আমাদের দেশে কি আর কোনওদিন বিপ্লব হতে পারে? যে জাতির একটা স্লোগান থাকে না, তারা কি কোনওদিন বিপ্লব করতে পারে? আমাদের আজকে কোন একক স্লোগান নাই। “রাজাকারের ফাঁসি চাই” এই স্লোগানের নিচেও আমরা বিভক্ত। এই স্লোগানটাও আমাদের জাতীয় স্লোগান হতে পারল না। ‘জয়বাংলা’র পরিণতি বরণ করতে হল একেও। আমার মনে হয়, ৭১ পর্যন্ত যা হবার হয়ে গেছে, এই বাংলাদেশে আর কোনওদিন কোনও বিপ্লব হওয়া সম্ভব নয়। হবেও না।
হঠাৎ ঝড়ে জাহাজ ভোলে দিক
আকাশ মোছে তারার হাতের ছাপ
সাগর ফোঁসে গোখরো সাপের ছাও
ঢেউয়ের মেয়ে খলখলিয়ে হাসে
নাবিক তুমি একলা কোথায় যাও?
সন্ধ্যা আসে আশ্চর্য লাল আর কমলা মেঘের ডানা মেলে, কিন্তু সে রঙ থাকে না, সব রঙ হারিয়ে ধূসর হয়ে যায় মেঘডানা। কী যেন একটা কথা আমার শোনার ছিল কার কাছে? কিছুতেই মনে পড়ে না তার মুখ, তার চোখ, তার নাম। সেই বা কেন বলে নি সেই কথাটা? এমনই এক সন্ধ্যেবেলা ছিল কি সেটা? বলি-বলি করেও যখন সে না বলে চলে গেল?
“মা, কি লিখব বাবাকে?” চার বছরের কনর প্রশ্ন করে আমায়। জবাব দিলাম লিখে দাও “বাবা তোমাকে ভালবাসি”। ওইটুকু ছেলে আমার, সবে লিখতে শিখেছে। কতটা আনন্দেই না লিখে ফেলল বাবাকে লিখা তার প্রথম চিঠি। পরদিন পাঠিয়ে দিলাম ডাকে। কনরের সেই চিঠি তাঁর বাবার হাতে পৌছুলো লন্ডনে, ওর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কিছুদিন পড়ে। এরিকই খুলল সেই খামে ভরা চিঠি। কিছু মুহূর্ত পেরুলো নিঃশব্দে, যা কোনদিন ভুলবার নয়।
কলেজ থেকে ফেরার পথে মাঝেমধ্যে সার্সেন রোডের পথ দিয়ে ফিরতাম। শহরের সবচে সবুজ-শান্ত রাস্তার একটা ছিল এই পথটা। এই রাস্তায় চলার সময় চোখে পড়ত এক বাসার গেটের সামনের এক নামফলক, প্রফেসর ডঃ জামাল নজরুল ইসলামের নাম লেখা তাতে। আমাদের হাইস্কুলেরই ছাত্র ছিলেন তিনি, সেই সুবাদে স্যারদের মুখে উনার নাম শুনেছিলাম আগেই, জানতাম খুব উঁচুমাপের বিজ্ঞানী ছিলেন। নিভৃতে, অনেকটা আড়ালে থেকে বিজ্ঞানসাধনা করতেই বেশি ভালোবাসতেন
পত্রিকার পাতায়, ফেসবুকের দেয়ালে কিংবা মানুষের মনে এখন ভিটামিন এ ব্যাপারটি নিয়ে দারুন কৌতুহল। এই সংঘাতময় রাজনীতির দিনে সবথেকে বেশী খারাপ লাগে যখন দেখি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন ব্যাপারে মানুষ দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। কারো কাছে মনে হচ্ছে সরকার যা করছে তা চরমভাবে অগ্রহণযোগ্য কোন কাজ আবার একদল মনে করছে যা হচ্ছে সবই জামাতী-ছাগু কিংবা বিএনপি-র অপপ্রচার। ভিটামিন এ এর ক্ষেত্রেও তাই হল। ফেসবুকে দুইদল ভাগ হ
ব্লগ কী জিনিষ চিনিস ব্যাটা? ব্লগে কী হয় জানিস?
গাধার মত বললে কথা সবাই হাসে মানিস?
ব্লগার কারা? কাজ কী তাদের? বিন্দুমাত্র তোদের
নেই ধারণা; অজ্ঞ থেকেই পথ আগলাস ওদের!
ব্লগে সবাই লিখতে পারে নেই কোন তার বাধা
হোক সে মানুষ কিম্বা ছাগু কিম্বা গরু-গাধা।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার এক মাধ্যম এটা
ব্লগার মানেই নাস্তিক নয় শোন মুর্খের ব্যাটা।
যার যার মত প্রকাশ করে ব্লগে যে যার মত
স্বার্থের সমান পৃথিবীতে আর কিছু আছে?
বন্ধুর সংজ্ঞাতো সকলেই জানি
ঘুড়ির আকাশ কখনো অসীম নয়
বারবার বলা কথা তবুও বক্তব্য পাল্টায়
আড়ালে আবডালে
প্রাণ খুলে যে-কথা কোকিল বলে গেলো
কতজন কাক তার গূঢ়ার্থ বোঝে?
সৌজন্যবোধের শেকলে বাঁধা পড়ে থাকে ভদ্রসাধুজন
বাক্য-প্যাঁচ পিছলে বেরোয় বন্ধু-উকিলেরা
তোমার গলায় জড়ানো কী দারুণ ফাঁস!
তুমি বোঝো ব্যথা - দিকহারা সমস্ত কম্পাস।
কখন জানি জানালার পাশে বসে
কবিতার বই হাতে বিকেলের গন্ধমাতাল।
বুক ভরে বেখেয়ালি বাতাসের ঝড়,
আর চিবুকে তোমার কিছু এলোমেলো চুলের আলপনা।
বাহিরে বৃষ্টি, ভেজা পাতায় ভেজা পাখির ঘর;
উষ্ণ নিঃশ্বাসে ঝাপসা জানালার কাঁচ, অথবা ঝাপসা চোখ
অস্পষ্ট ধোঁয়াটে আকাশের টুকরো,
ঘরের বাহিরে আর এক ঘর। আর এদিকে-
আমরা, যুবক ও যুবতী, ছুয়ে দেবার সংকোচে বিলীন।
অনন্তকালের মুঠোয় কয়েকটি ভেজা মুহূর্ত!