দুপুর দুটো বেজে এক মিনিট। শুনছেন বিজ্ঞাপন তরঙ্গ।
আজকে আমার মনের মাঝে
ধাঁই ধপাধপ্ তবলা বাজে
আলোয় ঢাকা অন্ধকার
ঘণ্টা বাজে গন্ধে তার
আজকে দাদা যাবার আগে
বলবো যা মোর চিত্তে লাগে
নাই-বা তাহার অর্থ হোক
নাই-বা বুঝুক বেবাক্ লোক
সপ্তম পর্ব:
নিদারুণ শীত এবছর! দমকা ঝড়ো হাওয়ার পর প্রথমে বরফ-বৃষ্টি ও তারপর তুষারপাত। এরপর শুধুই কঠিন বরফ, যা ফেব্রুয়ারি অবধি জমাট বেঁধে থাকে। বাতাসকল পুনর্নির্মাণের কাজে সর্বশক্তিতে খাটে পশুরা। তাদের দিকে যে নজর সবার, সেটি অজানা নয় তাদের। নির্মম সত্য এই যে, তাদের যে কোনো ব্যর্থতায় জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়বে হিংসুটে মানুষ।
প্রথম দুইদিন ভয়ে চুলাই জ্বালাইনি | দুধ, সিরিয়াল, পাওরুটি আর ফলমূল খেয়েছিলাম | সাথে আসিফ চিকেন নাগেটস ভেজেছিল | তৃতীয় দিনেই আমাদের বাঙালি মন ভাতের চাহিদা জানান দিল | আমার তখনো সময় ব্যবধানের সাথে ঘুমের সামঞ্জস্য হয়নি | বাংলাদেশের সকালের সময়ে (আমেরিকার রাতে) ঘুম থেকে উঠে দেখি আসিফ ভাত, বেগুন ভাজা আর ডিম অমলেট তৈরী করে খেতে ডাকছে | চোখে পানি চলে আসল, যাক ! ও কথা রেখেছে | পেট ভরে ভাত খেয়ে ভাবলাম আগামীকাল আমিও রান্নায় যোগ দিব | পরের দিনের দুজনে একসাথে চিংড়ি রান্না করলাম | লবণ বেশি হয়ে গেল, বাসায় বেল পেপারস (ক্যাপসিকাম) ছিল, মিলিয়ে দিলাম তাতেও কাজ হলো না | বেশিক্ষণ ধরে রান্না করার কারণে চিংড়ি কেমন যেন শক্ত হয়ে গেল | নিজের প্রথম রান্না করা খাবার খেতে আমি ব্যর্থ হলাম | পরে চিংড়ির প্যাকেট এ লেখা দেখেছিলাম এগুলো লবণ দিয়ে সিদ্ধ করাই ছিল | ইশ ! আগে যদি জানতাম !
এই ক্বীন ব্রীজ দিয়ে হাঁটতে গেলে একটা মজার ব্যাপার চোখে পড়বেই; ধনুকের মত বাঁকা ব্রীজকির উপর দিয়ে রিক্সা জাতীয় কিছু পার হতে গেলে চারপাশ থেকে কয়েকটা ছেলে ছোকরা কিংবা বয়স্ক লোক এসে রিক্সার কাছে এসে ভীড় জমাবেই, আর চেঁচিয়ে উঠবেঃ
"ঠ্যালা লাগবে, ঠ্যালা?"
নাহ! আমাদের আগেও কখনো ঠ্যালা লাগে নি, আজও লাগবে না। কারণ, বরাবরের মত আজকেও আমরা বেশ কয়েকজন হেঁটে এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত পাড়ি দিচ্ছি।
১.
একজন রানি এত সাধারণ হতে পারেন! কি সাদামাটা বেশভূষা! গায়ে দামী কোন অলংকার পর্যন্ত নেই! গরীব দেশের রানি হলেও না হয় একটা কথা ছিল। শম্পা তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকে টিভির ক্ষুদে পর্দাটির দিকে। তার দুচোখ থেকে ঠিকরে বেরুচ্ছে বিস্ময় রশ্মি! ঝরে পড়ছে মুগ্ধতা!
খুবই আউলাঝাউলা অবস্থা।কালকে বিকালে বাসা ছেড়ে দিয়ে আরেক বাংলাদেশি ভাইয়ের বাসায় উঠলাম ২ দিনের জন্য। প্রশ্ন হইতে পারে, "ক্যান? আমি ভাড়া দিতে না পারায় আমারে খেদায়া দিল নাকি?"
উত্তর হইল, না সেইরকম কিছু না। এই দেশে আর থাকুম্না ঠিক্কর্সি, তাই বাক্স-পেটরা গুছায়া যাইগা। কালকে ফ্লাইট সন্ধ্যায়, দোহা টু ঢাকা!