ঢাকায় পা দেবার পর থেকেই সচলাড্ডা চলতেই আছে অবিরাম, প্রথমেই দর্শন মিলল ওডিন দেবতা এবং গর্তবাসী খেকশিয়ালের, তাদের বগলদাবা করে যাওয়া হল রহস্যময় ব্যানার্জী স্যামের আলয়ে, তাকে যখন তখন এমন ব্যানার উপহার দেবার জন্য দুকথা শুনিয়ে আড্ডার সমাপ্তি ঘোষণা করা হল।
ঠিক অনেক সময় চুপ করে বসে থাকা যায় না। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী কাদের মোল্লা ৭১'এর গণহত্যায় সংশ্লিস্ট থাকার পরও অদৃশ্য কারণে পার পেয়ে যাবজ্জীবনের "পুরস্কার" নিয়ে বিজয় চিহ্ন দেখাতে দেখাতে কোর্ট চত্বর ত্যাগ করে ঠিক তখন আমরা কিভাবে বসে থাকতে পারি? মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তাড়িত হয়ে সকলে ধাবিত হয় শাহবাগের দিকে। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও ক্ষোভে ফেটে উঠে সকল শ্রেণীর মানুষ, ঠিক তখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সেই ছবি শিরোনামহীন হয়ে থাকে।
কসাই কাদেরের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল ঢাকা থেকে বই-দেশিকের এবারের পর্বে যোগ দিয়েছেন রায়হান আবীর। এই বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর দর্শন ও বিজ্ঞানভাবনা বিষয়ক বই, "মানুষিকতা"। বইটি নিয়ে আড্ডায় রায়হান আবীরের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হিমু, সুরঞ্জনা ও পৃথ্বী শামস।
কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধী সকল রাজাকারের ফাঁসির একদফা এক দাবিতে বুধবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এতে কাদের মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী সব অপরাধীর ফাঁসির দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে কয়েক শ’ সংস্কৃতিকর্মীসহ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছে ছাত্র জনতা। রাত সাড়ে ৭ টায় বক্তব্যে জনপ্রিয় লেখক ও আমাদের প্রিয় শিক্ষক ড.
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে অগণিত মানুষ দিন-রাত সময় কাটাচ্ছেন শাহবাগের মোড়ে। তাঁরা পথে থাকবেন, সত্যিকার রায় নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। জীবনের তাগিদে দূরে বসবাস করলেও আমরা আত্মিক ভাবে তাঁদের পাশে আছি।
প্রশ্ন হলো, আমরা কি কিছুই করতে পারি না? পারি। খুবই জরুরী একটি কাজ করতে পারি। এই কাজটি দেশের মানুষগুলোর পক্ষে করা দুষ্কর, কিন্তু আমাদের জন্য সহজ।
জামায়াত-শিবির ও মুসলিম বিশ্বের নিরলস প্রচারণার ফলাফল হিসাবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে যাচ্ছেতাই সংবাদ প্রচার করছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আপনারা যাঁরা সশরীরে শাহবাগে যেতে পারছেন না, তাঁরা অনুগ্রহ করে নিচের তালিকা দেখুন, চেষ্টা করুন কিছুটা সময় খরচ করতে।
সারাদিন কাজ শেষে বিকেল বেলা ক্লান্তি ভর করে। কাজ শেষে তাই গান খুজি ইউটিউবে। সামনের ভলিবল মাঠ থেকে ভেসে আসে শব্দ। জয় পরাজয়ের শব্দের ভিতর হালকা স্বরে গান চলে। পাশের রুমে চলে নাটকের প্র্যাক্টিস। এই সময় ফোন করে এক বন্ধু। বন্ধুর সাথে কথা বলতে বলতে শাহবাগের কথা আসে, অবাক হই, দীর্ঘশ্বাস বাড়ে
তার বয়সী সব ক্লাসমেটরাই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে গেছে। অমল, দীপেন, কৃষ্ণা, মঙ সবাই যাচ্ছে ক্লাস করতে। একমাত্র সেই পারে নাই। কেন পারে নাই এর উত্তর নিয়ে সে ভাবছে আজ সারাদিন। যতই ভাবছে ততই তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে তার চিন্তার রেখা। সে ভাবনা বিস্তৃত হচ্ছে শৈশব, কৈশোর ছাপিয়ে সুদূর জন্মসূত্রে। একই প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল বা কলেজে যাদের সাথে লেখাপড়া করেছে সে তারা আজ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট, শুধু সে-ই না। অ
০৫-০২-২০১৩
কিংকর্তব্যবিমূঢ়
হ্যাঁ, কালকে রাজাকার কসাই কাদের মোল্লার রায় শোনার পরে এটাই ছিল আমার মানসিক অবস্থা। কতক্ষণ এদিক ওদিক করলাম, ইন্টারনেট এ খবরগুলো একে একে দেখলাম, পরে বাসায় টিকতে না পেরে গেলাম বইমেলা। সেখানে একা একাই ঘুর ঘুর করছিলাম, দেখা হয়ে গেল সুহান এর সাথে। সেই একই আলোচনা, কি হলো এটা!! এরপরে রাতে হিমুদার থেকে সংগ্রহ করা রায়ের কপি পড়ে কাটলো। রায় দেখে, যুক্তি দেখে, কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইলাম।
…
কী বললেন ? চাই না বিচার ?
কে বলেছে ! এ অনাচার !
বিচার তো চাই, কিন্তু তবে…
স্বচ্ছ বিচার হতে হবে,
অমুক আমার ‘মুক্তি’ ছিলেন, দেখেন নিয়ে খোঁজ !
তাই
যা বলি তা ডিরেক্ট বলি
নিরপেক্ষতা মেনেই চলি
মানবতার পক্ষে আমি, জানাচ্ছি হররোজ !