দুটি যুগের সন্ধিক্ষণে আমার বেড়ে ওঠা। দুটি যুগ বলি কেন, দুটি শতাব্দীরও। বিংশ শতাব্দীর কঠিন পৃথিবী পার করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জের দ্বারপ্রান্তে তখন আমাদের বিশ্ব, আমাদের দেশ। চোখের সামনে আমূলে বদলে যেতে দেখেছি আমাদের শত শত বছরের ঐতিহ্যকে। জীবনের প্রথম ছয়টা বছর বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাতায়াতের দুটি মাত্র বাহন ছিল। গরুর আর ঘোড়ার গাড়ি। আর আজ, পৃথিবী কোথায় দাঁড়িয়ে!
পাথরে কি ভাগ্য ফেরে ? জীবনে সুখ আনে ? মুড ভাল করে দেয় ? অনেকেরই পাথরে অবিশ্বাস ।আমি বিশ্বাস করি পাথরে । একটি পাথর আমার জীবনে সুখ এনে দিয়েছে ।
ফিরছিলাম সন্ধ্যা-রাতের ট্রেনে । জানালার পাশে বসা । জীবনে যতকিছু না পাওয়া সে সবের হিসাব কষছিলাম মনে মনে । যতই না পাওয়ার গভীরে যাই বিষন্নতায় মনটা যেন নিজেই পাথর হয়ে উঠে ।
বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যামেরাটা বেকার ঘরে পড়ে ছিলো । না না কারনেই আর বের হওয়া হচ্ছিলো না । ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম, আমার দলে এমন আমি একাই না.... অনেক ভাই বেরাদারও আছে । কি আর করা..... সুদীপ্ত দা'র কাছে আর্জি পেশ করলাম, একটা ফটোওয়াকের কল করেন । দাদাও রাজি হয়ে গেলেন..... বলেই দিলেন গ্রুপের পক্ষ থেকে একটা ফটোওয়াকের ব্যবস্থা করাই যেতে পারে ।
আলিনগর আর কালীনগর পাশাপাশি। আলিনগরে দশজনে আটজনই হোসেন। সবাই হোসেন এইটা বলা অবশ্য ঠিক হল না, কেউ হোসেন কেউ হুসাইন কেউ হুসেন। নানান তরিকার বানান। যে যার পদবী মেনে চলে, পদবী খুব ভারি জিনিস আলিনগরে। হোসেন ছাড়া সেখানে আছে কিছু আহমেদ, আর গুটিকয় খান কিংবা রহমান। ও না থাকার মতই। আলিনগরে হোসেনই জাতীয় পদবী।
ভুলপথে বিস্তর হেঁটে যেতে পারি,
ভুল ঠিকানাও হতে পারে ঘরবাড়ি,
ভুল করে ভুল হাতে দিতে পারি ফুল,
ভুল হাত ভালবেসে ভুলের মাশুল।
ভুল খামে এঁটে দিয়ে ভুলভাল চিঠি -
ঠিকানাও ভুল সেঁটে ভুল বাসে উঠি।
নদ-নদী কী বুঝে যে ভুল পথে ছোটে,
পাড়ি দিয়ে মহাদেশ, লোনাজল জোটে!
মগজে বিষাক্ত সংস্কার,
চেতনায় বিশ্বাসের বিষ,
কিছু অভ্যাস, প্রাত্যহিক অহংকার,
ঘটনাটা ঘটে ১৯৬২ সালে তানজানিয়ায় । শুরুটা একেবারেই নির্দোষ এক কৌতুক দিয়ে । ছাত্রী হোষ্টেলে এক ছাত্রী তার রুমমেটকে এক কৌতুক শোনায় । Jokes এর শুরু, পাত্রপাত্রী, পরিবেশনা যাই হোক- punch লাইনে গিয়ে হাসির একটা ব্যাপার থাকবে সেটাই স্বাভাবিক । কিন্ত এ কৌতুক জন্ম দিল অন্য আরেক কৌতুকের । যে শ্রোতা সেতো হাসলোই, অদ্ভূত ভাবে লক্ষ্য করা গেল দূরের একজন যে কিছু শোনেনি সেও বেঘোরে হাসতে লাগলো । এ দেখে হাসি শুর
…
(১)
ইদানিং মজার একটি বিষয় নিয়ে খুব শোরগোল শুরু হয়েছে দেশের সবক’টি পর্যায় থেকে। বিষয়টি আর কিছু নয়, নাস্তিক্যবাদ। তবে যারা এটিকে নিজেদের মতো করে উদ্দেশ্যমূলক নাড়াচাড়া করছেন, তা যে খুব খারাপ অর্থেই বা লক্ষ্য নিয়ে করছেন এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁদের বক্তব্য-বিবৃতি শুনে মনে হয়, কোন সংক্রামক ব্যাধির মতোই নাস্তিক্যবাদ নামের অতি জঘন্য একটি জিনিসের দ্রুত প্রাদুর্ভাব ঘটে এই দেশ এই জাতি বুঝি রসাতলে ডেবে যাচ্ছে। সত্যি কি তাই ?
অনেক দিন আগের কথা। আমি তখন ক্লাস এইটে। একদিন দেখি আমার এক চাচা ও তার বন্ধু 'লাল-সালু' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদের সংলাপগুলো আওরাচ্ছে আর হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আমার ঐ চাচা তখন ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী ছিল। আমার মনে আছে, আমার ঐ চাচা যখন বিএ (ডিগ্রি)র শিক্ষার্থী ছিল, তখন এমনি করেই একদিন সৈয়দ আবুল মনসুর আহমেদের 'হুযুর কেবলা' নিয়ে দারুণভাবে আমোদিত হয়েছিল। কিন্তু আমার সেই চাচা এখন আর মজিদ ব
গ্রীক পুরাণ পড়তে গিয়ে একটা ব্যাপারে শান্তি পেয়েছি এই জেনে যে, শুধু আমরা বাংলাদেশীরাই ইতিহাসের ব্যাপারে গিট্টু লাগাতে ওস্তাদ নই। এই ব্যাপারে আরো বহু ওস্তাদ আছেন। সেই গ্রীক আমলেরই এমন এক ওস্তাদোকা ওস্তাদ হলেন ওভিড। ওভিড গ্রীক পুরাণ রচয়িতাদের মধ্যে সেরাদের কাতারেই পরেন কিন্তু তার কিছু কাহিনী অন্যদের কাহিনীর বিপরীত দাবী জানায়। এই ওভিড একাই মজার এক কাহিনী বর্ণনা করলেন যেখানে পার্সিয়াস সেরিফাসে ফেরার পথ