Archive - জ্যান 1970
November 23rd
'জামিলা'
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৩/১১/২০১৮ - ১:১৮অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
চিঙ্গিস আইৎমাতভের আলোড়ন তোলা সাহিত্যকর্ম হিসেবে যে নাম পাঠক মনে ভালোবাসায় জেগে থাকে, নিঃসন্দেহে সেটি 'জামিলা’। আইৎমাতভের সুবিখ্যাত এ সৃষ্টির প্রথম প্রকাশ ঘটে রাশান ভাষার মাসিক পত্রিকা 'Novyj Mir' এর ৮ম সংখ্যায়। প্রকাশের সাল ১৯৫৮। ওই একই বছরে কিরগিজ ভাষী পত্রিকা 'Ala-Too' এর দশম সংখ্যায় এটি প্রকাশিত হয়, তবে ভিন্ন নামে। কিরগিজ পত্রিকা 'আলা টু’ তে নভেলাটি 'মেলোডি(Melody)' নামে প্রকাশিত হয়। ১৯৫৯ সালে ‘জামিলা’ রুশ-কিরগিজ দু'ভাষাতে মলাটবন্দী হয়ে পাঠকের হাতে ধরা দেয়। ফরাসি সাহিত্যিক লুই আহাগঅঁ(Louis Aragon) 'জামিলা' পাঠে দারুণ মুগ্ধ হয়ে ১৯৫৯ সালেই বইটি ফরাসী ভাষায় অনুবাদ করেন। লুই আহাগঅঁ মতে, ‘জামিলা ''বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর প্রেমের গল্প"।
November 15th
অণুজীববিজ্ঞানী ড: সেঁজুতি সাহার সাক্ষাৎকার - সম্প্রচার সম্পন্ন হয়েছে
লিখেছেন সন্দেশ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/১১/২০১৮ - ১২:৩৩অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
মেনিনজাইটিস রোগীর সুষুম্না-তরলের (Spinal Fluid) ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেঁজুতি আবিষ্কার করলেন যে রোগীদের বেশ কয়েকজনের সংক্রমণের মূল কারণ চিকনগুনিয়া ভাইরাস। চিকনগুনিয়া ভাইরাস মেনিনজাইটিসের কারণ হতে পারেনা - এই ধারণাই ছিলো প্রচলিত। অথচ সেঁজুতির আবিষ্কার প্রচলিত ধারণাটিকে ভেঙে দেয়। আইডি সেক নামক একটি বিনামূল্য অনলাইন তথ্যসম্ভার ব্যবহার করে সেঁজুতি এ আবিষ্কারটি করেন। আর সে কারণেই তাঁর কাজের ওপর আলোকপাত করে প্রকাশিত হয় এ প্রবন্ধটি। আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুপরিচিত অণুজীববিজ্ঞানী ডঃ সেঁজুতি সাহা আসছেন বেতারায়তনের সাক্ষাৎকারে, সরাসরি সম্প্রচারে।
November 13th
November 12th
জা জ্যাক লাকাকে ঘিরে চিন্তা: ছবি (Image) আর মানুষ: প্রভূ-ভৃত্যের খেলা
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: সোম, ১২/১১/২০১৮ - ৩:১১অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
শব্দ, জলের মত। প্রবাহমান। শব্দ যে অর্থ তৈরি করে তা প্রায় ঢেউয়ের মতো, আরেক ঢেউয়ের ভেতর হারিয়ে যায়। আরেক অর্থ নিয়ে হাজির হয়। আর প্রতিটা অর্থ একটা ছবি হয়ে মনের মধ্যে ধরা দেয়। এই ছবিটা প্রায়ই পৃথিবীতে থাকে না। মনের পৃথিবীতে এর জন্ম। মনের মধ্যে জেগে থেকে ছবিটা একজন মানুষকে সারাজীবন তাড়া করে। নিয়ন্ত্রন করে। এই ছবি কখনও তার কাছে স্বপ্নের মতো, (দেশ প্রেম, কাঙ্খিত প্রেম, আকর্ষণের বস্তু) যা সে পাওয়ার জন্
November 11th
পচাত্তরের নভেম্বর – বিচ্ছিন্ন খন্ড চিত্র
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: শনি, ১০/১১/২০১৮ - ৭:২৭অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
ঢাকা থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বোস্টার জানাচ্ছেন নভেম্বরের ৭ তারিখ দুপুর সোয়া বারোটায় মাহাবুব আলম চাষী তাকে ফোন করেন ‘নতুন স্টেটাস রিপোর্ট’ জানানোর জন্য। (তারবার্তা 1975DACCA05396_b )। অবশ্য পুরানো স্টেটাস রিপোর্ট ঠিক কোনটা সেটা বুঝা যায় না। তার পরেই দুপুর পৌনে একটায় মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ডিএফআইয়ের (ডিফেন্স ফোর্সেস ইন্টালিজেন্স, বর্তমান ডিজিএফআই) তিন কর্মকর্তাকে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে পাঠান।
