লোচন তুলিতে দিও গো আমারে, নিও না নিও না সরায়ে...............................
প্রতিদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মা কি যেন মন্ত্র টন্ত্র পড়ে মাথায় ফুঁকে দেন। আমি হাসি। আসলে মা’রা পারেও।সব সময়ই মা আতঙ্কে থাকেন এই বুঝি কিছু হল, কোন দাঙ্গা শুরু হল। মা’র ভাষায় আমরা সংখ্যালঘু। মা’কে কত বোঝাই, তোমার বাবা এই দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে গেছেন, তোমার আবার কিসের ভয়? তুমি আমার বন্ধু গুলাকে দেখনি? আমাকে দিনে একবার না দেখলে, খোঁচা না দিলে এগুলার পেটের ভাত হজম হয়?
ঢাকায় শীত আসি আসি করছে।
সকালের দিকে ফ্যান বন্ধ করে দিতে হয়। আবার দুপুর ২টায়ও মনে হয় বিকেল হয়ে এলো। সন্ধ্যা নামে সাড়ে পাঁচটার আগে।
আবহাওয়ার এ বদলী সময়ে চারদিকে সর্দি কাশি হচ্ছে। আমার নিজেরও ঠান্ডা লেগেছে। টিভিতে রিপোর্ট দেখছিলাম, শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। আবহাওয়ার পাশাপাশি পানিতেও সমস্যা আছে মনে হয়। ওয়াসার পানিতে ব্যাপক ময়লা। বালতির তলানীতে কালো ময়লা জমে যায় দ্রুত।
প্রথম প্রথম যখন প্রেমের গল্প পড়ি, বয়স তখন ৬ কি ৭। মাথামুন্ডু তার কমই বুঝেছিলাম।
তবে ছেলে মেয়েতে যে রসায়ন ভিন্ন ধরনের তা বুঝতে বই পড়ার দরকার ছিল না। স্কুল ছিল সকল লিঙ্গের, সুতরাং বয়স কম থাকলেও ছেলে-ছেলে বা মেয়ে-মেয়ের রসায়নের চেয়ে ছেলে-মেয়ে রসায়ন ভিন্ন তা বুঝতে সময় লাগেনি।
মূল লেখাঃ লিয্যি বিউকেন
অনুবাদ এবং ভূমিকা: কোয়েল দাশ এবং খান তানজীদ ওসমান
আজকে প্রকাশিত হচ্ছে প্রথম পর্ব
বাসস্টপে একরাশ শুকনো পাতা উড়ে গেল এইমাত্র...
বাতাসে মেঘের শরীর থেকে ভেসে আসা হিম হিম গন্ধ,
পাশের বারান্দায় একটা মিষ্টি বয়স্ক গলা ডাকছিল,
রবিন... এই রবিন...
একটু দূরেই দাঁড়িয়ে থাকা শালিক পাখিটা টুক করে
পালিয়ে গেল কাকে দেখে?
পাশেই পাকাচুল প্রৌঢ়টি হাত রাখল মেয়ের মাথায়,
কাছেই আরো একটি মেয়ে, বয়স কত? সতেরো-আঠারো?
টফিটা মুখে পুরে খচমচে খোসাটাকে ভরে নিল ব্যাগে!
শঙ্করের কথা
বছর দেড়েক হল কলকাতা ফিরে এসেছি। এসেই যা চাপ, কী-বোর্ডে আঙুল বসানোর সময়ই পাই না। অনেক কষ্টে পুজোর ছুটির মধ্যে এটা নামালাম। ভালো লাগ্লে বলবেন কিন্তু।
দিয়ার কথা
বাংলাদেশের ভূ রাজনৈতিক প্রভাব মাপতে গিয়ে আমরা নিজেদের গুরুত্ব কে একটু বেশি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে হিসেবে করি বলে আমার মনে হয়। স্পেসিয়ালি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ এর সম্পদ এবং ভৌগোলিক অবস্থান হিসাব করে বাংলাদেশ কে নিয়ে বিশাল একটা পাঁয়তারা করে বেড়াচ্ছে বলে অনেকে বিশ্লেষক ধারনা দিয়ে থাকেন। বাস্তবতা হচ্ছে ভুরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্তত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের কোন বেইল নাই।
কেন একটু আলোচনা করে দেখা যাক।
[justify]মহাসড়ক থেকে যে রাস্তাটা গ্রামের ভেতরে ঢুকেছে সেটা তোতা মিয়ার দোকানের সামনে দু’ভাগ হয়ে একটা ভাগ রাজ্জাক শাহের মাজার হয়ে রেললাইন পর্যন্ত গেছে, আরেকটা ভাগ গ্রামের ভেতর অনেক বার বাঁক খেয়ে ইটখোলার পুকুরে গিয়ে শেষ হয়েছে। তোতার দোকানের সামনের জায়গাটা এই গ্রামের স্কয়ার। যাবতীয় সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান, নালিশ-সালিশ এখানেই হয়। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে যখন বৃষ্টি আর পানির অভাব দেখা দেয় তখন সংক্রামক রোগের প্র