প্রচণ্ড ঠান্ডা।
সাইকেল ছাড়া বের হতেই চোখে পড়লো সামাদ ভাইকে। আমাদের এলাকার মুদি দোকানি। সারা জীবন তাকে কোর্ট আর বুট পড়ে দেখছি, তার কাছে তার দোকানটাই অফিস।
দেখি সাইকেল চালাতে চালাতে যাচ্ছে।
-আপনে সাইকেলে?
-"অনেকদিনের চর্চা নাই। তাই একটু চেষ্টা করতেছি।
আঁকাবাঁকা পথে সুন্দরমত সাইকেল চালিয়ে গেলেন সামাদ ভাই। ভালই লাগলো দেখতে।
রাস্তাঘাট ফাঁকা।
প্রিয় বন্ধু রতিকান্ত, যে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পথ পাড়ি দিয়ে দেশটি স্বাধীন হয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এর নজির আর নেই। এটি আমার নয়, আমার শিক্ষকের মতিন মওলার কথা। ষাটের উপরে বয়েস তার। বুদ্ধিদীপ্ত, শানিত চেহারাটি কঠিন জীবনযাত্রা ও নির্দয় সময়ের কশাঘাতে ম্রিয়মাণ হলেও চোখদুটো উজ্জ্বল। মতিন মওলা এখানকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। হঠাৎই কোনো কারণ না দেখিয়ে ছাটাই করা হয়ে তাকে। এখন আশে পাশের ছ
[justify]বাংলাদেশের কোন দায় নেই পাকিস্তানকে সতী-সাধ্বী প্রমান করার। বাংলাদেশের আসন্ন পাকিস্তান সফর কোন পূর্বনির্ধারিত সফর নয়, আইসিসির সম্ভাব্য সফর-সূচীতে এই সফরের কোন অস্তিত্ব নেই, অস্তিত্ব নেই পিসিবির সূচীতেও। আইসিসির তরফ থেকে এই সফরের জন্য কোন চাপ নেই, যা আছে তা একমাত্র লোটা-পাপনের চাপ।
মূল- অরসন স্কট কার্ড
[অনুবাদকের কথা- অরসন স্কট কার্ড আমেরিকান লেখক। মূলত বৈজ্ঞানিক কাহিনী লেখেন, তবে তার সৃষ্টি বহুমাত্রিক। তার গল্পসংকলন 'ম্যাপ্স ইন দ্য মিরর' হস্তগত হয়ে বেশ কয়েকমাস আগে। পড়তে গিয়ে লেখকের চুম্বকের মত পাঠক ধরে রাখার ক্ষমতা বুঝতে পারি। যা এর আগে পেয়েছিলাম মাইকেল ক্রাইটন, গ্রিশাম, ড্যান ব্রাউনের লেখার মধ্যে। গল্প সংকলনের একটা অনুবাদের চেষ্টা করলাম শুধু ওই মজাটা শেয়ার করার জন্য। পেরেছি কিনা পাঠকের হাতে তার বিচার ন্যস্ত করলাম। ধন্যবাদ। ]
:একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ করছে অনেক লোকে
জামাত একা দায় নেবে ক্যান?
- ন্যায্য কথা, ওকে!
ইদানীং যে প্রশ্নটা শুনলে মাথার এক হাত লম্বা চুলগুলো পুরো খাড়া খাড়া হয়ে যায় তা হচ্ছে- আপনি কি বিবর্তনে বিশ্বাস করেন? প্রশ্নটা শোনা মাত্রই যে ধারণাটা প্রশ্নকর্তা সম্পর্কে করা যায় তা হচ্ছে সে বিবর্তন সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না, লোকমুখে ভাসা ভাসা কিছু শুনে শব্দটা জেনেছে, এখন জ্ঞান কপচানোর জন্য এমন ফালতু একটা প্রশ্ন করে বসেছে।
১৩
১৯৭১
মেহবুবা জুবায়ের
বাংলা খবর পড়তেন সরকার করির উদ্দিন, রাত নয়টায় বাংলা খবর হত। সাধারণত আব্বা রাতের খাবার খেয়ে তারপর খবর শুনতেন। রোজার দিন বলে নিয়মটা বদলে গিয়েছিলো। খবর শুনে তারপর রাতের খাবার খাওয়া হত। যদিও আব্বা তখন নামাজও পড়তেন না, রোজাও রাখতেন না, তবে আমাদের সাথে খুব জাঁক করে ইফতার খেতেন।