যন্ত্রপাখিটার পেটের ভেতরে একবার ঢুকেছ কি আর কারও কথা শুনতে পাবে না। সারাক্ষণ এমনই একঘেঁয়ে চিৎকার করে যাবে যে সে মাথা ধরে যাবে তোমার। কানে আমি তাই হেডফোন গুঁজে রাখি। আন্ধি ফিল্মটার গান শুনি। মাঝে মাঝে নীচে তাকাই। নজরে আসে আদিগন্ত বিস্তৃত বন। ঘন অরণ্যের মাথাটা সূর্য্যস্নান সেরে নিচ্ছে এবেলা। তারাও জানে ওবেলা নেমে আসবে বাদল। কয়েকটা গাছ জ্বালিয়ে দেবে ক্রুর বাজগুলো। এই বৃষ্টি-অরণ্যের নীচটা কেমন এত উঁচু
একাত্তরে দেশী/বিদেশী ইংরেজী পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত রিপোর্টগুলো আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়।
'বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র' একাত্তরে দেশী/বিদেশী ইংরেজী পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত রিপোর্টগুলো বাংলায় অনুবাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই অনুবাদগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে অনলাইনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
[justify]সমাজের মূল স্রোতের বাইরে একদম প্রান্তিক অবস্থানে কিছু মানুষ, দল কিংবা সম্প্রদায় থাকে যাদের অস্তিত্ব টের পাওয়ার বেলায় আমাদের ভেতর একটা অস্বস্তি কাজ করে। একজন উন্নয়ন কর্মী হিসেবে সমাজ যাদেরকে অস্পৃশ্য হিসেবে দূরে সরিয়ে রাখে তেমন মানুষদের কাজ করার সুযোগ ঘটেছে আমার; এই সুযোগ ঘটার কারণেই আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে একটা পরিবর্তন এসেছে এটা আমি নিজেই টের পাই। বাংলাদেশে সাধারণভাবে একজন মানুষের এমনকি
[প্রাক-কথনঃ
বই নিয়ে কথাবার্তা বলার মত আনন্দময় কাজ দুনিয়াতে কম। ফেসবুকে একটা গ্রুপ আছে- বইপড়ুয়া। এ গ্রুপে যাঁরা আসেন তাঁদের একটা ব্যাপার একরকম- সবাই বই পড়েন। শুধু পড়েন না, বই নিয়ে আলোচনা হয়- মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য। চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা।
বইপড়ুয়া'য় গিয়ে চুপচাপ থাকাটা মুশকিল। বই নিয়ে আলাপ করা হয়েই যায়।
মাঝে মাঝে বই পড়ে সেটা নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা করে। 'রিভিউ' বলাটা ঠিক হবে না এগুলোকে, তবে বই-তাড়িত কথা তো অবশ্যই।
এ ধরণের লেখাগুলোর সবচেয়ে ভাল লাগা অংশ হল পাঠকের মতামত, একই বই নিয়ে কত কত কথা পড়ুয়াদের। অদ্ভুত আনন্দের একটা ব্যাপার!
এবারের কথাগুলো তারেক নূরুল হাসান-এর 'কাঠের সেনাপতি' নিয়ে। বইপড়ুয়ায় করা পোস্টটারই খানিকটা পরিমার্জিত রূপ এটা, বলে রাখা উচিত!]
আমার পত্রিকা পড়া শুরু হয় খেলার পাতা দিয়ে। এখন পর্যন্ত কোন পত্রিকা হাতে পেলেই খেলার পাতা উল্টাই। ক্রীড়ালেখকরা তাই অবশ্যই প্রিয় লেখকদের কাতারে থাকেন।
অশ্রু শিশির রাতে শেফালীর
কমলা রঙের স্নিগ্ধ বোঁটা
ধোঁয়ার অন্ধকার মানবিক ভুলগুলো
ঝরে পড়ে টুপটাপ--ক্ষমার আদলে
সন্ধ্যা কি ফিরে গেছে, ফিরে গেছে, ফিরে গেছে এসে?
একটি জোনাকি যদি ফুল বলে ভুল হয়
একটি আলোকবিন্দু-থাকবে তো
থাকবে তো, ফেলে আসা পথ- দুঃখ
যতখানি মনে হয়, অমসৃন হয়তো
ততখানি নয়- কতিপয় সমর্পণ
ততখানি জীবিতের বাসনার হুঁ হুঁ
দীর্ঘশ্বাস! ঢেকেছে সময়!
তোমার বাদামী চোখ, কিউপিড
কিছু কিছু দিন আসে যার পুরোটাই খারাপ। এমন দিনের শুরু হয় ঘড়ির অ্যালার্ম ঠিকমতো না বেজে। এরপরে তাড়াহুড়ো করে শেভ করতে গিয়ে গাল কেটে যায়। গাড়ীতে উঠে দেখা যায় তেলের কাটা শূন্যের কাছে। স্টারবাকস এ কফি নিতে গিয়ে দেখা যায় রুম ফর ক্রিম বলার পরেও ব্যাটারা টইটুম্বুর করে কফি ভরে দিয়েছে। পেছনের গাড়ীটা অযথাই হর্ন দিয়ে মেজাজ খারাপ করে দেয়। কিউবে যাবার পথে বসের সাথে দেখা হয়ে যায়, আড়চোখে একবার ঘড়ি
লামেহা অব্যয়বোঝাই ঝোলাটা কাঁধে তুলে নিয়ে রওনা দেয় সবুজ-জমি বালি-জমি পাথর-জমি পার হয়ে নীল পর্বতের দিকে। সে চলে, চলে আর চলে। ভোরবেলার কোমল টুকটুকে সূর্য ঝকঝকে রাগী হয়ে আকাশের কত উপরে উঠে গেছে, লামেহার চলা থামে না তখনো। অব্যয়গুলো তার ঝোলায় কোলাহল করে। আঁ আঁ আহ আহ ঈশ কিংবা সুতরাং এবং ইত্যাদিরা নানারকম সুরে গান ও কথা চালাতে থাকে। ঠিক দুপুরবেলায় ক্লান্ত লামেহা ঝোলা নামিয়ে শুয়ে পড়ে পান্থপাদপের ছায়ায়।