লক্ষ জনতা কণ্ঠ মেলায় এই মেয়েটির সাথে
অর্গল ভাঙা বুকের আগুন মহাগর্জনে মাতে
অকৃতী জীবনে গৌরব কিছু এ কথা বলেই হোক
কান পেতে শোনো বিশ্ব, আমিও লাকির দেশের লোক।
(এই পোস্টারটি প্রিন্ট করার জন্যে অনেক বড় আকারেও দেওয়া যাবে, যদি কেউ চান)
দৈনিক প্রথম আলোর পোষা বাম ফারুক গুয়েবাড়াসহ আরো দুয়েকটি পল্টিবাজ গত কয়েক বছর ধরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাষায় ছাগুদের ধামা ধরে পেট ভরে দই খেয়ে এখন মুখে চুনের দাগ লাগিয়ে শাহবাগে হাজির হয়ে বিপ্লবী সাজার চেষ্টা করছেন। দৃশ্যগুলো কৌতুককর, কিন্তু সে কৌতুক হিমশৈলের চূড়া কেবল, সে কৌতুকের ভিত নেমে গেছে আশঙ্কাজনক কুমতলবের সাগরের গভীরে।
১.
আসেন এই পোষ্টারগুলি ছড়িয়ে দেই। আমরা শপথ নিয়েছি জামাতশিবিরের ব্যবসা বর্জনের, সেই শপথ সারা বাংলাদেশে, সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাক।
শাহবাগে জ্বলছে আগুন আকাশ ছোঁয়া
লক্ষ মানুষ লক্ষ প্রাণে মত্ত হাওয়া
রাজাকারের ফাঁসীর দাবি, মানতে হবে
ঝড় উঠেছে লক্ষ কণ্ঠে কলোরবে
গনগণে এই লাভার স্রোতে দেশটা ভাসে
আগুন দ্যাখো বসন্তের এই লাল পলাশে
আগুন দ্যাখো চতুর্দিকে বিশ্ব জোড়া
আসছে ধেয়ে মেঘের মতো বজ্র-ঘোড়া
মানতে হবে-রাজাকারের ফাঁসীর দাবি
আল-বদর আর আল-শামসরা কই পালাবি?
শুনতে কি পাস্ এই আগুনের পদধ্বনি?
রক্ত রাঙা মাটি তোদের পাপের খনি
বিদেশি মিডিয়া বা পত্রপত্রিকা যাদের বাংলাদেশে অফিস বা সংবাদদাতা নেই, তাদের বেশিরভাগই এখন নিউজ এজেন্সি এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) বরাত দিয়ে বাংলাদেশের খবর ছাপছে। এদের মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট, এবিসি নিউজ, মায়ামি হেরাল্ড ইত্যাদি। কিন্তু এপির ঢাকাস্থ সংবাদদাতা জুলহাস আলম তার সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলিতে রাজাকারদের বিচার এবং শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে নানারকম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করছেন। ফলে, সারা
শাহবাগে আজ সচলায়তনের সদস্যরা অন্য দিনের মতোই জড়ো হয়েছিলেন, তবে এবার সচলের ব্যানার নিয়ে। শাহবাগে জড়ো হওয়া আনুমানিক তিন লক্ষ মানুষের ভিড় থেকে বেতারায়তনের বই-দেশিক আড্ডায় তিনজন সচল এসে উপস্থিত হয়েছিলেন গতকাল রাতে। আড্ডায় ছিলেন ওডিন, সুরঞ্জনা, স্যাম ও হিমু।
সাথে রাজাকার ফাসির দাবীতে সোচ্চার শাহবাগ সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গার চলমান আন্দোলনের খবর শুনছিলাম অপেক্ষা করছিলাম লন্ডনেও এমন কিছু হয় কিনা। অবশেষে গতকাল রাতে হঠাৎ করেই ফেসবুকে একটি ইভেন্ট থেকে জানতে পারি শাহবাগের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে শুক্রবার আলতাব আলী পার্কে থাকার ডাক দেয়া হয়েছে। সাথে সাথেই টেক্সট মেসেজে বন্ধু বান্ধবকে ব্যাপারটা জানিয়ে দেই। সবাই তখন চরম উৎসাহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত একজন আমার দাওয়াত কবুল করেছে সে যাইহোক একজনই বা কম কিসে?
দুপুর ২টা থেকে শুরুর হওয়ার কথা থাকলেও আমার সেখানে পৌছতে একটু দেরি হয়ে যায়। ততক্ষনে দাবী আদায়ের স্লোগান পুরো দমে শুরু হয়ে গেছে। এত মানুষ দেখে মন ভরে উঠল। বেশ কয়েক জায়গা থেকে স্লোগান দেয়া হচ্ছিল।
শাহবাগে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অবস্থান নিতে শুরু করার পর থেকেই অস্থির হয়ে উঠছিলাম। একেতো হরতাল, ঘর থেকে বের হওয়া হয়নি, ফেসবুক বা বন্ধুবান্ধব পরিচিতজনদিয়ে রাজশাহীতে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ সমাবেশের কোন আওয়াজই যেন ছিলো না অন্তত প্রথম দিনটা।
এটা ঠিক রাজশাহীতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নড়াচড়াও যেন ঢাকার হাইকমান্ড না পাওয়া পর্যন্ত ঠিক শুরু হয়ে ওঠে না তা আজ বছর তিরিশেক ধরেই। বাবা-মাদের তরুণ যুগের রাজশাহী আর এখনকার শহরে অনেক ফারাক। তা সেই ফারাকটা মনে হয় জেনেরেশন গ্যাপ-ই হবে, শুধু আমার শহর না, পুরো দেশ জুড়েই। সবখানেই যেন আমরা আমাদের প্রজন্ম 'ধরি মাছ, না ছুঁই পানি' করে পাশ কাটিয়ে যেতে চাই সব ইস্যুকেই।
যখন বেশ ভালো রকমের বিরক্তি নিয়ে নিজেদের দম ফেলার ছোট্ট পরিসর ‘আমাদের রাজশাহী’ গ্রুপে জিজ্ঞেস করছি, “ঘটনা কী, জাগো বাহে, কুন্ঠে সবাই? “ হুট করেই চোখে পড়লো রাজশাহীর সাধারণ শিক্ষার্থীদের তৈরি করা দু’টো ছোট্ট ইভেন্ট। আলুপট্টির মোড়ে কসাই কাদের মোল্লাসহ সকল রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে সমবেত হতে ৭ তারিখ দুপুর আর ৮ তারিখ বিকেলে আহ্বান জানানো হচ্ছে রাজশাহীবাসীকে।