আলো আর ছায়ার খেলা অদ্ভুত একটা নকশা তৈরী করছে, সারাদিনের কাজের শেষের ক্লান্তি নিয়ে চেয়ে চেয়ে দেখছি সেই খেলা। কেন যেন মনে হয় আলোছায়ার ঐ অদ্ভুত রহস্যময় নকশা আমাকে কিছু বলতে চায়। কী বলতে চায়?
নাই বুঝি টু করার শক্তি? হাত পা বুঝি বাঁধা?
মানব বুঝি যা বলো তাই? ভাবছ বুঝি গাধা?
মাটিতে পা পড়ছে না তো, উড়ছ আকাশটাতে?
মনে রেখ ঘুড্ডি তুমি, লাটাই আমার হাতে।
উচ্চ থেকে লাগছে আমায় পিপীলিকার মতো?
জান না কি সদলবলে শক্তি তাদের কতো?
ঘোলটা দেবে আমায় খেতে সরটা তুমি খেয়ে!
ভাবছ বুঝি দেখব কেবল এসব চেয়ে চেয়ে?
কেউ আমাকে মারবে ছুরি মাঝ বরাবর বুকে
আমি কেবল পড়ে পড়ে মরব ধুঁকে ধুঁকে?
এমন উত্তাল মহালগ্নে দেশে ১৮ দিনের সফরে কি দেখলাম, তা নিয়ে কিছু লিখবো ভাবছিলাম; তার চেয়ে দেশ থেকে ফিরে এখানে যা দেখলাম সে প্রসঙ্গটিই আগে টানি। ফিনল্যান্ডে বসবাসরত বাঙ্গালীর সঠিক সংখ্যা আমার জানা নেই। বড়জোর ৪ হাজার হবে। তার মাঝে অনেকেই রাজধানী হেলসিঙ্কি থেকে অনেক দূর দুরান্তে অধ্যয়ন কিংবা চাকুরীর নিমিত্তে বসবাস করে। রাজধানীতে প্রবাসী বাংলাদেশের বাঙ্গালীর সংখ্যা খুব সম্ভবত হাজার দুয়েক। তাতে কি! এই হাতে গোনা দু’হাজারই বহু ভাগে বিভক্ত- আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন সমিতি, কয়েকটি ছাত্র সংগঠন; আর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতন জামাত ইসলাম। অতি দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক হলেও সত্য যে অন্যান্য ফোঁড়ার মাঝে এই বিষফোঁড়ার স্থুলতাই সর্ববৃহৎ; তার কারণ বহু অনুসন্ধানে যা পেয়েছি তা পরে কখনও ব্যাক্ত করবো। আজকের এই লেখাটির উদ্দেশ্য ভিন্ন। যখন দেশ জুড়ে জামাত-শিবিরের তাণ্ডব চলছে, যখন ধর্মকে ঢাল বানিয়ে খুনি-ধর্ষকদের বাঁচাতে তারা এবং তাদের দোসর বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছে; তখন এখানকার জামাত সমর্থকেরা ঘরে বসে চুপচাপ লাঠি লজেন্স চুষবে তেমনটা ভাবা অন্যায্য।
শ্রীমঙ্গল এবং সিলেটে থাকার এবং যাতায়াতের বেশ সুব্যবস্থা ছিল। সবকিছু আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। আমরা শুধু গিয়েছি, থেকেছি আর ঘুরেছি। সেদিক থেকে সুনামগঞ্জ আমাদের ঘোরাঘুরিটা বেশ অ্যাডভেঞ্চারাস হবে বলে ধরে নিয়েছিলাম। ওখানে আগে থেকে কিছুই ঠিক করা ছিল না। কথা ছিল আমরা গিয়ে একটা হোটেলে উঠবো এবং যেভাবে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় সেভাবেই যাবো। বান্ধবী সুচেতার বাবা-মা কিছুদিনই আগেই হাওড় থেক
এক.
আবার অনেক দিন পর। ফাঁকিবাজির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
আমি দিনের চেয়ে রাতে ছবি তুলতে পছন্দ করি বেশি, রাতের আলো টালো নিয়ে অনেক সময় অনেক মজার মজার প্যাটার্ন তৈরি করা যায়, রং ঝলমলে সাইন, ডিসপ্লে এগুলার ছবি তুলতেও আমি বেশ মজা পাই। তবে আজকের প্রধান বিষয় হল আতশবাজি বা ফায়ারওয়ার্কস। প্রথমে ছবি গুলো দেখে ফেলি,
কাতার জাতীয় দিবসের আতশবাজি, ২০১০ (প্রথম চেষ্টা )
আমাদের খাওয়ার টেবিলের চারটা পায়ের কোনটা যেন অসমান, খেতে বসলে কর্তা গিন্নির বাটি ঠেলাঠেলিতে বড় আপদ হয়। ধনেপাতার চাটনি ছলকে থাই সুপের মধ্যে পড়ে, ফ্রাই করা দুর্ভাগা আস্ত চিকেন দম্ভ নিয়ে সিংহাসনে বসতেই পারে না। খালেদা-হাসিনার স্নায়ুচাপের মত ঝলসানো পোড়া মুরগি তার পোড়া আলুর গদি নিয়ে খুব ভয়ে থাকে- এই বুঝি মাটিতে happy landing হলো!