করিয়া এই লেখাটা শুরু করিলাম, কারণ এই দেশে 'আপত্তিকর' কোন কিছু আর মানিয়া নেওয়া হইবেনা। যদিও আপত্তিকর এর সংজ্ঞা এখনও জানা নাই। সরকার মহোদয় ফরমাইয়েছেন যে - 'আপত্তিকর' কোন কিছু দেখলেই ঠুশ করে নালিশ ঠুকে দেওয়া যাবে। নালিশ ঠুকার ঠিকানা, complainmoha@gmail.com । এই তড়িৎ ডাক(ইমেইল) ঠিকানাখানা লেখা আকারে(প্লে
শাহবাগ আন্দোলনের একেবারের শুরুর দিকের কথা। কুখ্যাত রাজাকার কসাই কাদের ওরফে কাদের মোল্লার প্রত্যাশিত ফাঁসির রায় না পাওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশ তখন জ্বলে উঠেছে। সেই আগুনের সবচেয়ে বড় শিখাটি জ্বলজ্বল করে জ্বলছে শাহবাগে। শিখার আগুন শুধু শাহবাগে স্থির থাকে না, আমরা জানি সেই আগুন বাংলার প্রতিটি মানুষের বুকে, সেই আগুন বাংলার প্রতিটি অলিতে গলিতে। আমরা যেইসব দুর্ভাগা স্বার্থপর, যারা সবকিছু ছেড়েছুড়ে দেশের ব
সারারাত উৎকণ্ঠা, ঘুম হয়নি একটুও। না, হয়েছে বোধহয় সামান্য; ভোরের দিকে। উচাটন মনও কখনও কখনও হার মানে ক্লান্ত শরীরের কাছে। আধো তন্দ্রায় ফজরের আযান শুনেছি। এরপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম অল্প কিছুক্ষনের জন্যে। কি যেন আবোল তাবোল স্বপ্ন দেখলাম, মনে করতে পারছি না। এখন ক’টা বাজে, সাতটা?