November 6th
পৌষের বৃষ্টিতে দূর সীমান্তের চা বাগানে
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/১১/২০১৮ - ৪:০৮অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
পথ যতটা দীর্ঘ হবার কথা ছিল তারও চেয়ে অনেক দীর্ঘ এবং ক্লান্তিকর। বিকেলের আগে পৌঁছে যাবার কথা থাকলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। শেষ লোকালয় ছেড়ে এসেছি ঘন্টাখানেক আগে। ছোট ছোট টিলার ফাঁক থেকে বুনো ঘ্রাণ আসছে। অচেনা পতঙ্গেরা সঙ্গীত উৎসব শুরু করেছে। জঙ্গলের শেষ মাথায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। এখানে কেবলই চা বাগান। মাইলের পর মাইল সবুজ। অন্ধকার হয়ে আসলেও ধূসর সবুজ আলো জেগে আছে চারপাশে। সেই ধূসরতার মাঝখানে একাকী দাঁড়ি
জিপলাইনে দুহাজার ফিট
লিখেছেন অবনীল (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/১১/২০১৮ - ৮:১৯পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
শাঁ শাঁ শব্দে প্রায় উড়ে চলছি উচু উচু সব গাছের ফাক দিয়ে। দু হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে রেখেছি মাথার উপরের হ্যান্ডেল। শুধু একটা দড়ির সাহায্যে ঝুলে আছি মাটি থেকে প্রায় ৬০ ফিট উপরে। চলতে চলতে মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছি চারিপাশের আর নিচে দ্রুত অপসারমান সবুজের সমারোহ। দ্রুত চলে আসলো সামনের প্লাটফর্ম। বিশাল রেডউড ট্রীর উপর কাঠের মাচার মত প্লাটফর্ম তৈরী। গাইডের নির্দেশ অনুযায়ী হাত মাথার উপরে তুলে দড়ির উপর আঙ্গুল
November 4th
হাসপাতালের দিনগুলো...
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: রবি, ০৪/১১/২০১৮ - ১:১০পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
[justify]রাত এগারোটায় হাসপাতাল থেকে ফোন আসলো, আপনি মি. তুলি? হ্যাঁ বলতেই বল্লো, মাত্র ফোন পেলাম। আপনার স্ত্রীকে পোস্ট অপারেটিভ থেকে নিয়ে আসবে ১৫ মিনিটের মাঝে। আসতে চাইলে আসুন। বল্লাম, আধা ঘন্টা লাগবে কমপক্ষে। উত্তরে হ্যাঁ সূচক জবাব পেলাম। আবার আব্দার করলাম, ছেলেকে নিয়ে আসবো... তাতেও হ্যাঁ।
শব্দগল্পদ্রুম ০৮
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ০৩/১১/২০১৮ - ৬:৩১অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
ছত্রাকের দৃশ্যমান অংশ দেখে টের পাওয়া যায়, আক্রান্ত অংশের কোথায় কতটুকু পুষ্টি আছে, কিংবা কোথায় নিয়মিত রোদ পড়ে। ভাষাও তেমনই, যেখানে তার পুষ্টির সংস্থান হয়, সেখানে সে বাড়ে, আর প্রবল বাধার মুখে শুকিয়ে যায়। আজ মহাকাশে নভোযানে চরিত্রদের গুঁজে দিয়ে জমজমাট কোনো কল্পবিজ্ঞান গল্প লিখতে গেলে কয়েক চরণ লেখার পরই হাত বাড়াতে হবে ইংরেজির ভাঁড়ারের দিকে, একটা দুটো শব্দ টোকানোর জন্যে। মহাকাশে বাংলা ভাষার পুষ্টির অভা
November 3rd
একটি অণুগল্পের খসড়া
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৩/১১/২০১৮ - ৪:২২পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলতেই ব্যাচেলার মেসের হেলাল মিয়ার দুমড়ানো মোচড়ানো কোলবালিশ খানা লাজুক গলায় তাকে বলল,"অ্যাই শোন......তুমি না বাবা হতে চলেছ।"