সিনেমাহলে সিনেমা দেখতে গেলে একটা বিষয় নিয়ে আমার মনটা বড়ই খচখচ করতে থাকে। সিনেমার শুরুতেই বাংলাদেশের পতাকা উড়তে থাকে এবং ক্যারক্যারে আওয়াজ করে তারস্বরে বেজে ওঠে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। যেরকম ভৌতিকভাবে আচমকা এই পর্বটা শুরু হয়, সেরকম ভৌতিকভাবেই শেষ হয়ে যায়। ধড়মড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া দর্শকরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচে যাওয়ার ভঙ্গিতে আবার ধড়াম করে শরীরটা ছেড়ে দেন সিটের ওপর!
আমি তিন ল্যাব ঘুরে যে ল্যাবে থিতু হয়েছি তার কর্ণধার হলেন ডেনমার্কের এক সত্তর ছুঁই ছুঁই ভদ্রলোক। ছ'টা গ্র্যাড স্টুডেন্ট, অনেকগুলো আন্ডারগ্র্যাড, কোন ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই - একজনের থেকে আরেকজনের প্রজেক্ট অনেক ভিন্ন - তবু তিনি হাসিমুখে সামলে যাচ্ছেন সব। এ ভদ্রলোককে যত দেখি তত অবাক হই।
প্রথম আলোর প্রতিনিয়ত এই পাকিমেহনের ক্রমবর্ধমাণ ধারা নিয়ে সচলায়তন ও অন্যান্য ব্লগে নানা সময় বিচ্ছিন্নভাবে লেখা এসেছে। কিন্তু সেই ব্যাপারটাই একটু গোছানোভাবে একত্রিত করার জন্য আর এই পাকিপ্রেমের বিষবৃক্ষের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একটি নতুন সিরিজ চালু হয়েছিলঃ "আলুর পাকিমেহন" শিরোনামে। আগ্রহী যে কেউ এই শিরোনামে প্রথম আলোর পাকিমেহনের খবরগুলো নিয়ে কন্ট্রিবিউট করতে পারেন। সচল-পাঠক সবাই এতে অংশ নিয়ে এই সিরিজটি বেগবান-সমৃদ্ধ করার অনুরোধ রইলো। এখন থেকে যিনিই লিখুন, যে শিরোনামেই লিখুন, "আলুর পাকিমেহন" এই ট্যাগ দিয়ে লিখুন। তাহলে সবগুলো লেখা একসাথে পাওয়া যাবে।
‘একটা লাল গোলাপের দাম হল মৃত্যু যেখানে জীবন সবার কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয়। আহা সবুজ গাছের ডালে বসে সোনালী রথের মাঝে সূর্যকে আর মুক্তোর রথের মাঝে চন্দ্রকে দেখার মাঝে কতই না আনন্দ। কি মিষ্টি সুবাসই না আসে গুল্ম জাতীয় লতার মাঝ থেকে যেমন মিষ্টি সুগন্ধ আসে উপত্যকার গায়ে লুকিয়ে থাকা নীল রঙের ব্লু বেল ফুলের মাঝ থেকে। আর পাহাড়ের উপর উড়তে থাকা গোলাপি ফুলের সৌরভও তো অনেক মিষ্টি। তারপরও জীবনের চেয়ে ভালোবাসা
আমাদের একদম ছোটোবেলার স্কুলটা মানে যে স্কুলে কেজি ওয়ান থেকে ক্লাস ফোর অবধি পড়েছিলাম, সেটা ছিল বেশ বিচিত্র। তিনটি স্কুলের সমাহার বলা যায় সেটাকে। একটা মস্ত চৌকো উঠানের পুবের দিকে ছোটো একতলা একটা দালানে ছিলো কিন্ডারগার্টেন স্কুল, সেখানে কেজি ওয়ান আর কেজি টু এর ক্লাস হতো। উঠানের পশ্চিমের দিকে দোতলা দালান, সেদিকে প্রাইমারি স্কুল, ক্লাস থ্রী ফোর। আর উঠানের উত্তর দিকে ছিল সেই বিচিত্র সমাহার, একটা বিশাল