মার্চ ১৯৭১; আব্বা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ছাত্র। থাকতেন শহীদুল্লাহ হলে। জায়গাটা আমাদের মেডিকেল এলাকার প্রতিবেশী। কার্জনে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গেলে বা রিকশায় আসা যাওয়ার পথে শহীদুল্লাহ হলটি দেখে কেমন যেন আপন মনে হতো। কারন একাত্তুরে এই হলটিতে ঘটে যাওয়া ঘটনার গল্প আমি শুনে এসেছি সেই ছোট বেলা থেকে।
আর কত চাস
মানুষের লাশ
লাল রক্তের ঢেউ?
আর কত চাস
করে হাঁসফাঁস
মৃতবৎ থাক কেউ?
[justify]
বন্ধ দরজা খুলে শেখ মুজিবুর রহমান বেরিয়ে এলেন। দেরী হয়ে গেছে। বেলা আড়াইটায় রেসকোর্সের সভা আরম্ভ হবে কথা ছিলো। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের নানা আলোচনায় এই ৩২ নম্বরেই আড়াইটা বেজে গেলো।
হোয়াইট হাউস পিটিসনটিকে স্প্যাম ভেবে, আমি কয়েকজনকে এটা করতে নিষেধ করেছিলাম।
যদি ও আমি ব্যাক্তিগতভাবে আমি এটাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না কিন্তু আমি দু:খিত আমার ভুল হয়েছিলো।
তাছাড়া ছাগুরা ও নাকি একটি পিটিশন করেছে। আমাদের পিটিশনে ছাগুদের চেয়ে কম ভোট পড়া আমাদের জন্য কিছুটা হলেও লজ্জার।
বহু প্রতীক্ষার পর স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি সেই বিচার প্রক্রিয়ার ফলও একে একে আসতে শুরু করেছে। এই সময়ে গণজাগরণ মঞ্চ তথা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে পরিচিত জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার দাবি বাংলাদেশের আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে উঠেছে এবং ওসবের ফলশ্রুতিতে সেসব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধও হয়েছে। এই লেখাটি মূলত সেসব অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করার প্রাথমিক রূপরেখার প্রস্তাবনা।
১) দেউল্লা রাজাকার ও এক জল্লাদ
বাংলাদেশ আক্রান্ত।
দেশ মানে শুধু ক্ষেত নয়, পথ নয়, বাড়ি নয়, উপাসনালয় নয়, দেশ মানে মানুষও। সবকিছুর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ আজ আক্রান্ত।
[justify]''আলি, কুলি, বঙালি
পেটমোটা মারোয়ারি
নাক চ্যাপ্টা নেপালি
কার পরে আহিলি
হুন কালে ঘুচে যা
না হলে মরিবি।''
কথা ছিলো যাবো - যাইনি সেখানে
উড়ালের স্বপ্নে বিভোর বিস্তর ডানা
গুটিয়ে নিয়েছি দেহের ভেতর
পাখা ঝাপটানোর আকাশ থেকে
দিনান্তের অবশেষে...
তবুও তো পালকেরা উড়ে চলে
সূর্যের রশ্মি ঠোঁটে বয়ে
ঢলে পড়া কোন দিগন্তের খোঁজে
মেঘ..মেঘান্তরে..
স্বপ্ন-সে অদ্ভূত অক্লান্ত অসীম এক পাখি পৃথিবীর
নতুন চরের খোঁজে তবুও সে বসে থাকে
আকাশের কিনারে প্রতিদিন -
নতুন ভোরের খোঁজে, প্রতিরাতে, অন্ধকারে
[justify]
সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফর করছেন। তার সফরে আবারো উঠে এসেছে তিস্তা চুক্তির প্রসংগ। শুধু তিস্তা নয়, গঙ্গা, বারাক, ব্রহ্মপুত্র, সারি, ফেনী সহ সব অভিন্ন নদ-নদীর ক্ষেত্রে উজানের দেশের যেকোন উন্নয়ন অবকাঠামোর পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রয়শঃই এই গবেষণায় মূল প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে উপাত্ত। এমনকি আলোচিত টিপাইমুখ প্রকল্প বা ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে যেয়ে একমাত্র উপাত্তের অভাবেই তা বিসর্জন দিতে হয়েছে। অথচ আমাদের যুক্ত নদী কমিশন বাংলাদেশ ভারত অভিন্ন নদীগুলোর উপাত্তের একটি ভান্ডার হতে পারে। কিন্তু উপাত্ত যুক্ত নদী কমিশনের কাছে থাকলেই কি সেটা সবার কাছে উন্মুক্ত হবে? এই প্রসংগে নিজের কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে এই লেখা। দেশের এই মূহুর্তে এই নিবন্ধ হাস্যকর মনে হতে পারে কারো কারো কাছে কিন্তু সিংহভাগ পাঠক লেখাটির গুরুত্ত্ব অনুধাবন করবেন আশা করি।